ইভটিজিং কাকে বলে? ইভটিজিং প্রতিরোধের উপায়সমূহ কী?

অথবা, ইভটিজিং কী? এর প্রতিরোধের চারটি উপায় লিখ।
অথবা, ইভটিজিং বলতে কী বুঝ? ইভটিজিং প্রতিরোধের উপায়সমূহ সংক্ষেপে উল্লেখ কর।
অথবা, ইভটিজিং এর সংজ্ঞা দাও। ইভটিজিং প্রতিরোধের উপায়সমূহ সংক্ষেপে লিখ।
উত্তর ভূমিকা :
বর্তমান সময়ে ইভটিজিং একটি বহুল আলোচিত প্রত্যয়। ইভটিজিং বর্তমানে সামাজিক অপরাধের এক নতুন মাত্রাকে নির্দেশ করে।
ইভটিজিং : ইভটিজিংকে সাধারণভাবে কোনো সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞায় উপস্থাপন করা দুরূহ। যে কাজগুলো সাধারণত উত্যক্তকারীরা করে থাকে এবং যে কাজগুলো থেকে মেয়েরা উত্যক্ত হয় তা হলো অশ্লীল গান বাজানো বা গাওয়া, অশ্লীল বা উদ্দেশ্যমূলক কোনো কথা বলা, কোনো অঙ্গভঙ্গি করা। এসব কাজকে সাধারণ অর্থে ইভটিজিং নামে অভিহিত করা হয়। ইভটিজিং এর প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক এবং ভয়াবহও হতে পারে। এতে ইভটিজিং এর স্বীকার মেয়ে বা মহিলা আত্মহনন পথও বেছে নিতে পারে।
ইভটিজিং প্রতিরোধের উপায় : ইভটিজিং প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা যেতে পারে। যথা :
১. আইনি ব্যবস্থা : ইভটিজিং প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা একটি কার্যকরী পদক্ষেপ। কঠিন আইন তৈরি এবং তার যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা ইভটিজিংকে প্রতিরোধ করতে পারি।
২. সামাজিক প্রতিরোধ : ইভটিজিং প্রতিরোধে সামাজিক প্রতিরোধ একটি কার্যকরী উদ্যোগ। ইভটিজিংকারীদের প্রতি সামাজিকভাবে ঘৃণা প্রদর্শন এবং তাদের চিহ্নিতকরণ ও সামাজিক বয়কটের মাধ্যমে ইভটিজিং প্রতিরোধ করা যায় ।
৩. শিক্ষা : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সধর্মীয় এবং নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে ইভটিজিং এর নেতিবাচক প্রভাব উল্লেখ করে। সচেতনতা সৃষ্টি করা যায়। এর মাধ্যমে ইভটিজিং প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
৪. অভিভাবকদের সচেতনতা : অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে ইভটিজিং প্রতিরোধ করা সম্ভব। অভিভাবকরাই তাদের সন্তানদের সুপথে পরিচালিত করতে পারে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ইভটিজিং একটি অপরাধ এবং সামাজিক অনাচারও বটে। ইভটিজিং এর জন্য বহুবিধ কারণ জড়িত এবং এর প্রতিরোধের জন্যও একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।