যোগাযোগ বলতে কী বুঝ?

অথবা, সমাযোজন কী?
অথবা, যোগাযোগ কাকে বলে?
অথবা, যোগাযোগের সংজ্ঞা দাও।
অথবা, যোগাযোগের পরিচয় দাও।
অথবা, যোগাযোগের ধারণা দাও।
অথবা, যোগাযোগ কী?
উত্তর৷ ভূমিকা : যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থায় প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার বা ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যোগাযোগ (Communication)। সমাজকল্যাণ প্রতিষ্ঠান কতকগুলো সাধারণ উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কাজ করে থাকে। সেজন্য নীতিনির্ধারণ, পরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হয়। লক্ষ্য দল (Target Group) এর জন্য সেবার ব্যবস্থা করতে হয়। প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত এসব কার্যক্রমের জন্য যোগাযোগ অপরিহার্য।

যোগাযোগ/সমাযোজন : সাধারণ অর্থে যোগাযোগ বলতে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বা দলের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদানকে বুঝায়। বলা হয়ে থাকে, “Communication is a two-way process of exchanging ideas and information between human beings.”
ম্যাক ফারল্যান্ড এর মতে, “যোগাযোগ বিভিন্ন মানুষের মধ্যে অর্থপূর্ণ ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার একটি প্রক্রিয়া বিশেষ।”
John R. Schermerhorn তাঁর ‘Management’ নামক গ্রন্থে বলেছেন, “Communication is an
interpersonal process sending and receiving symbols with message attached to them.”
লরেন্স এ্যাপেলবি এর মতে, “যোগাযোগ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতি অন্যকে জানায়।”
R. J. Gregg বলেছেন, “Communication is the process by which direction ideas informations,explanations and questions are transmitted from person to person or from group to group. It is a process of interaction between or among individuals.”
পিটার ড্রাকার (Peter Drucker) বলেছেন, “একটি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পেশাগত গোষ্ঠীর মধ্যে পরস্পরকে বুঝবার দায়িত্ব এবং কার্য অনুধাবনের সামর্থ্যই যোগাযোগ ।”
নিউম্যান ও সামারের মতে, “Communication is an exchange of facts, ideas, opinions or emotions by two or more persons.” অর্থাৎ, দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে তথ্যাদি, ধারণাদি, মতামত বা অনুভূতির পারস্পরিক আদান-প্রদানই যোগাযোগ।”
রেনসিস লিকার্ট এর মতে, “একটি সংগঠনের কার্যকারিতার জন্য যোগাযোগ অত্যাবশকীয়। এটাকে ব্যবস্থাপনার একটি প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হয়।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা পরিশেষে বলা যায়, যোগাযোগ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে পারস্পরিক ধ্যানধারণা, মতামত, দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদির আদান-প্রদান ঘটে। প্রশাসনে প্রশাসক যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংগঠনের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পারেন এবং নির্দেশাবলি প্রেরণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পারেন তাকেই প্রশাসনে যোগাযোগ বলে।