কিশোর আদালতের উৎপত্তি সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ।

অথবা, কিশোর আদালতের উৎপত্তি সম্পর্কে তুমি কী জান সংক্ষেপে তুলে ধর।
অথবা, কিশোর আদালতের উৎপত্তি সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
অপ্রাপ্তবয়স্কদের সমাজবিরোধী ও আইনবিরোধী কার্যকলাপকেই কিশোর অপরাধ বলা হয়। কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক-বালিকা দেশের প্রচলিত আইন অমান্য অথবা লঙ্ঘন করলে কিংবা কোনো সমাজবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হলে তাকে কিশোর অপরাধী বলা হয়। কিশোর অপরাধীদের আচরণ সংশোধনের জন্য পরিচালিত আদালতই কিশোর আদালত।
কিশোর আদালত : কিশোর আদালত হচ্ছে কিশোর অপরাধীদের জন্য স্থাপিত এক বিশেষ ধরনের আদালত। এর উদ্দেশ্য কিশোর অপরাধের কারণ নির্ণয় এবং কতিপয় প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগসুবিধার মাধ্যমে অপরাধীর চারিত্রিক সংশোধনের সুযোগ প্রদান ।
কিশোর আদালতের উৎপত্তি : Juvenile count Established as an alternative to the seemingly crimogenic and stigmatising processes adult count. The Jounal count first Developed in the U.S.A in the let 90th century (1978). [ Source : A dictonary of criminology; dermot wolsh and Adrian peole. p-122] বর্তমান পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই কিশোর অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা আছে। পশ্চিমা দেশগুলোতে কিশোর অপরাধীদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংশোধন করার ব্যবস্থা আছে। আমাদের দেশে এই ব্যবস্থা এতটা উন্নত না হলেও কিশোর অপরাধীদের শাস্তিস্বরূপ Reformatory স্কুলে পাঠায়ে সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বাংলাদেশে ঢাকা জেলার্ন্র্ত টঙ্গীতে কিশোর অপরাধীদের এ ধরনের স্কুল আছে। একটি আদর্শ কিশোব আদালত পিতামাতার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার স্থলে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা আরোপ করে এবং কিশোর অপরাধীদের বিচার-হয় সম্পূর্ণ আনুষ্ঠানিকভাবে। একটি আদর্শ কিশোর আদালতের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে :
১. পৃথকভাবে শিশু অপরাধীদের বিচারব্যবস্থা।
২. ফৌজদারি কার্যবিধির জটিলতা এ আদালতে থাকবে না।
৩. নিয়মিত প্রভেশন সার্ভিস থাকতে হবে।
৪. আলাদাভাবে শিশু অপরাধীদের রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. আলাদা কোর্ট বা প্রৱেশন রেকর্ড আইনগত ও সামাজিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ।
৬. মানসিক পরীক্ষা ব্যবস্থা থাকতে হবে ইত্যাদি।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, শুধুমাত্র কিশোর-কিশোরী অপরাধীদের জন্য গঠিত বিশেষ আদালতই কিশোর আদালত। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কিশোর অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা রয়েছে। ঢাকা জেলার টঙ্গীতে কিশোর অপরাধীদের শাস্তিস্বরূপ রিফরমেটরি স্কুল রয়েছে।