সুফিবাদের শরীয়ত বলতে কী বুঝ?

অথবা, শরীয়ত বলতে কী বুঝ?
অথবা, সুফিবাদে শরীয়ত কাকে বলে?
অথবা, সুফিবাদের শরীয়ত সম্পর্কে যা জান সংক্ষেপে লেখ।
অথবা, সুফিবাদের শরীয়ত সম্পর্কে ধারণা দাও।
অথবা, শরীয়ত কাকে বলে?
উত্তর৷ ভূমিকা :
আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ ও তাঁর ইশকে বলীয়ান হওয়াই সুফি জীবনের চরম লক্ষ্য। কিন্তু এ লক্ষ্যে উপনীত হওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার। তাই এ লক্ষ্য উপনীত হওয়ার জন্য সুফিকে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা ও পথ
অতিক্রম করতে হয়। সুফির যাত্রাপথ দীর্ঘ। এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে তাকে কিন্তু চারটি মঞ্জিল অতিক্রম করতে হয়। যথা: শরীয়ত, তরিকত, মারেফত ও হকিকত।
শরীয়ত : সুফিবাদের পথ পরিক্রমার প্রথম পথ হলো শরীয়ত। শরীয়ত ইসলামি জীবন বিধানের বিভিন্ন ক্রিয়াকর্ম সম্পর্কে আলোচনার করে। আধ্যাত্মিক জীবনের রূপায়ণের জন্য শরীয়তের বিধিবিধানের অনুশীলনের মাধ্যমে সুফিকে ভবিষ্যতের কঠোর ব্রত পালনের জন্য প্রস্তুতি লইতে হয়। কলেমা, নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত এবং আল্লাহ্ ও রাসূলের অন্য বিধান পালনের মাধ্যমে সুফি আধ্যাত্মিক জীবনের প্রস্তুতি পাঠ সমাধা করেন। শরীয়তের বিধিবিধান পালনের মধ্য দিয়ে সুফি তার প্রবৃত্তিসমূহকে নিয়ন্ত্রিত করেন; দেহকে আত্মার অধীনে আনয়ন করেন। খোদা এ সম্পর্কে কুরআনে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেন। যেমন- “আর যে ব্যক্তি তাঁহার সন্দর্শন কামনা করে সে যেন এই এক ও অদ্বিতীয় প্রভুর অর্চনায় আর কাহাকেও শরীক না করে।’
“হে মোমেনগণ আল্লাহকে মানিয়া চলিও, রাসূলকে মানিয়া চলিও, আর তোমাদের চালক ও নেতাদের।”
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সুফির দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় শরীয়ত প্রাথমিক স্তর। এর বিধান সর্বতোভাবে অবশ্যই পালনীয়। শরীয়তকে সঠিকভাবে পালন করার জন্য তরিকার অনুসন্ধান করতে হয়। সুফিবাদে শরীয়তের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।