পথ জানা নাই : গল্প,শামসুদ্দীন আবুল কালাম

ক-বিভাগ

শামসুদ্দীন আবুল কালামের জন্ম-মৃত্যু সাল কত?
উত্তর : জন্ম : ১৯২৬ সাল এবং মৃত্যু ১৯৯৭ সাল।
তিনি কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : বরিশালের কামদেবপুর গ্রামে।
তাঁর সাহিত্যের উপজীব্য কী?
উত্তর : গ্রামীণ শাশ্বত জীবনের রূপ।
তাঁর কয়েকটি গল্পগ্রন্থের নাম লেখ।
উত্তর : ‘অনেকদিনের আশা, ঢেউ, পথ জানা নাই, দুই হৃদয়ের তীর, শাহের বানু।
তাঁর কয়েকটি উপন্যাসের নাম লেখ।
উত্তর : আলমনগরের উপকথা, কাশবনের কন্যা, আশিয়ানা, কাঞ্চনমালা।
‘পথ জানা নাই’ গল্পটি কোন গ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তর : “পথ জানা নাই” গল্পগ্রন্থের ‘পথ জানা নাই’ গল্পের প্রধান প্রধান চরিত্রের নাম লেখ।
গফুর আলী ওরফে গহুরালি, হাজেরা, জোনাবালি হাওলাদার।
‘পথ জানা নাই’ গল্পের গ্রামের নাম কী?
উত্তর : মাউলতলা।
পথ জানা নাই’ গল্পে উন্মত্তের মতো কে রাস্তা কোপায়?
উত্তর : গহুরালি ।
রাস্তা তৈরি আগে কোন গ্রামটি বহির্জগতের সাথে বিচ্ছিন্ন ছিল?
উত্তর : মাউলতলা।
রাস্তা তৈরির আগে কোন গ্রামে যুদ্ধ-বিগ্রহ কোনো কিছুই প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি?
উত্তর : মাউলতলা।
ভারতবর্ষীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতির মর্মমূল ধরে নাড়া দিয়েছিলো কী?
উত্তর : ইংরেজ সভ্যতা।
কোন গ্রামটি সম্পূর্ণ স্বীয়-স্বাতন্ত্র্য নিয়ে বেঁচে ছিল?
উত্তর : মাউলতলা গ্রাম ।
একজন তরুণ কত বছর আগে মাউলতলা গ্রাম ছেড়েছিল?
উত্তর : চল্লিশ বছর আগে।
চল্লিশ বছর পরে যে লোকটি আবার গ্রামে ফিরে আসে তার নাম কী?
উত্তর : জোনাবালি হাওলাদার।
জোনাবালি হাওলাদার ধন-সম্পত্তির সাথে আর কী কী নিয়ে আসে?
উত্তর : উন্নতর দৃষ্টিভঙ্গি।
‘পথ জানা নাই’ গল্পে রাজার কাছারি কোথায়?
উত্তর : বিশখালী, আড়িয়ালখাঁর ওপাশে।
পথ জানা নাই’ গল্পে শহর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : বিশখালী, আড়িয়ালখার ওপাশে রাজার কাছারির পরে।
ভালোভাবে জীবন-যাপনের জন্য জোনাবালি কী নির্মাণের প্রস্তাব করে?
উত্তর : রাস্তা।
জোনাবালি বোর্ডের সাথে বন্দোবস্তও করে কী নির্মাণের প্রস্তুতি নেয়?
উত্তর : রাস্তা।
কারা রাস্তা নির্মাণে প্রচণ্ড আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসে?
উত্তর : মাউতলার স্বল্পসংখ্যক সঙ্গতিসম্পন্ন মানুষ।
কারা রাস্তা তৈরিতে প্রথমে বাধার সৃষ্টি করে?
উত্তর : গচুরালির মতো মানুষেরা।
গহুরালির জমির পরিমাণ কত ছিল?
উত্তর : পাঁচকুড়া।
রাস্তাতে গহুরালির কতটুকু জমি চলে যায়?
উত্তর : দুইকুড়া।
গহরালির স্ত্রীর নাম কী?
উত্তর : হাজেরা।
রাস্তা তৈরির পর জোনাবালি কয়টি গরু জবাই করে গ্রামের মানুষদেরকে খাওয়ায়?
উত্তর : দুইটা।
রাস্তা তৈরির শেষ রাতে গ্রামে কোন গানের আসর বসে?
উত্তর : পালাগানের।
রাস্তা তৈরির পর কয়টি যুবক ভাগ্যান্বেষণে গ্রাম থেকে বেরিয়ে পড়ে?
উত্তর : চার-পাঁচজন যুবক।
গহুরালি হাতে কী নিয়ে শহরে বেড়িয়ে আসে?
উত্তর : তেল চকচকে লাঠি নিয়ে।
গহুরালি কোন সময়ে রোমাঞ্চিত হয়েছিল?
উত্তর : সন্ধ্যাকালে বাজারের পথধরে হাঁটার সময়।
পয়সার মূল্যে সব জিনিসের কেনাবেচা হয় কোথায়?
উত্তর : শহরে।
গহুরালি কীসের ভিত্তিতে জীবনকে গড়ে নেওয়ার কথা বলে?
উত্তর : পয়সার ভিত্তিতে।
গহুরালিসহ কতজন বাজারে তরিকারি বিক্রি করতে যায়?
উত্তর : পাঁচজন মিলে।
কত বছরের ব্যবধানে গহুরালি খড়ের চালার জায়গায় টিন দেয়?
উত্তর : তিন বছরের মধ্যে।
মাউলতলা পথে কী ছোটাছুটি আরম্ভ করে?
উত্তর : ফৌজদারি দেওয়ানি মামলা।
মাউলতলা গ্রামের রাস্তায় কী নিয়ে খুন হয়েছিল?
উত্তর : গরুতে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে।
কোন সময় চাল-ডালের দাম বেড়েছিল?
উত্তর : দুর্ভিক্ষের সময়।
কারা পকেটে ঘুষ নিয়ে আবার শহরে ফিরে যায়।
উত্তর : সুশাসনের জন্য নিযুক্ত সরকারি কর্মচারি।
মাউলতলা গ্রামের সড়ক বেয়ে কী আসে?
উত্তর : মম্বস্তর।
মাউলতলা গ্রামের সড়ক বেয়ে মন্বন্তরের সাথে সাথে আর কী আছে?
উত্তর : রোগ-ব্যাধি, চোরাবাজার, দুর্নাতির উত্তাল জোয়ার।
বাবুর্চিখানার লুৎফরের সাথে কে পালিয়ে যায়?
উত্তর : আসগর উল্লার সোমত্ত কন্যা কুলসুম।
লড়াই ফেরত কার স্ত্রী স্ত্রীরোগে মারা যায়?
উত্তর : ইউসুফের।
তরিতরকারি, কাঠ, মুরগি কিনতে কে গ্রামে আসে?
উত্তর : মিলিটারি দালাল।
মন্বন্তরের সময় কার সাথে গহুরালির ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়?
উত্তর : মিলিটারি দালালের সাথে।
গহুরালির স্ত্রী হাজেরা কার সাথে পালিয়ে যায়?
উত্তর : মিলিটারি দালালের সাথে।
ঘুম থেকে জেগে গহুরালি আর কী খুঁজে পায় না?
উত্তর : তার স্ত্রী হাজেরাকে।
গহুরালি কত মাইল দূরে গিয়ে তার স্ত্রীর চলে যাওয়ার সংবাদ পায়?
উত্তর : সাত মাইল দূরে।
গহুরালি মন্বন্তরে বাইরে নিঃস্ব হলে কিসে অন্তরে নিঃস্ব হয়?
উত্তর : নিজ স্ত্রী হাজেরাকে হারিয়ে।
অবিশ্রান্তভাবে কে সড়ক কোঁপাতে থাকে ?
উত্তর : গহুরালি।
গহুরালির কাছে কোনটা ভুল বলে মনে হয়?
উত্তর : মাউলতলা গ্রামে রাস্তা নির্মাণ।
গ্রামে কী রাষ্ট্র হয়ে যায়?
উত্তর : স্ত্রীর শোকে গহুরালি পাগল হয়ে গেছে।
‘মত্তজনোচিত’ অর্থ কী?
উত্তর : উন্মত্ত মানুষের মতো।
‘সংগতিসম্পন্ন’ কী?
উত্তর : সচ্ছল।
উদয়াস্ত কী?
উত্তর : সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
‘পীরহান’ কী?
উত্তর : জামা।

খ-বিভাগ

প্রশ্ন।১।গল্পকার শামসুদ্দীন আবুল কালাম সম্পর্কে তোমার অভিমত ব্যক্ত কর।
প্রশ্ন॥২॥ ‘পথ জানা নাই’ গল্পের মূলভাব আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥৩।আমরা যে রাস্তা চাইছেলাম হেয়া এনা, ঠিক অয় নাই।”- কে এবং কেন এমন বলেছে?
প্রশ্ন॥৪॥ “অন্য কোন নয়া সড়কের স্বপ্নতো তাহাদের মনে কেহ জাগায় নাই।” ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৫॥ “বিংশ শতাব্দীর বণিক সভ্যতার কিছুমাত্র স্পর্শ তাহা ব্যাহত করে নাই।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন৷৬৷ “দাম চড়িল সব জিনিসের কমিল কেবল জীবনের।”— উক্তিটির যথার্থতা
প্রশ্ন॥৭॥ “যা আরম্ভ করলা, শেষকালে আমাগোও না বাজারে লইয়া যাও।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৮॥ “মানুষ হইতে হইলে, ভালোভাবে জীবন ধারণ করিতে হইলে ঐসব শহর বন্দরের সহিত যোগাযোগ একান্ত দরকার।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।৯।“মোডে পাঁচ কুড়া আমার ভুঁই, হের দুই কুড়াই সড়কে খাইলে আমি খামু কী?”- কে এবং কেন এমন বলেছে?
প্রশ্ন।১০।“তাহার চেয়ে সম্মুখে যে নয়া জীবনের হাতছানি তাহাকে বরণ করিয়াই দেখুক না এবার।”— বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্নঃ১১।“আরো কইলেন বোলে হগোলডিরে বাইর অওনইয়া স্বভাবে পাইছে, এ য়া ভালো লক্ষণ না।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।১২।“একী কেবল সড়ক। একটা নতুন জীবনের রাস্তা।”— ব্যাখ্যা কর।’
প্রশ্ন॥১৩॥ “তাহার মত দীন-দরিদ্রের প্রতি সকলেই ভ্রুক্ষেপহীন। দুই দণ্ড থামিয়া এখানে কেহই তো তাহার কুশলও জিজ্ঞাসা করে না।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন ১৪॥ “পয়সাই এখানকার জীবন নিয়ন্ত্রিত করিতেছে, প্রাণের কোন মূল্য ইহারা দেয় না।”- বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন।১৫।নতুর রাস্তা সৃষ্টির ফলে মাউলতলা গ্রামে কী কী পরিবর্তন লক্ষ করা যায়?
প্রশ্ন।১৬।রাস্তার তৈরির পূর্বের মাউলতলা এবং রাস্তা তৈরির পরের মাউলতলা গ্রামের মধ্যকার পার্থক্য নিরূপণ কর।
প্রশ্ন॥১৭॥ “মন্বন্তরে গহুরালি নিঃস্ব হইয়াছিল বাহিরে, এবারে হইল অন্তরে।”- কেন?
প্রশ্ন।১৮।“সকলেরই মঙ্গলের জন্য যে কাম করতেই হবে।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।১৯।“নোতুন কোন জিনিস করতে গেলে একদল মানুষ চাইর দিক দিয়া এরহম বাধা দেয়ই।”- কে এবং কোন প্রসঙ্গে কেন এমন বলেছে?
প্রশ্ন।২০।“সক্কলের মঙ্গল মাইনিইতো আমাগোও মঙ্গল।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন৷২১।“এই সড়ক তাহাদের সে কামনাকে পরিপূর্ণ করিতে পারিবে কি না তাহা বিচারের সাধ্য তাহাদের ছিল না, বিশ্বাসেই তাহারা উজ্জীবিত হইয়া উঠিয়াছে।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন৷ ২২৷ “তবু সারাপথ ভাবিয়া চিন্তিয়া সে এই পয়সার ভিত্তিতেই ভবিষ্যৎ জীবনকে পাত গড়িয়া তুলিবার সংকল্প করিল।”— কে এবং কেন এমন চিন্তায় ব্যস্ত?

গ-বিভাগ

প্রশ্ন॥১॥ ‘পথ জানা নাই’ গল্পটি বর্তমান নগরকেন্দ্রিক সমাজব্যবস্থার প্রতি তীব্র কটাক্ষ কি হেনেছে”- উক্তিটির আলোকে ‘পথ জানা নাই’ গল্পের মূলবক্তব্য নিজের ভাষায় লেখ।
প্রশ্ন॥ ২॥ শামসুদ্দীন আবুল কালামের ‘পথ জানা নাই’ গল্প অবলম্বনে বণিক সভ্যতা পাশ কানুন কীভাবে একটি নিস্তরঙ্গ সরল গ্রামকে বিপর্যস্ত করেছে তা আলোচনা কর।
প্রশ্ন।৩।শামসুদ্দীন আবুল কালাম রচিত ‘পথ জানা নাই’ গল্পের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা কর।
প্রশ্নঃ॥৪॥ শামসুদ্দীন আবুল কালাম রচিত ‘পথ জানা নাই’ গল্প অনুসরণে গহুরালির চরিত্র বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন॥৫॥ ছোটগল্প হিসেবে ‘পথ জানা নাই’ কতটুকু সার্থক তা আলোচনা কর।