ব্যবস্থাপনা সার্বজনীন ব্যাখ্যা কর

ব্যবস্থাপনা হলো একটি প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি, যার মাধ্যমে সময়, সহায়কতা, সম্পদ, এবং সম্প্রদায় প্রবর্তনের জন্য বিভিন্ন উপায়ে সাধারিত কাজ করা হয়। এটি সার্বজনীনভাবে যে কোন সংগঠনে প্রয়োজ্য, যেমন একটি কোম্পানি, সরকার, বা একটি সামাজিক সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে।

এটি সামাজিক এবং আর্থিক সংগঠনের সৃষ্টি, পরিচালনা, এবং নির্দেশনা সম্পর্কে বলা হয়। এটি নিয়ে কাজ করা হয় যাতে সংগঠন প্রয়োজনীয় লক্ষ্যে এগিয়ে যত্ন নেয় এবং সঠিকভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়।

ব্যবস্থাপনার কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে নীতি নির্ধারণ, পরিয়ালোচনা, পরিকল্পনা, সংগঠনের সহযোগিতা, এবং পর্যবেক্ষণ এবং নিরীক্ষণ। ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একটি সংগঠন তার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে এবং সঠিক দিকে চলতে পারে।

একটি ভাল ব্যবস্থাপনা দক্ষতা এবং সুসংগঠন অবস্থানে ভিত্তি করে এবং তার কার্যক্ষমতা, দক্ষতা এবং প্রভাবশালী নেতৃত্বের মাধ্যমে সংগঠনটি সার্বজনীন সুস্থ থাকতে সক্ষম হয়।

সার্বজনীন বলতে বুঝায় যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। ব্যবস্থাপনার মৌলিক কার্যাবলী পরিরকল্পনা, সংগঠন, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয়সাধন এবং নিয়ন্ত্রণ যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য অপরিহার্য। তাছাড়া ব্যবস্থাপনার যে নীতি ও তত্ত্ব রয়েছে তাও সর্বক্ষেত্রে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। পরিবার থেকে শুরু করে শিল্প কারখানা, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, স্কুল কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয় সর্বক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য দেখা গেলেও সর্বক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার কাজগুলো একই। দলবদ্ধ যে কোন কাজের জন্য ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। সব সমাজেই ব্যবস্থাপনার কজের ধরণ ও প্রকৃতি একই রকম। তাই বলা হয়, ব্যবস্থাপনা সার্বজনীন।

ব্যবস্থাপনা (ইংরেজি: Management) হলো কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্য বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কোন গোষ্ঠীর উপর কর্তৃত্ব স্থাপন ও নিয়ন্ত্রণ-এর মাধ্যমে, প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত উপকরণ (মানবীয় ও বস্তুগত) কার্যকর ব্যবহারের একটি ধারাবাহিক, সার্বজনীন (সক্রেটিসের মতে, ব্যবস্থাপনা সার্বজনীন) সামাজিক প্রক্রিয়া, যা একটি মূল্যবান অর্থনৈতিক সম্পদ। ইংরেজি Management ( to handle- চালনা করা বা পরিচালনা করা ) শব্দটি ল্যাটিন বা ইতালীয় Maneggiare ( to train up the horse- অশ্বকে প্রশিক্ষিত করে তোলা বা পরিচালনার উপযোগী করে তোলা) শব্দ থেকে সৃষ্ট, যা কালের বিবর্তনে মানুষকে প্রশিক্ষিত করে তোলে, তার নিকট হতে কাজ আদায় করে নেয়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়ে পড়েছে। সমাজ বা সমাজ সংশ্লিষ্ট পক্ষের সম্পৃক্ততার কারনে ‘ব্যবস্থাপনা’ জ্ঞানের অন্যতম একটি শাখায় পরিণত হয়েছে।