অথবা, প্রশিকাতে মাঠকর্ম অনুশীলনের কয়েকটি ক্ষেত্র আলোচনা কর।
অথবা, প্রশিকাতে মাঠকর্ম অনুশীলনের ৪টি পরিধি তুলে ধর।
উত্তরা।। ভূমিকা: জাতীয় উন্নয়নে প্রশিকার ভূমিকা ও অবদান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। জনকল্যাণে এর ভূমিকা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। গরিব মানুষের কল্যাণে প্রশিকা নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
প্রশিকাতে মাঠকর্ম অনুশীলনের ৪টি ক্ষেত্র : নিম্নে মাঠকর্ম অনুশীলনে শিক্ষানবিস সমাজকর্মী/ ব্যবহারিক প্রশিক্ষণার্থীদের ভূমিকা, অবদান ও কার্যাবলি আলোচনা করা হলো :
১. জন সংগঠন প্রতিষ্ঠা : প্রশিকা কর্মসূচিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হলো জন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা। প্রশিকার অন্য সকল কর্মসূচি এ কর্মসূচিকে ঘিরে আবর্তিত হয়। প্রশিকা দরিদ্রদের নিয়ে প্রাথমিক দল গঠন করে যা ‘সমিতি’ নামে পরিচিত। প্রাথমিক দলগুলো নিয়ে আবার ফেডারেশন গঠন করা হয়। উল্লেখ্য প্রশিকা প্রাথমিক দলগুলোকে বা সমিতিগুলোকে উন্নয়ন শিক্ষা বা ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে। তাছাড়া একজন কর্মীর মাধ্যমে প্রাথমিক দলগুলোর দলীয় সংগতি আনয়নের চেষ্টা করে। শিক্ষানবিস সমাজকর্মী/ ব্যবহারিক প্রশিক্ষণার্থীরা জন সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও ফেডারেশন গঠনে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।
২. মানব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ : মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দলীয় সদস্যদের বিশ্লেষণধর্মী দক্ষতার উন্নয়ন ঘটায়। এটি তাদেরকে দারিদ্র্যের কারণ সম্পর্কে সচেতন করে, সামাজিক পরিবর্তন সম্পর্কে তাদের ধারণাকে ইতিবাচক করতে সাহায্য করে এবং তাদেরকে নেতৃত্ব, ব্যবস্থাপনা এবং পেশাগত দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করে। মাঠকর্ম অনুশীলনকারীরা এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে এবং এ থেকে তাদের জ্ঞানের পরিধিও বৃদ্ধি করতে পারে।
৩. ব্যবহারিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ : প্রশিকার যেসব দলীয় সদস্য বিভিন্ন কর্মসংস্থানমূলক এবং আয় উপার্জনমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে প্রশিকা তাদের জন্য ব্যবহারিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে। এ কর্মসূচি তাদের প্রকল্পসমূহ ফলপ্রসূভাবে বাস্তবায়নের জন্য কারিগরি জ্ঞান ও ব্যবস্থাপনার দক্ষতা উন্নয়নে সাহায্য করে।শিক্ষানবিস সমাজকর্মী/ ব্যবহারিক প্রশিক্ষণার্থীরা ব্যবহারিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যে সহায়তা করতে পারে।
৪. সর্বজনীন শিক্ষা কর্মসূচি : প্রশিকা শিক্ষাকে মানব উন্নয়নের মৌল হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করে। প্রশিকা তার সর্বজনীন শিক্ষার মাধ্যমে একটি নিরক্ষরমুক্ত ও অজ্ঞতামুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিক্ষানবিস সমাজকর্মী/ব্যবহারিক প্রশিক্ষণার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষা কর্মসূচি গ্রহণে নিজেদের জ্ঞানের প্রয়োগ করতে পারে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে।যায় যে, প্রশিকা মানবকল্যাণে যথেষ্ট অবদান রেখে চলেছে।এক্ষেত্রে শিক্ষানবিস সমাজকর্মী/ব্যবহারিক প্রশিক্ষণার্থীরা তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে তাদের ভূমিকা পালন করতে পারে।