উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ আশা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ আত্মনির্ভরশীল ক্ষুদ্র আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। আশা এ দেশের
আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচন থেকে শুরু করে পুনর্বাসনের ক্ষেত্রেও এটি অবদান রেখে চলেছে। আশা এ দেশের ভাগ্যাহতদের সুসংগঠিত করে বিভিন্ন কর্মতৎপরতায় সংযুক্ত করছে। ফলশ্রুতিতে জাতীয় উন্নয়ন হচ্ছে আরো গতিশীল ।
→ আশা ঃ আশা একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। যার পুরো নাম হচ্ছে Association for Social Advancement- ASA। বাংলাদেশের আর্থ- সামাজিক উন্নয়ন বিশেষত ক্ষমতাহীনদের ক্ষমতা দিয়ে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে এই সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। তার নাম আশা । ১৯৭৮ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আশা নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্যকে সামনে রেখে তার কর্মকাণ্ড চালনা করে থাকে। আশার প্রতিষ্ঠালগ্নের কার্যক্রম লক্ষ্যদলকে শিক্ষা, সচেতনতা সৃষ্টি, মানবাধিকার সংরক্ষণ, সামাজিক আন্দোলন প্রকৃতির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রম সফল হয়নি। ফলে আশা ১৯৯১ সাল থেকে
লক্ষ্যদলকে অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনে ক্ষুদ্র ঋণকে মডেল হিসেবে গ্রহণ করে। সে সাথে এর কার্যক্রম ও কৌশলেও কিছু পরিবর্তন সাধন করা হয়। নতুন কার্যক্রম সাফল্য অর্জনে সমর্থ হয়। বর্তমানে দেশে এর ৬৪টি জেলায় ২৩০০টি শাখা রয়েছে এবং এর ক্ষুদ্র ঋণ, বিমা, সঞ্চয় ও স্বাস্থ্যসেবার আওতায় ৬০ লক্ষ সদস্য রয়েছে।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, আশা বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে সিদ্ধহস্ত। তাই আশার লক্ষ্য উদ্দেশ্যের বাস্তবায়নে কার্যক্রমকে সুসংহত করতে পারলে সকলেই এর সুবিধা গ্রহণে সক্ষম হবে।