কেস স্টাডি বা ঘটনা অনুধ্যানের বৈশিষ্ট্যগুলো লিখ।

অথবা, কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর।
অথবা, কেস স্টাডির প্রকৃতিসমূহ উল্লেখ কর।
অথবা, ঘটনা অনুধ্যানের কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে?
অথবা, কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
অথবা, কেস স্টাডি বা ঘটনা অনুধ্যানের প্রকৃতি লিখ।
অথবা, কেস স্টাডিতে যেসব বৈশিষ্ট্য রযেছে তা উল্লেখ কর।
উত্তরা।৷ ভূমিকা :
সমাজকর্ম ক্ষেত্রে তথ্যসংগ্রহের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো ঘটনা অনুধ্যান (Case Study)। ব্যক্তি সমাজকর্মে এ পদ্ধতিটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া সামাজিক সমস্যার উদ্ভব ও কার্যকারণ সম্পর্কিত তথ্য জানার জন্য এ পদ্ধতি বিশেষ উপযোগী। এ পদ্ধতির মূল লক্ষ্য হলো নির্দিষ্ট সমস্যার স্বরূপ উদঘাটন করে তার সুষ্ঠু সমাধান পরিকল্পনায় সহায়তা করা।
কেস স্টাডি বা ঘটনা অনুধ্যানের বৈশিষ্ট্য : নিম্নে কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরা হলো :
১. সামাজিক গবেষণায় ঘটনা অনুধ্যান পদ্ধতি অধিক মাত্রায় ফলদায়ক।
২. ঘটনা অনুধ্যান পদ্ধতিতে গবেষণা সংশিষ্ট বিষয় সম্পর্কে গভীর ও বিস্তৃতভাবে জানার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়।
৩. এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো এটি একজন ব্যক্তি, একটি দল, একটি পরিবার, একটি সমষ্টি কিংবা একটি প্রতিষ্ঠানকে একক হিসেবে গণ্য করে।
৪. ঘটনা অনুধ্যানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি সামাজিক গবেষণার একটি বর্ণনামূলক, উদঘাটনমূলক ও অনুসন্ধানমূলক বিশেষ কৌশল।
৫. এ পদ্ধতিতে কোন ব্যক্তি, দল, প্রতিষ্ঠান বা সমষ্টি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্যের গভীরতা যাচাই করা যায়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, তথ্যানুসন্ধানের ক্ষেত্রে ঘটনা অনুধ্যান পদ্ধতি অধিক উপযোগী। কারণ এ পদ্ধতির দ্বারা ব্যক্তি, দল, পরিবার ও সমষ্টি সম্পর্কে ঘটনা অনুধ্যানের বস্তুনিষ্ঠভাবে তথ্যসংগ্রহ করা যায় এবং সেগুলো বিশেষণপূর্বক বাস্তবক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োগ করা হয়।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%aa%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a0%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a6%a8/