বাংলাদেশ দর্শনের উৎপত্তি, প্রকৃতি, পরিধি এবং বৈশিষ্ট্য

ক বিভাগ

বাঙালির দর্শন কী?
উত্তর : বিভিন্ন যুগে বাঙালির চিন্তা-চেতনা মননে জগৎ,জীবন, ধর্ম, সাহিত্য, সংস্কৃতি, সমাজ ও অর্থনীতিকে কেন্দ্র করে যে দার্শনিক মতবাদ গড়ে উঠেছে তাই বাঙালির দর্শন।
বাঙালি দর্শনের ইতিহাস কয়টি যুগে বিভক্ত?
উত্তর : বাঙালি দর্শনের ইতিহাস তিনটি যুগে বিভক্ত। যথা : (ক) প্রাচীনযুগ, (খ) মধ্যযুগ ও (গ) আধুনিক যুগ।
বাঙালি দর্শনের প্রাচীন যুগের ব্যাপ্তিকাল কত?
উত্তর : খ্রিস্টপূর্ব যুগ থেকে দ্বাদশ শতক পর্যন্ত।
বাঙালি দর্শনের মধ্যযুগের ব্যাপ্তিকাল কত?
উত্তর : দ্বাদশ থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত।
বাঙালি দর্শনের আধুনিক যুগের বিস্তৃতি কাল কত?
উত্তর : অষ্টাদশ শতক থেকে বর্তমান পর্যন্ত।
বাঙালি দর্শন চর্চার সূত্রপাত করেন কারা?
উত্তর : বস্তুবাদী দর্শন বা জড়বাদী দর্শন।
লোকায়ত দর্শন অনুসারে জ্ঞানের উৎস কী?
উত্তর : লোকায়ত দর্শন অনুসারে জ্ঞানের উৎস প্রত্যক্ষণ।
জ্ঞানতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে লোকায়ত দৰ্শন কোন ধরনের দর্শন?
উত্তর : প্রত্যক্ষণবাদী দর্শন।
উত্তর : প্রাচীন বাঙালিরা অর্থাৎ অনার্যরা এদেশে দর্শন চর্চার সূত্রপাত করেন।
প্রাচীন বাঙালিদের (অনার্যদের) দর্শনের নাম কী?
উত্তর : লোকায়ত দর্শন বা চার্বাক দর্শন।
লোকায়ত দর্শন বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : লোকায়ত দর্শন বলতে বুঝায় জনসাধারণের দর্শন বা জনসাধারণের মধ্যে পরিব্যাপ্তি দর্শন।
লোকায়ত দৰ্শন কোন ধরনের দর্শন।
আত্মা ও পরকাল সম্পর্কে লোকায়িতদের মত কী?
উত্তর : দেহাতিরিক্ত কোনো আত্মা নেই। পরলোকের ধারণা অবান্তর।
জগৎ স্রষ্টা সম্পর্কে লোকায়িতদের অভিমত কী?
উত্তর : জগৎ স্রষ্টা বা ঈশ্বর অলীক।
“ঋণ করে হলেও ঘি খাও” “যতদিন বাঁচ সুখে বাঁচ” প্রভৃতি নীতিবাক্যসমূহের প্রবক্তা কারা।
উত্তর : লোকায়ত বা চার্বাকরা।
লোকায়ত মতে জীবনের পরম লক্ষ্য বা কাম্য বস্তু কী?
উত্তর : ইহজাগতিক সুখ ভোগই জীবনের পরম লক্ষ্য বা কাম্য বস্তু।
বাঙালির দর্শনের প্রাচীন যুগে বস্তুবাদের পরিবর্তে ভাববাদ বা আধ্যাত্মবাদের বিকাশ ঘটে কখন?
উত্তর : আর্যদের আগমনের পর।
আর্যদের প্রবর্তিত এই দর্শনের নাম কী?
উত্তর : বৈদিক দর্শন।
বৈদিক দর্শনের উৎস কী?
উত্তর : বৈদিক দর্শনের উৎস হলো বেদ ও উপনিষদ।
‘বেদ’ অর্থ কী?
উত্তর : বেদ অর্থ জ্ঞান বা পবিত্র ও পরম জ্ঞান।
‘বেদ’ কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : বেদ চার প্রকার। যথাঃ ঋকবেদ, সামবেদ, যজুর্বেদ ও অথর্ববেদ
বেদের দুটি ভাগের নাম কী?
উত্তর : মন্ত্র ও ব্রাহ্মণ।
বৈদিক সাহিত্য অর্থে বেদকে প্রধানত কয় ভাগে ভাগ করা হয়?
উত্তর : চার ভাগে।যথাঃ সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, উপনিষদ।
সংহিতার বিষয়বস্তু কী?
উত্তর : গান, স্তোত্র, মন্ত্র প্রভৃতি।
ব্রাহ্মণ গ্রন্থগুলোর আলোচ্যবিষয় কী?
উত্তর : ব্রাহ্মণ নামে পরিচিত গ্রন্থসমূহের আলোচ্যবিষয় যাগযজ্ঞ।
কয়েকটি ব্রাহ্মণ গ্রন্থের নাম লিখ।
উত্তর : ঐতরেয় ব্রাহ্মণ, তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ, কৌষীতকি ব্রাহ্মণ ইত্যাদি।
আরণ্যক সাহিত্যের বিষয়বস্তু কী?
উত্তর : বিশ্ব রহস্যের সমাধান অন্বেষণ।
উপনিষদ কী?
উত্তর : উপনিষদ অর্থ কারো নিকটে বসা অর্থাৎ গুরুর নিকট বসে যে বিদ্যা গ্রহণ করা হয় তার নাম উপনিষদ।
উপনিষদের বিষয়বস্তু কী?
উত্তর : উপনিষদের বিষয়বস্তু হচ্ছে বিশুদ্ধ জ্ঞানের সন্ধান বা দার্শনিক আলোচনা।
পাঁচটি প্রসিদ্ধ উপনিষদের নাম লিখ।
উত্তর : ঐতরেয়, বৃহদারণ্যক, ছান্দোগ্য, তৈত্তিরীয়, শ্বেতাশ্বতর।
উপনিষদকে বেদান্ত বলা হয় কেন?
উত্তর : বেদের সর্বশেষ অংশ উপনিষদ বলেই একে বেদান্ত বলা হয়।
প্রাচীন বাংলার বৈদিক চিন্তার সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটে বেদের কোন অংশে?
উত্তর : বৈদিক চিন্তার সর্বোচ্চ ও পূর্ণবিকাশ ঘটে উপনিষদে।
উপনিষদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা বেদান্ত দর্শনের মুখ্য আলোচ্যবিষয় কী?
উত্তর : বেদান্ত দর্শনের মুখ্য আলোচ্যবিষয় ব্রহ্ম।
বেদান্ত দর্শনের গ্রন্থাত্রয় বলতে কোন তিনটি গ্রন্থকে বুঝানো হয়।
উত্তর : উপনিষদ, ভগবদ্গীতা ও ব্রহ্মসূত্র।
ব্রহ্মসূত্রের রচিয়তা কে?
উত্তর : মহর্ষি বাদরায়ণ।
বেদান্ত দর্শনের কয়েকটি মতবাদের নাম লিখ।
উত্তর : অদ্বৈতবাদ, বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ, শুদ্ধাদ্বৈতবাদ, ভেদাভেদবাদ ইত্যাদি।
গৌড়পাদ কোন শতকের দার্শনিক ছিলেন?
উত্তর : ৮ম শতকের (মাক্সমূলারের মতে ৬ষ্ঠ শতকের)।
শংকরের অদ্বৈতবাদের মূল কথা কী?
উত্তর : ব্রহ্ম সত্য, জগৎ নয় মিথ্যা এবং জীবই ব্রহ্ম, জগৎ মায়ার সৃষ্টি।
মহর্ষি বাদরায়ণ রচিত ব্রহ্মসূত্রে মোট কতটি সূত্র আছে?
উত্তর : ৫৫৫ টি।
শংকর কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : ৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে।
বিশিষ্টাদ্বৈতবাদের প্রবক্তা কে?
প্রাচীন যুগের তিনজন প্রখ্যাত বেদান্ত দার্শনিকের নাম লিখ।
উত্তর : গৌড়পাদ, শংকর, রামানুজ।
উত্তর : রামানুজ।
রামানুজ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : ১০১৭ খ্রিস্টাব্দে দাক্ষিণাত্যে জন্মগ্রহণ করেন।
রামানুজের বিশিষ্টাদ্বৈতবাদের মূল কথা কী?
উত্তর : ব্রহ্ম বা ঈশ্বরই পরম সত্তা। ব্রহ্মের দুটি অংশ, যথাঃ চিৎ (জীব) ও অচিৎ (প্রকৃতি)। চিৎ এবং অচিৎ অংশ
নিয়েই ব্রহ্ম এক পরম ঐক্য।
রামানুজ রচিত তিনটি গ্রন্থের নাম লিখ।
উত্তর : শ্রীভাষ্য, বেদান্তদীপ ও বেদান্ত-সার।
শংকরের সর্বশ্রেষ্ঠ রচনা কোনটি?
উত্তর : শারীরিক ভাষ্য।
বেদাঙ্গ কী?
উত্তর : শুদ্ধভাবে বেদ পাঠ করার জন্য যে ছয়টি বিদ্যার প্রয়োজন তা বেদাঙ্গ নামে পরিচিত। এগুলো হলোঃ (১)
শিক্ষা (২) ছন্দ (৩) ব্যাকরণ (৪) নিরুক্ত (৫) জ্যোতিষ ও (৬) কল্প।
হিন্দুদের নিকট বেদ কী?
হিন্দুধর্মের উৎপত্তি কোথা থেকে?
উত্তর : হিন্দুধর্মের উৎপত্তি বেদ থেকে।
উত্তর : হিন্দুদের নিকট বেদ ‘নিত্য’ ও ‘অপৌরুষেয়’।
বেদের অপর নাম কী?
উত্তর : বেদ ঈশ্বরের নিকট থেকে শ্রুত বলে বেদের অপর নাম ‘শ্রুতি’।
বাঙালি দর্শনে প্রভূত প্রভাব বিস্তারকারী হিন্দু দর্শনের উৎপত্তি কোথা থেকে?
উত্তর : উপনিষদের তত্ত্বগুলোর গভীর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ থেকে হিন্দু দর্শনের উৎপত্তি।

খ বিভাগ

গ বিভাগ

প্রশ্ন॥১॥ বাঙালি দর্শনের সংজ্ঞা দাও। বাঙালি দর্শনের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ আলোচনা কর।
প্রশ্ন।।২।। বাঙালি দর্শন কী? বাঙালি দর্শনের স্বরূপ আলোচনা কর।এটা কি প্রকৃত অর্থে দৰ্শন?
প্রশ্ন॥৩॥ বাঙালি দর্শনের বিষয়বস্তু আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥৪॥ বাঙালি দর্শন কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥৫॥ বাঙালি দর্শন বলতে কী বুঝায়? বাঙালি দর্শনের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা কর।
প্রশ্ন॥৬॥ বাঙালি দর্শনের বিভিন্ন ধারা আলোচনা কর।
প্ৰশ্ন॥৭॥ বাঙালি দর্শন বলতে কী বুঝায়? বাঙালি দর্শনের ঐতিহ্যের বিবরণ দাও।
প্রশ্ন॥৮॥ বাঙালি দর্শনের সংজ্ঞা দাও। এ দর্শন কী সমস্বয়বাদী?
অথবা, বাঙালি দর্শনের সমন্বয়বাদী দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৯॥ বাঙালি দর্শনের গতিপ্রকৃতি আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥১০৷ বাঙালির মনন সাধনার বৈশিষ্ট্যের বিস্তারিত বিবরণ দাও।
প্রশ্ন৷১১৷ বাঙালি দর্শনের আলোকে ‘বাংলা ও বাঙালি’ প্রত্যয়গুলো বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন॥১২৷ বাঙালির ধর্ম ও সংস্কৃতি সম্পর্কে যা জান লিখ ।
প্ৰশ্ন৷১৩৷৷ বাঙালি দর্শনে বেদের প্রভাব আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥১৪৷ বাঙালি দর্শনে উপনিষদের প্রভাব আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥১৫৷ বাঙালি দর্শনে রামায়ণের প্রভাব আলোচনা কর।
প্ৰশ্ন৷১৬৷৷ বাঙালি দর্শনে মহাভারতের প্রভাব আলোচনা কর।
প্ৰশ্ন৷১৭৷ বাঙালি দর্শনে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার প্রভাব আলোচনা কর।
প্ৰশ্ন৷১৮৷ বাঙালি দর্শনে মনুসংহিতার প্রভাব মূল্যায়ন কর।
প্ৰশ্ন৷১৯৷ বাঙালি দর্শনের বিকাশে পুরাণের ভূমিকা আলোচনা কর।
প্ৰশ্ন৷২০৷ বাঙালি দর্শনে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের প্রভাব আলোচনা কর।
প্ৰশ্ন৷২১৷ বাঙালি জাতির উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে আলোচনা কর।
প্ৰশ্ন৷২২।। বাঙালি দর্শন বলতে কী বুঝ? মধ্যযুগীয় বাঙালি দর্শনের প্রকৃতি আলোচনা কর।
প্রশ্ন৷২৩৷৷ বাঙালির নৃতাত্ত্বিক পরিচয় দাও।
প্ৰশ্ন৷২৪৷ বাঙালি দর্শনের উপর ধর্মের প্রভাব কতটুকু? আলোচনা কর।
প্ৰশ্ন৷২৫৷ বাঙালি দর্শনে যেসব অবৈদিক উপাদান প্রভাব বিস্তার করে রয়েছে সে সম্পর্কে আলোচনা কর।
প্রশ্ন৷২৬৷৷ বাঙালি দর্শন কী? প্রাচীন যুগের বাঙালি দার্শনিকদের দর্শনতত্ত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা কর।
প্রশ্ন৷৷২৭৷ বৌদ্ধদর্শনের প্রভাবশালী ধারা কয়টি ও কী কী? বাঙালি দর্শনে বৌদ্ধদর্শনের প্রভাব আলোচনা কর।
প্ৰশ্ন৷২৮৷৷ বাঙালি দর্শনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগসমূহ আলোচনা কর। এগুলো খণ্ডন করা যায় কী?
প্ৰশ্ন৷২৯৷৷ বাঙালি দর্শন কী? বাঙালি দর্শন কী প্রকৃত দর্শন? আলোচনা কর।
প্ৰশ্ন৷৩০৷ বাঙালি দর্শন কী? সনাতন ধর্মের কোন কোন গ্রন্থ বাঙালি দর্শন বিকাশে প্রভাব বিস্তার করেছে এবং
কিভাবে? আলোচনা কর।
প্ৰশ্ন৷৩১৷ বিভিন্ন ধর্ম কিভাবে বাঙালি দর্শনকে প্রভাবিত করেছে? আলোচনা কর।