অথবা, বিশ্বায়ন বলতে কী বুঝ?
অথবা, বিশ্বায়ন প্রত্যয়টি ব্যাখ্যা কর।
অথবা, বিশ্বায়নের সংজ্ঞা দাও।
অথবা, বিশ্বায়ন কাকে বলে?
উত্তর৷ ভূমিকা : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বিশ্বব্যবস্থার অন্যতম ধারণা হলো বিশ্বায়ন (Globalization)। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বিশ্বায়নের এ ধারণা একবিংশ শতাব্দীর ধারণার সাথে অনেক ক্ষেত্রে ব্যবধান সৃষ্টি করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বিশ্ব রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বিশ্বায়নের প্রয়োজনীয়তা অনেকে উপলব্ধি করেছিলেন। কিন্তু সমকালীন বিশ্বায়ন বিরোধী জোট খুব তৎপর থাকায় তা তেমন ব্যাপকতা লাভ করতে পারেনি। ১৯৯০ এর দশকে এসে বিশ্বায়ন বিরোধী জোট তাসের ঘরের মত ভেঙে গেলে বিশ্বায়নের প্রবক্তাদের তেজ বেড়ে যায়। যার ফলশ্রুতিতে আজ বিশ্বায়নের এ বিস্তৃতি বা ব্যাপকতা লাভ।
বিশ্বায়নের সংজ্ঞা : একবিংশ শতাব্দীর আলোচ্য বিষয় হলো বিশ্বায়ন। অতীতে বিশ্বায়নকে যে অর্থে লক্ষ বা উপলব্ধি করা হতো এখন তা অন্য দৃষ্টিতে করা হচ্ছে। বিশ্বায়নের সংজ্ঞা নিয়েও ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ আছে। অনেকের মতে, এটা একটি প্রক্রিয়া যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এক বিস্ময়কর বিকাশ। অনেকের ধারণা, বিশ্বব্যাপী একটি Globaleconomy গড়ে তোলার লক্ষ্যে পুঁজিবাদের সংযোজন হলো এ Globalization process | পুঁজিবাদের বাণিজ্য উদারীকরণ ও বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার নীতি নির্ধারকদের মতে, Globalization হলো, “A trend where by social relations become less tied to territorial geography…….. Globality is
Supraterriteriality as such Global relations are qualitively different from international relations. অন্যদিকে Global economy অবাধ বিচরণ করবে Across the planet, across bankers, across economic sectors, across political spectrum and across academic disciplines.” এ্যানথনি গিডেন্স বলেন, “Globalization can thus be defined as the intersification of worldwide
social relations which link distant localities in such a way that local happenings are shaped by events occuring many miles away and vice versa.” বিশ্বায়ন সম্পর্কে ম্যাকগ্রু বলেন, “বিশ্বায়নকে বলা হয় আধুনিক বিশ্বব্যবস্থার অন্তর্গত বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে
বহুবিধ সংযোগ এবং সম্পর্কের নিমিত্তকে।”
অতএব, Globalization হলো পুঁজিবাদের নয়া ঔপনিবেশিকবাদের একটি প্রক্রিয়া বা অর্থনৈতিক কৌশল ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত সংজ্ঞাগুলোর আলোকে বলা যায়, বিশ্বায়ন মূলত একটি সর্বব্যাপী ও সার্বক্ষণিক চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের ব্যাপক প্রসারের ফলে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি মানুষই একটি একীভূত বিশ্বব্যবস্থায় মিলিত হচ্ছে যা বিশ্বায়নের ধারণাকে আরো জোরালো করে তুলেছে।