অথবা, কারাবাস সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ।
অথবা, কারবার সম্পর্কে তুমি যা জান সংক্ষেপে উল্লেখ কর।
অথবা, কারবারের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
অথবা, কারবারের সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধর।
উত্তর৷ ভূমিকা : সমাজ বা রাষ্ট্রের মধ্যে যেমন অপরাধ সংঘটিত হয় তেমনি সমাজ বা রাষ্ট্রই অপরাধীর আচরণ সংশোধনের বিধানকল্পে শাস্তির ব্যবস্থা করে থাকে। আর এর জন্য ‘দেশে বিদ্যমান বিচারব্যবস্থাও সক্রিয়। গ্রাম পঞ্চায়েত, সালিস কেন্দ্র, আদালত প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান অপরাধীর শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা ও শাস্তি কার্যকর করে থাকে। এ সকল প্রতিষ্ঠান
বিভিন্ন পদ্ধতিতে শাস্তি প্রদান করে থাকে ।
কারাবাস : অপরাধের দায়ে পুলিশ অপরাধীকে গ্রেফতার করে যে স্থানে বা যে জায়গায় আটক করে রাখে তাকে বল হয় কারাগার বা কারাবাস। বাংলাদেশে কারাবাসের পদ্ধতি ২টি। যথা :
ক. বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও
খ. সশ্রম কারাদণ্ড।
বিনাশ্রম কারাদণ্ড : অপরাধীকে গ্রেফতারের পর আদালতের বিচার ব্যতীত অর্থাৎ বিচারক কর্তৃক অপরাধী কারাবাসের নির্ধারিত সময় নির্ধারণ পর্যন্ত যে সময়কাল অপরাধী কারাবাস করে। একে বলে রিনাশ্রম কারাবাস।
বাংলাদেশের দণ্ডবিধানের ২০টি ধারায় বিনাশ্রম কারাবাসের বিধান রয়েছে।
সশ্রম কারাবাস : আদালত অর্থাৎ বিচারক অপরাধীর অপরাধের মাত্রার উপর বিবেচনা করে আইনের বিধান মোতাবেক অপরাধীকে কারাবাসের যে সময় নির্ধারণ করেছেন তাকে সশ্রম কারাবাস বলে। সশ্রম কারাবাসের
দু’একটি উদাহরণ নিম্নে দেওয়া হলো :
কারো গায়ে এসিড নিক্ষেপ করলে অপরাধীকে (১৪ বছর) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাবাস করা হবে। বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ডাকাত ও ডাকাত দলের সর্দার মকিম গাজীর বিভিন্ন অপরাধে ১২৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। যদিও সে এতদিন বাঁচবে না তথাপি অপরাধের শাস্তির এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এভাবে অপরাধের মাত্রানুসারে কাউকে ৩, ৭, ১০, ২০ ইত্যাদি মেয়াদে সশ্রম কারাবাস দেওয়া হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, কারাবাস শাস্তি প্রদানের পদ্ধতিগুলোর মধ্যে অন্যতম। অপরাধীর শাস্তির নিদর্শন স্বরূপ কারাবাস হচ্ছে সবচেয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া শাস্তির বিধান। অপরাধী তার অপরাধের ধরন ও মাত্রাভেদে সশ্রম ও বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।