জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ হতে সংস্থার স্বীকৃতির নীতিমালা লেখ।

উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ সমাজকল্যাণে ধারণাটি অতি প্রাচীন। বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থা তেমন ভালো
নয়। তাদের বিভিন্ন সমস্যাও রয়েছে। ফলে নিত্য তারা জীবনসংগ্রামে পিছিয়ে যাচ্ছে। কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে সমাজকল্যাণের সূত্রপাত ঘটেছে। জাতীয় সমাজকল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে সামগ্র সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে আরো সুসংহত করা সম্ভব হচ্ছে। এর মাধ্যমে র্তমান জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি প্রদানে কিছু নীতিমালা রয়েছে।
→ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ হতে বিভিন্ন সংস্থার স্বীকৃতির নীতিমালা ঃ নিম্নে নীতিমালা আলোচিত হলো ঃ
১. জাতীয় পর্যায়ের সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে আইন অনুযায়ী সমাজসেবা অধিদফতর থেকে নিবন্ধীকৃত হতে হবে।
২. সংস্থার জাতীয় পর্যায়ের কার্যক্রম থাকতে হবে। একাধিক বিভাগে কমপক্ষে ৫টি জেলায় অবশ্যই সক্রিয় শাখা থাকতে হবে।
৩. কমপক্ষে ৩ বছর সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।
৪. আবেদনপত্রের সাথে রেজিস্টার্ড অডিটফার্ম কর্তৃক অডিট অবশ্যই পেশ করতে হবে।
৫. সংস্থার বাৎসরিক বাজেট ন্যূনতম পাঁচ লক্ষ টাকা হতে হবে।
৬. সংস্থার কার্যক্রম সম্পর্কিত ছাপানো বাৎসরিক রিপোর্ট অবশ্যই আবেদনপত্রের সাথে পেশ করতে হবে।
৭. সংস্থার সাধারণ ও কার্যকরী কমিটিসমূহের তালিকা পেশ করতে হবে।
৮. সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ও তথ্যাবলিসহ পরিষদের নির্বাহী সচিব বরাবরে আবেদন করে ১০ কপি আবেদনপত্র পরিষদ কার্যালয়ে দাখিল করতে হবে।
৯. জাতীয় পর্যায়ের স্বীকৃতির জন্য আবেদনপত্র পরিষদ অধিবেশনে উপস্থাপন করার পূর্বে নির্বাহী কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করতে হবে।
১০. জাতীয় পর্যায়ে কোনো সংস্থার স্বীকৃতির বিষয়ে পরিষদের অনুমোদনের পর বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ কর্তৃক স্বীকৃতিপত্র জারি করতে হবে।
১১. বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ যে-কোনো সময়ে যে-কোনো পরিষদের স্বীকৃতিপত্র বাতিলের ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
উপসংহার ৪ পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশ সমাজকল্যাণ পরিষদ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বিভিন্ন সংস্থাকে স্বীকৃতি
প্রদান করে থাকে। ফলে সুন্দর ও সাংগঠনিক সংস্থার অভ্যুদয়ে দেশবাসীর কল্যাণ আরো সুনিশ্চিত হয় ।