রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধের মূল বক্তব্য লেখ।

উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) সাহিত্য, সভা, সংবর্ধনা বিভিন্ন স্থানে ইতিহাস, সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর মতামত ব্যক্ত করেছেন। দেশমাতৃকার বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। Pure beauty’ বা ‘universal’ সত্য তাঁর সাধনা হলেও সমকালীন রাজনীতি তাঁর চিন্তাশীল ও ভাবুক মনকে চিরদিনই কমবেশি উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল। প্রথাগত রাজনীতি বলতে যা বুঝায় তিনি সেই রাজনীতির সাথে কখনো যুক্ত ছিলেন না। তবে সরাসরি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না হয়েও দেশ, রাষ্ট্র ও ভাবনার যে পরিচয় পাওয়া যায়, তা একজন প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদের চিন্তা-চেতনা থেকেও অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর এ চিন্তা-চেতনার সম্মিলন ঘটেছে “কালান্তর” (১৯৩৮) প্রবন্ধ গ্রন্থে। রবীন্দ্রনাথ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে দূরদর্শী প্রবন্ধ লিখেছেন। ‘কালান্তর’ প্রবন্ধ সংকলনটি তারই প্রমাণবাদী। এখানে তাঁর রাজনৈতিক দার্শনিকতার পরিচয় রয়েছে। কালান্তরে’র একটি অতি তাৎপর্যপূর্ণ প্রবন্ধ হলো ‘সভ্যতার সঙ্কট’ (১৯৪১)। আশি বছর সেদিন কবির পূর্ণ হয়েছে, সেদিন তিনি প্রবন্ধটি লিখেছেন। নিজের আশি বছর জীবনে কবি তাঁর উপলব্ধ চিন্তাধারা প্রকাশ করেছেন। ইংরেজ জাতি সম্বন্ধে কবি তাঁর পরিবর্তিত ধারণা চিত্র তুলে ধরে বলেছেন, “আজ আমার বয়স আশি বছর পূর্ণ হলো, আমার জীবন ক্ষেত্রের বিস্তীর্ণতা আজ আমার সম্মুখে প্রসারিত। পূর্বতম দিগস্তে সে জীবন আরম্ভ হয়েছিল তার দৃশ্য অপর প্রান্ত থেকে নিঃসক্ত দৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি এবং অনুভব করতে পারছি যে, আমার জীবনের এবং সমস্ত দেশের মনোবৃত্তির পরিণতি দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। ” প্রাবন্ধিক গভীর বেদনার সাথে উপলব্ধি করেছে ইংরেজজাতির ঔদার্যের প্রতি তাঁর সে পূর্ণ বিশ্বাস ছিল বিশ্বে তাদের নিষ্ঠুর আধিপত্যবাদ বিস্তারের কারণে তা ভঙ্গ হয়ে গেছে। তবে কবি হতাশ হননি। সভ্যতার এ সংকট থেকে উত্তরণে তিনি আশার বাণীও উচ্চারণ করেছেন। আলোচ্য প্রবন্ধে তারই পরিচয় রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বপ্রেমিক। তাঁর স্বদেশ প্রেম ছিল এ বিশ্বপ্রেমের সোপান ও সাধনার উপায়। তিনি বলিষ্ঠ হৃদয়ে সহজ সত্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কবি তাঁর জীবনে দুটি বিশ্বযুদ্ধের অভিঘাত প্রত্যক্ষ করেছেন। ১৯৪১ সালে লিখিত ‘সভ্যতার সঙ্কট’ প্রবন্ধে তিনি ঘোষণা করেছিলেন- “একদিন না একদিন ইংরেজকে এ ভারত সাম্রাজ্য ত্যাগ করে যেতে হবে।” ১৯৪৭ সালে তারা চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। কাজেই আলোচ্য প্রবন্ধটি প্রাবন্ধিকের মনীযার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। রবীন্দ্রনাথ আন্তরিক শ্রদ্ধা নিয়ে ইংরেজকে তাঁর হৃদয়ের উচ্চাসনে বসিয়েছিলেন। প্রাবন্ধিক তাঁর জীবনের প্রথমদিকে ইংরেজকে জেনেছিলেন তার সাহিত্যে, বৈদগ্ধে। দিনরাত্রি মুখরিত ছিল বার্কের বাগ্মিতায়, সেকেলের ভাষা প্রবাসের তরঙ্গভঙ্গে, নিয়তই আলোচনা চলত শেকস্‌পিয়ারের নাটক নিয়ে, বায়রনের কাব্য নিয়ে এবং তখনকার পলিটিক্‌সে সর্বমানবের বিজয় ঘোষনায়। ইউরোপের চিত্তদূত রূপে সে ইংরেজ এসেছে তার প্রভাব তিনি লক্ষ করেছেন এবং মানবনেত্রীর বিশুদ্ধ পরিচয়ও তিনি দেখেছেন ইংরেজ চরিত্রে। অল্পবয়সে কবি লন্ডনে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি জন ব্রাইটের মুখ থেকে বক্তৃতা শুনেছিলেন। শুনেছিলেন ইংরেজের চিরকালের বাণী। সেই বক্তৃতায় হৃদয়ের ব্যাপ্তি জাতিগত সকল সঙ্কীর্ণ সীমাকে অতিক্রম করে গিয়েছিল। ইংরেজ সাহিত্য কবির মনে সে প্রভাব বিস্তার করেছিল তার পরিচয় প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, “ইংরেজের সে সাহিত্যে আমাদের মন পুষ্টি লাভ করেছিল আজ পর্যন্ত তার বিজয়শঙ্খ আমার মনে মন্ত্রিত হয়েছে। সভ্যতার আদর্শকে আমরা ইংরেজ জাতির চরিত্রের সাথে মিলিত করে গ্রহণ করেছিলেন। আমাদের পরিবারে এ পরিবর্তন, কী ধর্মমতে কী লোক ব্যবসায়ে ন্যায়বুদ্ধির অনুশাসনে পূর্ণভাবে গৃহীত হয়েছিল। আমি সেই ভাবের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছিলুম এবং সেই সাথে আমাদের স্বাভাবিক সাহিত্যানুরাগ ইংরেজকে উচ্চাসনে বসিয়ে ছিল। ” জীবনের প্রথম ভাগে প্রাবন্ধিক ইংরেজদের মধ্যে দেখতে পেয়েছেন মানুষের প্রতি মানুষের অন্যায় দূর করবার আগ্রহ, রাষ্ট্রনীতিতে মানুষের শৃঙ্খলমোচনের ঘোষণা অথচ জীবনের শেষ ভাগে সে ইংরেজরা এ অনুসঙ্গগুলো অসত্য প্রমাণ করে নিষ্ঠুর হয়ে উঠলো। কবি দেখলেন সভ্যতার মশাল নিয়ে যে ইংরেজ এসেছিল তার মশালে জ্ঞানের আলোর পরিবর্তে ধ্বংস। ক্ষুব্ধ প্রাবন্ধিক ইংরেজদের সাম্রাজ্যমদমত্তার পরিচয় প্রসঙ্গে বলেছেন, “প্রত্যহ দেখতে পেলুম, সভ্যতাকে যারা চরিত্র-উৎস থেকে উৎসারিত রূপে স্বীকার করেছে, রিপুর প্রবর্তনায় তারা তাকে কী অনায়াসে লঙ্ঘন করতে পারে।” প্রাবন্ধিক সাহিত্যের নিভৃত রসসম্ভোগের বেষ্টন থেকে দেশের দিকে সেদিন চোখ ফিরালেন সেদিন ভারতবর্ষের জনসাধারণের সে নিদারুণ দারিদ্র্য তাঁর সম্মুখে উদ্ঘাটিত হলো তা হৃদয় বিদারক। প্রাবন্ধিক দেখলেন এ দেশ ইংরেজকে দীর্ঘকাল ধরে ঐশ্বর্য জুগিয়ে এলেও চতুর্দিক থেকে এমন নিরতিশয় অভাব পৃথিবীর আধুনিক শাসন চালিত কোন দেশেই ঘটেনি। সভ্যনামধারী মানব- আদর্শের এতো বড়ো নিষ্ঠুর বিকৃত রূপ প্রাবন্ধিক কল্পনাই করেননি। তিনি বুঝতে পারলেন এ দেশের বহু কোটি জনসাধারণের প্রতি ইংরেজদের অপরিসীম অবজ্ঞাপূর্ণ ঔদাসীন্য রয়েছে। যে মন্ত্রশক্তির সামর্থ্য্যে ইংরেজ নিজের বিশ্বকর্তৃত্ব রক্ষা করে এসেছে তার সমোচিত চর্চা থেকে ভারতবর্ষকে বঞ্চিত করেছে। অথচ সেই মন্ত্রশক্তিতে সে জাপানকে বলবান করেছে। প্রাবন্ধিক প্রত্যক্ষ করেছেন রাশিয়ার সাথে বহু মুসলমান জাতির রাষ্ট্রিক সম্পর্ক আছে, রাশিয়া তাদের নানাবিধ সুযোগ সুবিধা দানে বলিষ্ঠ করে তুলেছে। “”মস্কো শহরে গিয়ে রাশিয়ার শাসনকার্যের একটি অসাধারণতা আমার অন্তরকে স্পর্শ করেছিল। দেখেছিলেম, সেখানকার মুসলমানদের সাথে রাষ্ট্র অধিকারের ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে অমুসলমানদের কোন বিরোধ ঘটে না, তাদের উভয়ের মিলিত স্বার্থ সম্বন্দ্বের ভিতরে রয়েছে শাসনব্যবস্থার যথার্থ সত্য ভূমিকা। সোভিয়েত রাশিয়া বহুসংখ্যক মরুচর মুসলমান জাতিকে সকল দিকে শক্তিমান করে তোলবার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়েছে।”- সকল বিষয়ে তাদের সহযোগী করে রাখবার জন্য সোভিয়েট সরকারের প্রচেষ্টা রবীন্দ্রনাথ লক্ষ করেছেন। এতে করে মনুষ্যত্বের কোন হানি হয়নি। পারস্য দেশেও কবি নবজাগ্রত জাতির আত্মশক্তির পূর্ণতা লক্ষ করেছেন। পারস্যবাসীগণ ইউরোপীয় জাতির চক্রান্ত জাল থেকে মুক্ত হতে পেরেছিল। অথচ ভারতবর্ষ ইংরেজের সভ্যশাসনের জগদ্দলপাথর বুকে নিয়ে তলিয়ে পড়ে রইল নিশ্চলতার মধ্যে। এ ইংরেজ স্বজাতি রস্বার্থ সাধনের জন্য চীনের মতো প্রাচীন সভ্য জাতিকে আফিম খাইয়েছে; কোন সরকারের তলায় ছিদ্র সৃষ্টি করেছে। ইংরেজ জাতির প্রতি রবীন্দ্রনাথের মোহভঙ্গ ঘটেছে। এর কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, “ইংরেজকে একদা মানব হিতৈষী রূপে রেখেছি এবং কী বিশ্বাসের সাথে ভক্তি করেছি। ইউরোপীয় জাতির স্বভাবগত সভ্যতার প্রতি বিশ্বাস ক্রমে কী করে হারানো গেল তারই এ শোচনীয় ইতিহাস আজ আমাকে জানাতে হলো।” ‘সভ্যতার সঙ্কট’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছেন। দুই প্রাচ্য দেশ ভারতবর্ষ ও জাপানের মধ্যে সর্বপ্রধান প্রভেদ এ ইংরেজ শাসনের দ্বারা সর্বতোভাবে অধিকৃত ও অভিভূত ভারত, আর জাপান এরূপ কোন জাতির পক্ষছায়ার আবরণ থেকে মুক্ত। এ পশ্চিমা সভ্যতা আমাদের শক্তিরূপ দেখিয়েছে। মুক্তিরূপ দেখাতে পারেনি। ঘরে ঘরে মশাল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে, জ্ঞানের আলোকে অজ্ঞানতা দূর করতে পারেনি। পাশ্চাত্য সভ্যতা বিধি ও ব্যবস্থা’ নামের সম্পূর্ণ বাইরের জিনিস দণ্ড হা তে স্থাপন করেছে। তাই প্রাবন্ধিক বলেছেন, “পাশ্চাত্য জাতির সভ্যতা অভিমানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা অসাধ্য হয়েছে।” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মনে করেন মানুষে মানুষে যে সম্বন্ধ সবচেয়ে মূল্যবান এবং যাকে যথার্থ সভ্যতা বলা যায়, ইংরেজদের অর্থাৎ পাশ্চাত্য সভ্যতার কৃপণতা। এ ভারতবাসীদের উন্নতির পথ সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে দিয়েছে। তবে কবির সৌভাগ্য কয়েকজন মহাশয় ইংরেজের সাক্ষাৎ তিনি পেয়েছেন। দৃষ্টান্তস্বরূপ এন্ড্রুজ যাদের নাম প্রাবন্ধিক উল্লেখ করেছেন। তিনি তাঁকে ‘মানবজাতির বন্ধু বলে মান্য করতেন। তাঁদের সাক্ষাৎ যদি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর না পেতেন তা হলে পাশ্চাত্য জাতির সম্বন্ধে তাঁর নৈরাজ্যের অস্ত থাকত না। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেখলেন ইউরোপীয় সভ্যতার বর্বরতা কীভাবে ‘নখদণ্ড বিস্তার করে বিভীষিকা বিস্তার করতে উদ্যত হয়েছে। পাশ্চাত্যের সাম্রাজ্য মদসত্তার কিরূপে আমাদের গ্রাস করেছে তার পরিচয়- “এ মানবপীড়নের মহামারী পাশ্চাত্য সভ্যতার সজ্জার ভিতর থেকে জাগ্রত হয়ে উঠে আজ মানবাত্মার অপমানে দিগন্ত থেকে | দিগন্ত পর্যন্ত বাতাস কলুষিত করে দিয়েছে।” প্রাবন্ধিক প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মিলন আশা করেছেন বরাবরই, উভয়ের সাম্যে পৃথিবীর উন্নতি-এ চিন্তা তাঁর বরাবর ছিল। জাতির মধ্যে মানবমৈত্রীর বিশুদ্ধ পরিচয় পেয়ে প্রাবন্ধিক তাদের তাঁর হৃদয়ের উচ্চাসনে বসিয়েছিলেন। কিন্তু জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তাঁর সেই বিশ্বাস একেবারে দেউলিয়া হয়ে গেছে। কিন্তু প্রাবন্ধিক বিশ্বাস হারাতে চাননি। তিনি জানেন জীবনের অস্তিমলগ্ন ঘনিয়ে আসছে, তাই তিনি বললেন, “আজ পারের দিকে যাত্রা করেছি-পিছনের ঘাটে কী দেখে এলুম, কী রেখে এলুম, ইতিহাসের কী অকিঞ্চিৎকর উচ্ছৃষ্ট সভ্যতাভিমানের পরিকীর্ণ ভগ্নস্তূপ। কিন্তু, মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ, সে বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত রক্ষা করব। মনুষ্যত্বের অন্তহীন প্রতিকারহীন পরাভবকে চরম বলে বিশ্বাস করাকে আমি অপরাধ মনে করি।” সেজন্য রবীন্দ্রনাথ ভবিষ্যতের দিকে সতর্ক নয়নে চেয়েছিলেন। আমাদের এ পূর্বাচল অর্থাৎ প্রাচ্য থেকে তিনি একজন মহামানবের আবির্ভাব প্রত্যাশা করেছেন, যিনি মহত্ব, মনুষ্যত্ত্ব, প্রজ্ঞা, ঔদার্য, মানবিকতা, বুদ্ধিমত্তা, সমাজ হিতৈষ না, সর্বজনীনতা ও আন্তর্জাতিক দিয়ে মানুষের মহত্বের গান বিশ্বসভা মাঝে গাইবেন। কবির ভাষায়, “আজ আশা করে আছি, পরিত্রাণ কর্তার জন্মদিন আসছে আমাদের এ দারিদ্র্য লাঞ্ছিত কুটিরের মধ্যে; অপেক্ষা করে থাকব, সভ্যতার দৈববাণী যে নিয়ে আসবে, মানুষের চরম আশ্বাসের কথা মানুষকে এসে শোনাবে এ পূর্বদিগন্ত থেকেই।” তিনি কবিতার মাধ্যমে ব্যক্ত করেছেন-


“ঐ মহামানব আসে
দিকে দিকে রোমাঞ্চ লাগে
মর্তধূলির ঘাসে ঘাসে।
সুরলোকে বেজে ওঠে শঙ্খ,
নরলোকে বাজে জয়ডঙ্কা-
এল মহাজন্মের লগ্ন।”


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহামানবের আবির্ভাব কামনা করে নবযুগের জন্য গভীর আশা প্রকাশ করেছেন পৃথিবী থেকে বিদায় গ্রহণের পূর্বমুহূর্তে। তিনি আশা পোষণ করেছেন ‘বৈরাগ্যের মেঘ মুক্ত আকাশে ইতিহাসের একটি নির্মল আত্মপ্রকাশ ঘটবে। আর এভাবেই সভ্যতার সে সঙ্কট তা থেকে জাতির মুক্তি ঘটবে।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%b8%e0%a6%ad%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%95%e0%a6%9f-%e0%a6%aa%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7-%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a7%80%e0%a6%a8%e0%a7%8d/