কিশোর অপরাধের বৈশিষ্ট্য লিখ।

অথবা, কিশোর অপরাধের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো লিখ।
অথবা, কিশোর অপরাধের বৈশিষ্ট্যসমূহ সংক্ষেপে উল্লেখ কর।
অথবা, কিশোর অপরাধের বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে তুলে ধর।
অথবা, কিশোর অপরাধের জৈবিক কারণসমূহ বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
অপরাধবিজ্ঞান অপরাধ, অপরাধের কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে আলোচনা করে। অপরাধবিজ্ঞান মানবীয় আচরণ সম্পর্কিত সামাজিক বিজ্ঞানের অন্যতম গতিশীল বিষয়। এর প্রধান লক্ষ্য মানব আচরণের অবাঞ্ছিত একটি দিক সম্পর্কে গবেষণা করা, যা সমাজ ও রাষ্ট্র কর্তৃক নির্ণীত ও নিষেধ। মানব আচরণের এ অবাঞ্ছিত নির্ণীত ও নিষেধ দিকটি হলো অপরাধমূলক আচরণ বা অপরাধ প্রবণতা। অপরাধবিজ্ঞানের অন্যতম একটি দিক হলো
কিশোর অপরাধ সম্পর্কে আলোচনা করা।
কিশোর অপরাধের বৈশিষ্ট্য : নিম্নে কিশোর অপরাধের কতকগুলো বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো :
১. পিতামাতা ও শিক্ষকের অবাধ্যতা।
২.ভবিষ্যতের চিন্তাভাবনা করে না।
৩.রাস্তাঘাটে চরম উচ্ছৃঙ্খলা প্রদর্শন।
৪.আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে।
৫.রাস্তাঘাটে মারপিট ও ছিনতাই।
৬.পরীক্ষায় নকল করা, বিনা কারণে হৈ চৈ করা।
৮. জুয়া খেলা ও নকল করা।
৯.· রাজনৈতিক নাশকতামূলক কাজে অংশগ্রহণ ।
১০. বোমাবাজি ও এসিড নিক্ষেপ।
১১. বোমা তৈরি করা ও অস্ত্র হাতে নেয়া।
১২. অপরের বাগান ও ক্ষেতের ফসল নষ্ট করা।
১৩. কৌতূহলবশত বা উদ্দেশ্যহীনতা।
১৪. অসংবদ্ধ ও এলোমেলো আচরণ।
১৫. চোরাকারবারীদের বাহক হিসেবে কাজ করা।
১৬. অসংগত যৌন সম্পর্ক ইত্যাদি।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, অপরিণত বয়স্ক ছেলেমেয়েদের দ্বারা সংঘটিত দেশের প্রচলিত আইনশৃঙ্খলা ও নিয়মকানুনের পরিপন্থী কাজই কিশোর অপরাধ। কিশোর জীবনে রহস্যময়তা, উচ্ছৃঙ্খলতা, ভাবপ্রবণতা,প্রতি রঙিন দৃষ্টি প্রভৃতি বিশেষভাবে তাদের মনে প্রভাব বিস্তার করে। জীবন ও জগতে স্কুল কলেজের মেয়েদের উত্যক্ত কর।