সংক্ষেপে পূর্বানুমানের গুরুত্ব লিখ ।

অথবা, অনুকল্পের প্রয়োজনীয়তা লিখ।
অথবা, হাউপোথেসিসের তাৎপর্য লিখ।
অথবা, অনুকল্পের গুরুত্ব লিখ।
অথবা, অনুকল্পের তাৎপর্যসমূহ লিখ।
উত্তর৷ ভূমিকা :
সকল গবেষণায় পূর্বানুমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । সদা পরিবর্তনশীল ও বিবর্তনশীল সমাজের বিভিন্ন উপাদান নিয়ে অনুসন্ধান কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে পূর্বানুমান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে । সঠিক পূর্বানুমান ব্যতীত গবেষণা দিশাহীন অনুসন্ধানে পরিণত হতে পারে। পূর্বানুমান নির্দেশ করে গবেষণার জন্য কি প্রকারের তথ্য সংগ্রহ করা আবশ্যক।
পূর্বানুমানের গুরুত্ব : নিম্নে সামাজিক পরিসংখ্যানে এর ভূমিকা তুলে ধরা হলো :
১. পূর্বানুমান আমাদের গবেষণার সমস্যার উত্তর পাওয়ার জন্য যেসব তথ্য সংগ্রহ করতে হবে তা নির্ধারণ করতে এবং ঐসব তথ্যের তাৎপর্য অনুধাবন করতে সাহায্য করে।
২. অনুসন্ধান কাজে কি কি বিষয় অনুমোদন, গ্রহণ ও বর্জন করতে হবে পূর্বানুমানের উপস্থিতিতে তা নির্ধারণ করা যায়।
৩. ল্যুন্ডবার্গ (Lundberg-1926) এর মতানুযায়ী, পূর্বানুমানের উপস্থিতি হেতু সজ্ঞানে আমাদের ইন্দ্রিয়ের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে নেয়া যায় এবং আমাদের অনুসন্ধানের ক্ষেত্রকে সংকুচিত করে ভুল সম্ভাবনাকে কমিয়ে নেয়া যায় ।
৪. পূর্বানুমান গবেষককে বিশ্লেষণাধীন নির্দিষ্ট বিষয়ের মধ্যে মনোযোগী থাকতে সুযোগ করে দেয়।
৫. যথোপযোগী গবেষণা পদ্ধতি অবলম্বনে এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহে পূর্বানুমান গবেষককে চালিত করে।
৬. গবেষণা কাজের সকল ক্ষেত্রেই গবেষকের সঠিক দিকনির্দেশক হিসেবে পূর্বানুমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
৭. তত্ত্ব (Theory), প্রত্যয় (Concept) এবং প্রত্যয়গত স্কীম (Conceptual Scheme) তৈরি করার ক্ষেত্রে পূর্বানুমানের ভূমিকা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ।
৮. গবেষণার কাজে প্রয়োজনীয় অর্থ, সময় ও শ্রমের মিতব্যয়ে পূর্বানুমান সুযোগ সৃষ্টি করে ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার শেষে আমরা বলতে পারি যে, পূর্বানুমানই সমস্ত গবেষণা কার্যক্রমকে পরিচালিত ও দিকনির্দেশনা দান করে। একটা ভালো Hypothesis গঠন ছাড়া একটা গবেষণা সঠিকভাবে বিকশিত হতে পারে না । উপরন্তু পূর্বানুমান গবেষণার ক্ষেত্রে তত্ত্ব এবং অনুসন্ধানের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের জন্য অপরিহার্য ।