পরিসংখ্যানের বিষয়সমূহ লিখ।

অথবা, পরিসংখ্যানের প্রধান প্রধান বিষয়সমূহ উল্লেখ কর।
অথবা, পরিসংখ্যানের প্রধান বিষয়সমূহ কী কী ব্যাখ্যা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
পরিসংখ্যান শব্দটি ব্যবহারের শুরু হতে কালক্রমে একটি পূর্ণাঙ্গ বিষয়রূপে আত্মপ্রকাশের মধ্যে এর অনেকগুলো উদ্দেশ্য ও কার্যপ্রণালি আলোচনা করা হয়েছে। অধিকাংশ পরিসংখ্যান পদ্ধতি সমাজের বিশেষ প্রয়োজনে তথা বিশেষ বিশেষ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে বিকাশ লাভ করেছে।
পরিসংখ্যানের বিষয়সমূহ : নিম্নে পরিসংখ্যানের প্রধান প্রধান বিষয়সমূহ আলোচনা করা হলো :
১. বিস্তৃত ও জটিল তথ্যাবলিকে উপযুক্ত উপস্থাপনের মাধ্যমে সহজ, সরল ও অর্থবোধক করে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করতে সাহায্য করা।
২. বর্ণনামূলক তথ্যাদিকে সংখ্যাত্মক বিবৃতির মাধ্যমে প্রকাশ করা এবং উপযুক্ত সূত্র প্রয়োগ করে একটি সঠিক পরিপূর্ণ রূপদান করে যথাযথ সিদ্ধান্তে উপনীত করা ।
৩. জটিল তথ্যাদিকে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার মাধ্যমে ব্যক্তিগত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার পরিধি বর্ধিত করা এবং জটিল সমস্যাদির ক্ষেত্রে পূর্ণ দক্ষতার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সহায়তা করা। অন্যথায় উপযুক্ত থ্যাদির ক্ষেত্রেও গৃহীত সিদ্ধান্ত ভ্রান্তিপূর্ণ ব্যক্তিগত ঝোঁক ও সংশয়পূর্ণ হতে পারে ।
৪. বিভিন্ন পরিসংখ্যান পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে জটিল তথ্যাদিকে সহজ করে দু’ বা ততোধিক তথ্যাদির মধ্যে তুলনা করে এদের সম্পর্কে অনুধাবন করা।
৫. বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক সমস্যা, শাসনকার্য পরিচালনা ইত্যাদির ক্ষেত্রে সুষ্ঠু, সার্থক ও কার্যকরী নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে প্রধান হাতিয়ার বা পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করা।
৬. উপাত্ত বা তথ্যাদির অতীত-বর্তমান পর্যালোচনা করে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎকে সুনির্দিষ্ট পথে পরিচালনায় পূর্বাভাস প্রদান করা ।
৭. সমাজবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান এবং প্রকৃতি বিজ্ঞানের ন্যায় অন্যান্য শাস্ত্রেরও তত্ত্ব ও কলাকৌশল উদ্ভাবন ও প্রমাণ করা এবং এদের সত্যতা পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সাহায্য করা।
৮. প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে চলকের লুপ্ত মান (Missing value) নির্ণয় করা ।
৯. কারণ সংক্রান্ত বিশ্লেষণে জটিল পরিসংখ্যান পদ্ধতি নির্ধারণ করা।
১০. সাধারণ এবং যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, পরিসংখ্যান জটিল ও বর্ণনামূলক বিষয়সমূহকে সহজ ও অর্থবোধক আকারে প্রকাশ করে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সহায়তা প্রদান করে ।