বর্তমান সরকারের দারিদ্র্য বিমোচনের সংস্কার কার্যক্রমসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর।

অথবা, বর্তমান সরকারের দারিদ্র্য বিমোচনের সংস্কার কার্যক্রম উল্লেখ কর।
অথবা, বর্তমান সরকারের দারিদ্র্য বিমোচনের সংস্কার কার্যসমূহ বর্ণনা কর।
অথবা, বর্তমান সরকারের দারিদ্র্য বিমোচনের সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে বিবরণ দাও।
উত্তর৷ ভূমিকা :
বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে বর্তমান সরকার অনেক সংস্কারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে উক্ত সংস্কারমূলক কার্যক্রম এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
দারিদ্র্য বিমোচনে সংস্কার কার্যক্রম : নিম্নে দারিদ্র্য বিমোচনে সংস্কার কার্যক্রম দেওয়া হলো :
১.পরিকল্পিত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে ২০১৩-২০২১ সালের মধ্যে এ দারিদ্র্যের হার যথাক্রমে ২৫ শতাংশ ও ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অতি দারিদ্র্যের জন্য টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা।
অন্তত ২০১৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন দীর্ঘমেয়াদি রূপকল্প হিসেবে বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং ২০১১-২০১৫ মেয়াদের জন্য প্রস্তাবিত ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এর বিষয়ে সরকারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
২.সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মোট ১৫,৪০৮.১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর আওতায় বয়স্ক ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা, দুস্থ মহিলাদের ভাতা, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা সম্মানীসহ আরো ১১টি কার্যক্রম রয়েছে।
৩.বাংলাদেশে ইতোমধ্যে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা সংশ্লিষ্ট ১নং এম ডিজি অর্জনের পথে অগ্রগামী আছে।
৪.চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও দুটি বিশেষায়িত ব্যাংকের ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত ঋণ বিতরণের পরিমাণ ৮১,৫০৭.৪৮ কোটি টাকা ও ঋণ আদায়ের পরিমাণ ৭০,৮৩০.০৯ কোটি টাকা।
৫.সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থার মাধ্যমে ডিসেম্বর ২০১০ পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ হয়েছে ১৯,১৮৬.৬৯ কোটি টাকা এবং আদায়ের পরিমাণ ২০,৪৭৫.৮১ কোটি টাকা।
উপসংহার : উপসংহারে উপর্যুক্ত সংস্কারমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ উন্নতির পথে দ্রুত এগিয়ে যাবে।