মাঠকর্ম অনুশীলনে কেস ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি আলোচনা কর।

অর্থবা, কেস ব্যবস্থাপনা কার্যাবলি আলোচনা কর।
অথবা, কেস ব্যবস্থাপনার দায়িত্বসমূহ লিখ।
অথবা, কেস ব্যবস্থাপনার ভূমিকা লিখ।
অথবা, কেস ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি কী কী?
অথবা, কেস ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি উল্লেখ কর।
উত্তর।৷ ভূমিকা :
কেস ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কতিপয় কার্যাবলি সম্পাদন করতে হয়। এসব কার্যক্রম সম্পদনার উপর এর সফলতা নির্ভরশীল। এক্ষেত্রে সাহায্যার্থীকে গ্রহণ, সাক্ষাৎকার লিপিবদ্ধকরণ, দায়িত্ব পালন, প্রেরণ প্রভৃতি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হয়।
কেস ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি : নিম্নে কেস ব্যবস্থাপনার কার্যবালি আলোচনা করা হলোঃ
১. সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তিকে গ্রহণ করা (Accepting of client) : কেস ব্যবস্থাপনার অন্যতম কাজ হলো সাহায্যার্থীকে গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করা। সাহায্যার্থী তার সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়ে মানসিকভাবে দুর্বল থাকে। অন্যদিকে, মাঠকর্মী সাহায্যার্থীকে তার জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। এক্ষেত্রে সমাজকর্মী তার সচেতনতা কাজে লাগান। গ্রহণ নীতি অনুসারে শিক্ষার্থী এখানে সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তিকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করতে হবে। এর ফলে সাহায্যার্থীও প্রকৃত সেবা পেয়ে থাকে।
২. সাক্ষাৎকার (Interview) : কেস ব্যবস্থাপনার আরেকটি দিক হলো সাক্ষাৎকার।সাক্ষাৎকার হলো সমাজকর্মী ও সাহায্যার্থীর মধ্যে কথোপকথন। এর মাধ্যমে মাঠকর্মী ও সাহায্যার্থীর মধ্যে পেশাদার সম্পর্ক গড়ে উঠে। সমাজকর্মী সাহায্যার্থীকে সঠিকভাবে অনুধ্যান করার সুযোগ পায় সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে সমাজকর্মী সাহায্যার্থীকে পর্যক্ষেণের মাধ্যমে তার সমস্যার গভীরে পৌঁছতে পারে। এর ফলে ব্যক্তির কেস ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কার্যক্রম পরিচলনা করা সহজ হয়।
৩. দায়িত্ব পালন (Responsibility) : এজেন্সিতে কাজ করতে এসে মাঠকর্মীকে কতিপয় দায়িত্ব পালন করতে হয়। এ ধরনের দায়িত্ব প্রতিষ্ঠান সমাজকর্মীকে প্রদান করে থাকে। প্রতিষ্ঠান কতিপয় কর্মসূচি মাঠকর্মীর মাধ্যমে সম্পাদন করে।মাঠকর্ম অনুশীলন করতে এসে সমাজকর্মী নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করে সংস্থার কর্মসূচি বাস্তবে সহায়তা করে।
৪. ইতিহাস লিপিবদ্ধকরণ (History of recording) : কেস ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো এজেন্সিতে আসা সাহায্যার্থীর ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা। এক্ষেত্রে সাহায্যার্থীর যাবতীয় তথ্যাদি নথিভুক্ত করতে হয়।বেকর্ডকৃত যাবতীয় তথ্য সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। এভাবে সাহায্যার্থীর যাবতীয় তথ্য লিপিবদ্ধ করা অপরিহার্য।
৫. প্রেরণ (Referral) : সাহায্যার্থী সাহায্যের প্রত্যাশায় সংস্থার দারস্থ হয়। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ সাহায্যের জন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সেবা গ্রহণের প্রয়োজন হলে সাহায্যার্থীকে সেখানে প্রেরণের ব্যবস্থা করেন।কেস ব্যবস্থার এ পর্যায়ে সাহায্যার্থীকে পূর্ণাঙ্গ সেবা প্রদান করাই মূল লক্ষ্য।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সাহায্যার্থীর সমস্যা সমাধানে কেস ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদিত হয়।এতে করে সাহায্যার্থীর সাহায্যাপ্রাপ্তি নিশ্চিত হয়। এবং সমস্যা সমাধানের পথ প্রশস্ত হয়। তাই মাঠকর্ম অনুশীলনে এর গুরুত্ব অত্যধিক।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%aa%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a0%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a6%a8/