অথবা, বাংলাদেশের কিশোর অপরাধের জৈবিক কারণসমূহ সংক্ষেপে তুলে ধর।
অথবা, বাংলাদেশের কিশোর অপরাধের জৈবিক কারণসমূহ সংক্ষেপে উল্লেখ কর।
অথবা, কিশোর অপরাধের জৈবিক কারণসমূহ বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : বর্তমান বিশ্বে কিশোর অপরাধ একটি জটিল সামাজিক সমস্যারূপে দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে সমাজের সদস্যগণ চিন্তিত। কিশোর অপরাধের কারণ সম্পর্কে সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, জীববিজ্ঞানী ও
অর্থনীতিবিদগণ স্ব-স্ব দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তবে যে কোনো অপরাধের জন্য কোনো একটি বিশেষ কারণ দায়ী নয়। এর জন্য দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সকল কারণ দায়ী ।
জৈবিক কারণ : কিশোর অপরাধের জন্য জৈবিক কারণ একটি অন্যতম কারণ। বিভিন্ন জৈবিক কারণে কিশোর অপরাধ সংঘটিত হয়। নিম্নে বিভিন্ন জৈবিক কারণ উল্লেখ করা হলো :
১. দৈহিক কারণ : অপরাধবিজ্ঞানীদের মতে, শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ এবং চিররুগ্ন শিশু কিশোররা স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে বঞ্চিত হয় বলে তা পুষিয়ে নেয়ার জন্য অপরাধপ্রবণ হয়। দৈহিক ও মানসিক বিকাশ সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলেও অপরাধপ্রবণ হয়। ইতালিতে সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, দৈহিক অসমর্থতা দূর করতে পারলে কিশোরদের অপরাধমূলক আচরণ হতে রক্ষা করা যায়।
২. বংশগতি : জীববিজ্ঞানীদের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, বাবা-মায়ের মাধ্যমে সন্তান তার বংশের দৈহিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্যসমূহ লাভ করতে পারে। তাই দেখা যায় অপরাধীদের বংশধর অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপরাধপ্রবণ হয়ে থাকে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, কিশোর অপরাধ একটি সামাজিক ব্যাধি ও সমস্যা। সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে এর ব্যাপকতা প্রচণ্ডতা এবং বৈচিত্র্য অনেকগুণ বেড়ে গিয়েছে এবং ক্রমে ক্রমেই বাড়ছে।