বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা লেখ ।

উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম একটি জনবহুল দেশ। এদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৪৭। লাখ লাখ
মানুষ এদেশে গৃহহীন । তাছাড়াও এদেশে নানা প্রকার আর্থ-সামাজিক সমস্যার অস্তিত্ব রয়েছে। বাড়তি জনসংখ্যার সাথে বাড়ছে না কৃষিজমি । ফলশ্রুতিতে এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যাচ্ছে বেশ পিছিয়ে। তাই জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করতে না পারলে দেশের জন্য হবে তা বড় ক্ষতির কারণ। এক্ষেত্রে পরিবার পরিকল্পনার অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কেননা পরিবার পরিকল্পনার ভিত্তিতেই একটি সুন্দর রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করা সম্ভবপর হতে পারে। সুতরাং, পরিবার
পরিকল্পনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এদেশে অত্যন্ত বেশি।
→ বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা : বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিম্নে আলোচিত হলো :
১. খাদ্য ঘাটতি হ্রাস ঃ জনসংখ্যার বৃদ্ধি দ্রুত হলেও এদেশে কৃষি জমির পরিমাণ সে হারে বাড়ছে না বরং উল্টো কমছে। এহেন পরিস্থিতি সৃষ্টি খাদ্য ঘাটতি। পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে এই খাদ্য ঘাটতির পরিমাণ
আশানুরূপভাবে হ্রাস করা সম্ভবপর হতে পারে।
২. বিদেশি সাহায্য নির্ভরতা কমানো ঃ দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বিভিন্ন মৌল মানবিক চাহিদা পূরণে সরকারকে বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। আর এ বিদেশি সাহায্য ফেরত দিতে হয় চড়াসুদে যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে হুমকিস্বরূপ । এক্ষেত্রে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নই এই বিদেশি সাহায্য নির্ভরতা হ্রাস করবে।
৩. মূলধন বৃদ্ধি ৪ পরিবারের সদস্য সংখ্যা কম হলে বাড়তি উপার্জন সঞ্চয়ের মাধ্যমে শিল্পের মূলধন হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। ফলশ্রুতিতে দেশের শিল্পব্যবস্থা উন্নত হবে। সুতরাং, পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৪. বেকারত্বের হার কমানো ঃ বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ বেকার। এসব বেকারদের মধ্যে অধিকাংশ স্বল্প ও অর্ধশিক্ষিত। পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি গৃহীত হলে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় দক্ষ জনবল গড়ে তোলা সম্ভব। যা বেকারত্বের হার কমাতে বেশ সহায়ক হবে।
৫. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ৪ পরিবার পরিকল্পনার প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে যথাযথভাবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা। বাড়তি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই দেশের প্রতিটি নাগরিককে একাত্ম হয়ে কাজ করতে হবে। আর এক্ষেত্রে পরিবার
পরিকল্পনার গুরুত্ব অপরিসীম।
৬. মৌল মানবিক চাহিদা পূরণে সহায়তা ঃ প্রতিটি ব্যক্তি মানুষেরই মৌল মানবিক চাহিদা পূরণ হওয়া বেশ জরুরি। জনসংখ্যা বেশি হলে পরিবার ও রাষ্ট্র যথার্থভাবে মৌল মানবিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়। যদি পরিবার পরিকল্পনা গৃহীত হয় তবে অতি সহজেই মৌল মানবিক চাহিদা পূরণ করা সম্ভবপর হয়।
৭. সুস্থ পরিবেশের সৃষ্টি ঃ কাঙ্ক্ষিত হারের বেশি মাত্রায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে বায়ু, পানি প্রভৃতি দূষিত হতে থাকে। যার দরুন পরিবেশের সৌন্দর্য বিনষ্ট হয়। স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকা অনেক দুষ্কর হয়ে পড়ে। তবে পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণে এহেন অবস্থার দ্রুত উন্নতি ঘাটতি থাকে ।
৮. সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঃ প্রতিটি মানুষের মাঝেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিভা সুপ্ত অবস্থায় থাকে। উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে তা কখনও কখনও বিকশিত হতে পারে না। অতিরিক্ত জনসংখ্যার দরুন সরকার এই প্রতিভা বিকাশের উপযোগী পরিবেশের সৃষ্টি করতে পারে না। আর এক্ষেত্রে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির বাস্তবায়নে ফলপ্রসূ হয়ে উঠে সুপ্ত প্রতিভা অনেকটা ।
৯. সামাজিক সমস্যার সমাধান ঃ অতিরিক্ত জনসংখ্যা দেশের বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। দারিদ্র্য, গৃহসংকট, বস্তি, স্বাস্থ্যহীনতা, পুষ্টিহীনতা, নিরক্ষরতা, অপরাধ প্রভৃতি সমস্যার নিরসনে পরিবার পরিকল্পনা প্রত ্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ? সহায়তা করে থাকে। তাই পরিবার পরিকল্পনার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি।
১০. জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ঃ সুখী সমৃদ্ধ দেশ গঠনে জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন অবশ্যই ঘটাতে হবে। বলা বাহুল্য বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন অত্যন্ত খারাপ। যার দরুন বিশ্ব সমাজব্যবস্থায় বাংলাদেশ একটি অনুন্নত রাষ্ট্র হিসেবেই গণ্য। পরিবার পরিকল্পনার মাধ্যমে অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার রোধ করে জীবনযাত্রার
সহজেই মানোন্নয়নে সাধন করা সম্ভব।
১১. জনসংখ্যার ঘনত্ব হ্রাস ঃ বিশ্বে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি। বেশি ঘনত্ব হবার কারণে আর্থ- সামাজিক উন্নয়ন সাধন করা বেশ দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। সুতরাং, এদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব হ্রাসকল্পে পরিবার পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য হয়ে পড়েছে। তাই যথাসময়ে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি বাস্তবায়নে তৎপর হতে হবে।
১২. অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো ঃ একটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানোর অন্যতম প্রধান নিয়ামক সে রাষ্ট্রের দক্ষ জনশক্তি। দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশে প্রচুর মানুষ থাকলেও দক্ষ জনশক্তি হিসেবে তাদেরকে গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। আর এক্ষেত্রে পরিবার পরিকল্পনার সহায়তা গ্রহণ করলেই বিদ্যমান সমস্যাটির নিরসন কার্যকর হবে। তাই সরকারকে সহজলভ্য ও বাস্তবসম্মত উপায়ে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।
১৩. সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা ঃ পরিবার পরিকল্পনা পরোক্ষভাবে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে চলেছে। কেননা এ ব্যবস্থা গ্রহণে পরিবারে যদি সদস্য সংখ্যা কম হয় তবে অতি সহজেই তাদের মৌল মানবিক চাহিদা পূরণ হবে। ফলশ্রুতিতে সমাজে সৃষ্টি হবে না মারামারি, দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য এবং অস্থিতিশীল অবস্থার ।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশ একটি জনবহুল দরিদ্র দেশ। এদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা বাড়তি জনসংখ্যা। তাই এ সমস্যা সুষ্ঠুভাবে দূরীকরণে পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে সরকারকে পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বেশ তৎপর হতে হবে।

বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা লেখ ।

উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম একটি জনবহুল দেশ। এদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৪৭। লাখ লাখ
মানুষ এদেশে গৃহহীন । তাছাড়াও এদেশে নানা প্রকার আর্থ-সামাজিক সমস্যার অস্তিত্ব রয়েছে। বাড়তি জনসংখ্যার সাথে বাড়ছে না কৃষিজমি । ফলশ্রুতিতে এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যাচ্ছে বেশ পিছিয়ে। তাই জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করতে না পারলে দেশের জন্য হবে তা বড় ক্ষতির কারণ। এক্ষেত্রে পরিবার পরিকল্পনার অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কেননা পরিবার পরিকল্পনার ভিত্তিতেই একটি সুন্দর রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করা সম্ভবপর হতে পারে। সুতরাং, পরিবার
পরিকল্পনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এদেশে অত্যন্ত বেশি।
→ বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা : বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিম্নে আলোচিত হলো :
১. খাদ্য ঘাটতি হ্রাস ঃ জনসংখ্যার বৃদ্ধি দ্রুত হলেও এদেশে কৃষি জমির পরিমাণ সে হারে বাড়ছে না বরং উল্টো কমছে। এহেন পরিস্থিতি সৃষ্টি খাদ্য ঘাটতি। পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে এই খাদ্য ঘাটতির পরিমাণ
আশানুরূপভাবে হ্রাস করা সম্ভবপর হতে পারে।
২. বিদেশি সাহায্য নির্ভরতা কমানো ঃ দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বিভিন্ন মৌল মানবিক চাহিদা পূরণে সরকারকে বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। আর এ বিদেশি সাহায্য ফেরত দিতে হয় চড়াসুদে যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে হুমকিস্বরূপ । এক্ষেত্রে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নই এই বিদেশি সাহায্য নির্ভরতা হ্রাস করবে।
৩. মূলধন বৃদ্ধি ৪ পরিবারের সদস্য সংখ্যা কম হলে বাড়তি উপার্জন সঞ্চয়ের মাধ্যমে শিল্পের মূলধন হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। ফলশ্রুতিতে দেশের শিল্পব্যবস্থা উন্নত হবে। সুতরাং, পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৪. বেকারত্বের হার কমানো ঃ বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ বেকার। এসব বেকারদের মধ্যে অধিকাংশ স্বল্প ও অর্ধশিক্ষিত। পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি গৃহীত হলে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় দক্ষ জনবল গড়ে তোলা সম্ভব। যা বেকারত্বের হার কমাতে বেশ সহায়ক হবে।
৫. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ৪ পরিবার পরিকল্পনার প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে যথাযথভাবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা। বাড়তি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই দেশের প্রতিটি নাগরিককে একাত্ম হয়ে কাজ করতে হবে। আর এক্ষেত্রে পরিবার
পরিকল্পনার গুরুত্ব অপরিসীম।
৬. মৌল মানবিক চাহিদা পূরণে সহায়তা ঃ প্রতিটি ব্যক্তি মানুষেরই মৌল মানবিক চাহিদা পূরণ হওয়া বেশ জরুরি। জনসংখ্যা বেশি হলে পরিবার ও রাষ্ট্র যথার্থভাবে মৌল মানবিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়। যদি পরিবার পরিকল্পনা গৃহীত হয় তবে অতি সহজেই মৌল মানবিক চাহিদা পূরণ করা সম্ভবপর হয়।
৭. সুস্থ পরিবেশের সৃষ্টি ঃ কাঙ্ক্ষিত হারের বেশি মাত্রায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে বায়ু, পানি প্রভৃতি দূষিত হতে থাকে। যার দরুন পরিবেশের সৌন্দর্য বিনষ্ট হয়। স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকা অনেক দুষ্কর হয়ে পড়ে। তবে পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণে এহেন অবস্থার দ্রুত উন্নতি ঘাটতি থাকে ।
৮. সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঃ প্রতিটি মানুষের মাঝেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিভা সুপ্ত অবস্থায় থাকে। উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে তা কখনও কখনও বিকশিত হতে পারে না। অতিরিক্ত জনসংখ্যার দরুন সরকার এই প্রতিভা বিকাশের উপযোগী পরিবেশের সৃষ্টি করতে পারে না। আর এক্ষেত্রে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির বাস্তবায়নে ফলপ্রসূ হয়ে উঠে সুপ্ত প্রতিভা অনেকটা ।
৯. সামাজিক সমস্যার সমাধান ঃ অতিরিক্ত জনসংখ্যা দেশের বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। দারিদ্র্য, গৃহসংকট, বস্তি, স্বাস্থ্যহীনতা, পুষ্টিহীনতা, নিরক্ষরতা, অপরাধ প্রভৃতি সমস্যার নিরসনে পরিবার পরিকল্পনা প্রত ্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ? সহায়তা করে থাকে। তাই পরিবার পরিকল্পনার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি।
১০. জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ঃ সুখী সমৃদ্ধ দেশ গঠনে জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন অবশ্যই ঘটাতে হবে। বলা বাহুল্য বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন অত্যন্ত খারাপ। যার দরুন বিশ্ব সমাজব্যবস্থায় বাংলাদেশ একটি অনুন্নত রাষ্ট্র হিসেবেই গণ্য। পরিবার পরিকল্পনার মাধ্যমে অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার রোধ করে জীবনযাত্রার
সহজেই মানোন্নয়নে সাধন করা সম্ভব।
১১. জনসংখ্যার ঘনত্ব হ্রাস ঃ বিশ্বে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি। বেশি ঘনত্ব হবার কারণে আর্থ- সামাজিক উন্নয়ন সাধন করা বেশ দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। সুতরাং, এদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব হ্রাসকল্পে পরিবার পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য হয়ে পড়েছে। তাই যথাসময়ে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি বাস্তবায়নে তৎপর হতে হবে।
১২. অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো ঃ একটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানোর অন্যতম প্রধান নিয়ামক সে রাষ্ট্রের দক্ষ জনশক্তি। দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশে প্রচুর মানুষ থাকলেও দক্ষ জনশক্তি হিসেবে তাদেরকে গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। আর এক্ষেত্রে পরিবার পরিকল্পনার সহায়তা গ্রহণ করলেই বিদ্যমান সমস্যাটির নিরসন কার্যকর হবে। তাই সরকারকে সহজলভ্য ও বাস্তবসম্মত উপায়ে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।
১৩. সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা ঃ পরিবার পরিকল্পনা পরোক্ষভাবে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে চলেছে। কেননা এ ব্যবস্থা গ্রহণে পরিবারে যদি সদস্য সংখ্যা কম হয় তবে অতি সহজেই তাদের মৌল মানবিক চাহিদা পূরণ হবে। ফলশ্রুতিতে সমাজে সৃষ্টি হবে না মারামারি, দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য এবং অস্থিতিশীল অবস্থার ।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশ একটি জনবহুল দরিদ্র দেশ। এদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা বাড়তি জনসংখ্যা। তাই এ সমস্যা সুষ্ঠুভাবে দূরীকরণে পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে সরকারকে পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বেশ তৎপর হতে হবে।