অথবা, পরিবারের মনস্তাত্ত্বিক কাজের সংজ্ঞা দাও।
অথবা, পরিবারের মনস্তাত্ত্বিক কার্যাবলির বিবরণ দাও।
অথবা, পরিবারকেন্দ্রিক মনস্তাত্ত্বিক কার্যাবলি সম্পর্কে আলোচনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : পরিবার একটি ক্ষুদ্রতম সামাজিক সংগঠন। অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের মতোই পরিবার বিভিন্ন চাহিদা মিটাতে বিভিন্ন রকম কর্ম সম্পাদন করে। সমাজ ও যুগভেদে পরিবারের কার্যাবলির মধ্যে কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় তথাপি পরিবারের এমন কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে যা অত্যান্ত মৌলিক এবং সব সমাজেই কম বেশি লক্ষণীয়। পরিবারের মনস্তাত্ত্বিক কাজ তার মধ্যে অন্যতম।
মনস্তাত্ত্বিক কাজ : সন্তানের লালন-পালন পরিবারের মনস্তাত্ত্বিক কাজের মধ্যে পড়ে। শিশুর গোসল করা, খাওয়ানো, পরিচর্যা, আদর যত্ন সর্বোপরি তাকে স্নেহের পরশে লালন পালনের কাজটি মূলত মনস্তাত্ত্বিক। এসব কাজে শিশুর প্রতি স্নেহ, আদর, ভালোবাসা ও আবেগের কারণেই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। অর্থাৎ সন্তান সন্তাতির আবেগীয় চাহিদা মিটানো পরিবারের মনস্তাত্ত্বিক কাজের মধ্যে পড়ে। সন্তানের মান অভিমান, চাওয়া পাওয়ার কেন্দ্রস্থল হলো বাবা-মা। পরিবারের বাবা-মা তাদের সন্তানের এসব আবেগীয় চাহিদা পূরণে সচেষ্ট থাকে। আধুনিক সমাজবিজ্ঞানীরা শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠনে পারিবারিক অভিজ্ঞতার উপর গুরুত্ব দেন। বস্তুত পরিবারের বয়স্ক ব্যক্তিরা শিশুর ভারসাম্যপূর্ণ ব্যক্তিত্ব গঠনে যত্নবান থাকেন । শুধু শৈশব কালে নয় কৈশোরে মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে পরিবারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়। বক্তৃত পরিবারের স্নেহ-শাসনের কোনো বিকল্প নেই।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, আমরা আজীবন পরিবারেরই সদস্য। জন্ম মৃত্যু এমনকি পরবর্তী সামাজিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোও প্রধানত পরিবার কেন্দ্রিক। তাই পরিবার ছাড়া আমাদের
অস্তিত্ব বিপন্ন।