অথবা, পৌরসভার তহবিল গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে লিখ।
অথবা, কীভাবে পৌরসভার তহবিল গঠিত হয়?
অথবা, পৌরসভার আয়ের উৎস কী কী?
অথবা, পৌরসভার আয়ের উৎস বর্ণনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : বাংলাদেশের পল্লি তথা গ্রামাঞ্চলের জন্য প্রতিষ্ঠিত স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাসমূহ হলো ইউনিয়ন পরিষদ, থানা, জেলা পরিষদ। তেমনি শহরাঞ্চলের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পৌরসভা। এটি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে। পৌরসভা তার কার্যক্রম পরিচালনের জন্য বিভিন্ন উৎস হতে উপার্জন করে থাকে।
পৌরসভার আয়ের উৎস : নিম্নলিখিত উৎসের মাধ্যমে পৌরসভা তার ভাণ্ডার পরিপূর্ণ করে বিবিধ কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। যেমন-
১. আমদানি-রপ্তানি দ্রব্যের উপর কর ধার্য।
২. বিজ্ঞাপনের উপর প্রদত্ত কর।
৩.যানবাহনের উপর কর।
৪. জন্ম, লাইসেন্স ও পারমিট প্রদানের জন্য কর।
৫. বিবাহ ও অন্যান্য উৎসবের উপর কর।
৬. গৃহ ও ভূমির বাৎসরিক মূল্যের উপর কর।
৭. অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের কর।
৮. গৃহনির্মাণের জন্য কর ।
৯. মেলা, প্রদর্শনী, খেলাধুলা ও অন্যান্য সমাবেশের উপর কর।
১০. সিনেমা, নাটক, থিয়েটার ও বিনোদনমূলক বিষয়ের উপর আরোপিত কর।
১১. আলো ও অগ্নি নির্বাপনের জন্য ধার্যকৃত কর।
১২. পৌরসভা কর্তৃক যে কোনো সেবা প্রদানের জন্য কর।
১৩. সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে অন্য যে কোনো বিষয়ের উপর আরোপিত কর।
১৪. পোষ্য জীবজন্তুর উপর আরোপিত কর।
১৫. বিভিন্ন ব্যবসায়ের উপর নির্ধারিত কর।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিশেষে বলা যায় যে, উল্লিখিত আয়ের মাধ্যমে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। এসব কার্যাবলির সবই ছিল জনকল্যাণে। কেন্দ্রীয় সরকার যেসব কার্য হাত নেয় জনকল্যাণে তারই বাস্তবায়ন করে থাকে শহর অঞ্চলে পৌরসভা। শহুরে মানুষের সার্বিক উন্নয়ন সাধনে পৌরসভার ভূমিকা অপরিসীম।