প্রশ্নঃ বাংলাদেশে জাতীয় আয়ের বিভিন্ন খাতের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও ।

[ad_1]

প্রশ্নঃ বাংলাদেশে জাতীয় আয়ের বিভিন্ন খাতের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও ।

উত্তর। ভূমিকা : বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের উৎসসমূহ দেখানোর উদ্দেশ্যে উৎপাদনের ক্ষেত্রগুলোকে মোট ১৫ টি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে । এদের একেকটি শ্রেণীকে একেকটি খাত বলা হয় । বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের প্রধান খাতগুলো কৃষি , মৎস্য , শিল্প , পরিবহন ও যোগাযোগ , নির্মাণ , লোক প্রশাসন ও প্রতিরক্ষা , বিদ্যুৎ , গ্যাস ও পানি সম্পদ , ব্যাংক ও বীমা পাইকারি ও খুচরা বিপণন , গৃহায়ন , কমিউনিটি , সামাজিক ও ব্যক্তিগত সেবা , শিক্ষাখাত , স্বাস্থ্যসেবা , খনিজ ও খনন , হোটেল ও রেস্তরাঁ ।

নিয়ে এগুলো আলোচনা করা হলো :

১. কৃষি : কৃষি বাংলাদেশের জনগণের প্রধান উপজীবিকা । এদেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল । ২০০৯-২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী আমাদের জাতীয় আয়ে ঐ বছর কৃষির অবদান ছিল ১৫.৬৫ শতাংশ ।

২. মৎস্য : ২০০৯-২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী আমাদের জাতীয় আয়ে মৎস্য খাতের অবদান ৪.৫১ শতাংশ ।

৩. শিল্প : বাংলাদেশের শিল্প অনুন্নত । ফলে দেশের জাতীয় আয়ে এ খাতের অবদান তুলনামূলকভাবে কম । ২০০৯-২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী আমাদের জাতীয় আয়ের অবদান ১৭.৮৭ শতাংশ ।

৪. পাইকারি ও খুচরা বিপণন : পাইকারি এবং খুচরা বিপণন বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের একটি অন্যতম খাত । ২০০৯-২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী ঐ বছর আমাদের জাতীয় আয়ে এ খাতের অবদান ১৪.৩০ শতাংশ ।

৫. নির্মাণ : নির্মাণ বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের অপর একটি খাত । ২০০৯-২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী আমাদের জাতীয় আয়ে ঐ বছর এ খাতের অবদান ৯.১৮ শতাংশ ।

৬. পরিবহন ও যোগাযোগ : পরিবহন ও যোগাযোগ বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত । ২০০৯ ২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী আমাদের জাতীয় আয়ে ঐ বছর এ খাতের অবদান ১০.৭৬ শতাংশ ।

৭. রিয়েল এস্টেট , ভাড়া ও অন্যান্য ব্যবস্থা : এটি বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত । ২০০৯-২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী আমাদের জাতীয় আয়ে ঐ বছর এ খাতের অবদান ৭.১৯ শতাংশ ।

৮. স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা : এটি বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত । ২০০৯-২০১০ সালের = হিসাব অনুযায়ী আমাদের জাতীয় আয়ে ঐ বছর এ খাতের অবদান ২.৪০ শতাংশ ।

৯. বিদ্যুৎ , গ্যাস ও পানি : বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে এ খাতের অবদান খুবই কম । ২০০৯-২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী জাতীয় আয়ে ঐ বছর এ খাতের অবদান ১.৬০ শতাংশ ।

১০. খনিজ ও খনন : বাংলাদেশে জাতীয় আয়ে খনিজ ও খনন খাতের অবদান অতি নগণ্য । ২০০৯-২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী এ খাতের অবদান ১.৩০ শতাংশ ।

১১. শিক্ষা : বাংলাদেশে জাতীয় আয়ে শিক্ষাখাতের অবদান খুবই কম । ২০০৯-২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী এ খাতের অবদান মাত্র ২.৭৬ শতাংশ ।

১২. কমিউনিটি , সামাজিক ও ব্যক্তিগত সেবা : বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত । ২০০৯ ২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী জাতীয় আয়ে এ খাতের অবদান ৬.৮৪ শতাংশ ।

১৩. আর্থিক প্রাতিষ্ঠানিক সেবা : বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে এ খাতের অবদান খুবই সামান্য । ২০০৯ – ২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী এ খাতের অবদান ১.৯০ শতাংশ ।

১৪. লোক প্রশাসন ও প্রতিরক্ষা : বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত । ২০০৯-২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী জাতীয় আয়ে এ খাতের অবদান ৩.০২ শতাংশ ।

১৫. হোটেল ও রেস্তরাঁ : বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে এ খাতে অবদান অতি নগণ্য । ২০০৯-২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী এ খাতের অবদান ০.৭২ শতাংশ ।

উপসংহার : জাতীয় আয়ের উক্ত ১৫ টি খাতই গুরুত্বপূর্ণ । উক্ত খাতের বাহিরে তেমন উল্লেখযোগ্য কোন খাত নেই । সুতরাং উক্ত ১৫ টি খাতই জাতীয় আয়ের উৎস ।

[ad_2]