অথবা, ফলিত গবেষণার সুবিধা ও অসুবিধা উল্লেখ কর।
অথবা, ফলিত গবেষণার সুবিধা ও অসুবিধা তুলে ধর।
অথবা, মাঠ গবেষণার সবল ও দুর্বল দিকসমূহ লিখ।
উত্তরঃ ভূমিকা : মাঠ পর্যায়ে পরিচালিত গবেষণাকে মাঠ গবেষণা (Field research) হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। এটি ফলিত গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
মাঠ গবেষণা : গবেষক যখন বাস্তব পরিস্থিতিতে কোনো গ্রহণযোগ্য অবস্থায় এক বা একাধিক নিরপেক্ষ চলকে গীয় উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ব্যবহার করেন তখন তাকে মাঠ গবেষণা বলে। এ গবেষণার অপেক্ষাকৃত কম নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা যায়। মাঠ পর্যায়ের গবেষণা বাস্তব ঘটনা ও গবেষকের সরেজমিনে উপস্থিতির মধ্যকার কার্যকারণের উপর পুরোটাই
মাঠ গবেষণার সুবিধা : মাঠ গবেষণার কতিপয় সুবিধা রয়েছে। এগুলো হলো :
প্রথমত, মাঠ গবেষণা অত্যও বাস্তব পরিস্থিতিতে করা হয়।
দ্বিতীয়ত, এ গবেষণায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলের গতিময়তা সফলভাবে অনুসন্ধান করা যায় ।
তৃতীয়ত, মাঠ গবেষণায় তত্ত্ব যাচাই করা যায় ।
চতুর্থত, এ গবেষণায় বাস্তব সমস্যার সমাধানের যথেষ্ট সুযোগ থাকে।
পঞ্চমত, সব ধরনের সমস্যা নিয়েই এটি অনুসন্ধান করে বিধায় এর পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক ।
মাঠ গবেষণার অসুবিধা : মাঠ গবেষণার সুবিধার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে । এগুলো হলো :
প্রথমত, মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান চালাতে হয় বলে এ গবেষণা পরিচালনা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ।
দ্বিতীয়ত, নির্দিষ্ট সমগ্রকের মধ্য থেকে নির্বিকার নমুনায়ন বাছাই বেশ কঠিন।
তৃতীয়ত, নমুনা যদি নৈর্ব্যক্তিক এবং বিজ্ঞানসম্মতভাবে নির্বাচন না করা হয় তবে গবেষণার ফলাফল ভ্রান্ত হতে পারে।
চতুর্থত, মাঠ গবেষণায় গবেষককে দক্ষ হতে হয়। অদক্ষতার কারণে সঠিকভাবে তা সম্পন্ন করা যায় না।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও পরিশেষে বলা যায় যে, বর্তমান সময়ে মাঠ গবেষণা ফলিত গবেষণার একটি অংশ হিসেবে অনুসন্ধানমূলক কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করছে।