অথবা, সামাজিক বিবাহের গুরুত্ব আলোচনা কর।
অথবা, বিবাহের সামাজিক প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
অথবা, বিবাহের সামাজিক তাৎপর্য বর্ণনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : মানব সভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় আদিম মানুষে মধ্যে গোষ্ঠী জীবনের সৃষ্টি হয় এবং বিবাহ ব্যবস্থার প্রচলন শুরু হয়। সুতরাং বিবাহ একটি প্রাচীন প্রথা। বর্তমানে বিবাহকে সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য করা হয়।
সামাজিক গুরুত্ব : পরিবার গঠনের একমাত্র উপায় হলো বিবাহ। বিবাহের সামাজিক ও ব্যক্তিগত তাৎপর্য আছে বলেই প্রত্যেক সমাজে নানা প্রকার অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে বিবাহ কার্য সম্পাদিত হয়। ব্যক্তির যৌন জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে ব্যক্তি ও সমাজজীবনে যৌনাচার রোধকল্পেই কতকগুলো বিধি-নিষেধ এবং সামাজিক রীতিনীতির মাধ্যমে বিবাহ ব্যবস্থার
উদ্ভব হয়। বিবাহের সামাজিক গুরুত্ব নিম্নে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো :
১. বিবাহ নারী পুরুষকে সামাজিক চুক্তি বন্ধনে আবদ্ধ করে।
২.বিবাহ সন্তানকে বৈধ পিতামাতা দান করে।
৩. বিবাহ সমাজে একটি সন্তানের বৈধতা দান করে।
৪. বিবাহ নারী পুরুষের যৌন জীবনকে সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করে।
৫. বিবাহের মাধ্যমে সামাজিক সম্পর্ক গড়ে উঠে
৬. বিবাহ জ্ঞাতি সম্পর্কের সৃষ্টি করে।
৭. বিবাহ অনেক সময় অনেকের জন্য নতুন নতুন পেশা বা কর্মক্ষেত্রের সুযোগ তৈরি করে দেয়।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বিবাহ হচ্ছে একজন পুরুষ ও নারীর সমাজ স্বীকৃত একটি যুগল বন্ধন। বিবাহের একটি অন্যতম সামাজিক গুরুত্ব হলো এটি কোন মানবশিশুকে সমাজস্বীকৃত বা সামাজিক পিতামাতা দান করে। কেননা কোন অবিবাহিত মেয়ের সন্তানের সমাজস্বীকৃত কোন বৈধ পিতা থাকে না। সুতরাং বিবাহ সমাজজীবনে নানা দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।