অথবা, বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের কয়েকটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য লিখ।
অথবা, বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের ৫টি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধর।
উত্তর৷। ভূমিকা : বার্ধক্য বা প্রবীণ সমস্যাটি আজ ব্যক্তিগত ও পারিবারিক গণ্ডি পেরিয়ে সামাজিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যা হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এক সময় দেশে যৌথ পরিবারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। কালের বিবর্তনে যৌথ পরিবারে ভাঙন ধরেছে এবং পশ্চিমা সমাজব্যবস্থার প্রভাবে ও আর্থসামাজিক সমস্যার ফলশ্রুতিতে আজ প্রবীণরা অনেক ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত হচ্ছে। এজন্য প্রবীণদের মনোসামাজিক ও শারীরিক সেবাদানের প্রয়োজনে দেশে গড়ে উঠেছে প্রবীণ হিতৈষী সংঘ। বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর আওতায় সংস্থাটি নিবন্ধিত, যদিও সংস্থাটি অধ্যাদেশের আরো ১ বছর আগে, অর্থাৎ ১৯৬০ সালের ১০ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে। ড. এ. কে. এম. আব্দুল ওয়াহেদ সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা। এটি একটি অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান।
সংঘের লক্ষ্য : প্রবীণ বয়সে যাতে তারা একটু শান্তি পান এবং সুষ্ঠু ও সুন্দর জীবনযাপন করতে পারেন সেই লক্ষ্যে সকল প্রচেষ্টা নিবেদিত।
বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের উদ্দেশ্য : বাংলাদেশ প্রবীন হিতৈষী সংঘের উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নরূপ :
১. প্রবীণ বয়সে সবার জন্য শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা এবং চিন্তাভাবনাহীন শান্তিপূর্ণ আনন্দময় জীবনযাপনের দিকনির্দেশনা দেয়া।
২. বার্ধক্যের কারণ, ধরন, প্রতিরোধ, চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয়ে অনুসন্ধান করা।
৩. বার্ধক্য, আর্থিক, সামাজিক, পারিবারিক ও অন্যান্য সমস্যা এবং তার সমাধান বিষয়ে জ্ঞানলাভ ও তথ্য বিস্তার এবং পত্রপত্রিকায় প্রকাশ করা।
৪. প্রবীণদের কল্যাণার্থে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা।
৫. সক্ষম ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের অন্যতম লক্ষ্য হলো সক্ষম প্রবীণদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। এ লক্ষ্যে প্রবীণ হিতৈষী সংঘ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা হতে অবসরপ্রাপ্ত তথা সক্ষম ব্যক্তিদের চাকরির ব্যবস্থা করেছে।