এ্যাথনোগ্রাফিক পদ্ধতির সীমাবদ্ধতাসমূহ উলেখ কর।

অথবা, এ্যাথনোগ্রাফিক পদ্ধতির দূর্বল দিকগুলো চিহ্নিত কর।
অথবা, এ্যাথনোগ্রাফিক পদ্ধতির অসুবিধাসমূহ লিখ।
অথবা, এ্যাথনোগ্রাফিক পদ্ধতির নেতিবাচক দিকগুলো লিখ।
অথবা, এ্যাথনোগ্রাফিক পদ্ধতির অপকারিতা কী?
অথবা, এ্যাথনোগ্রাফিক পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা কী?
অথবা, এ্যাথনোগ্রাফিক পদ্ধতির দুর্বল দিকগুলো কী কী
উত্তর৷ ভূমিকা : এ্যাথনোগ্রাফিক পদ্ধতি সামাজিক গবেষণায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। সামাজিক গবেষণায় মানুষ, সমাজকাঠামো, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি মানুষের জীবনধারা এবং সামাজিক সমস্যা বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে। তবে এ্যাথনোগ্রাফিক পদ্ধতির অনেক সুবিধা থাকলেও অনেকক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
এ্যাথনোগ্রাফিক পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা : নিম্নে এই পদ্ধতির সীমাবদ্ধতাগুলো উল্লেখ করা হলো :
এ্যাথনোগ্রাফিক পদ্ধতিতে সংগৃহীত তথ্য পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২. এ পদ্ধতিতে দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষণ করতে হয়। ফলে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন পড়ে।এ পদ্ধতিতে প্রাপ্ত তথ্য পেলেও অনেকক্ষেত্রে বাস্তবে সেটা প্রয়োগ করা সম্ভব হয় না।
৪. এ পদ্ধতিতে নানা ধরনের ইঙ্গিতকে অনুমানের ভিত্তিতে অর্থ নির্ণয় করতে হয় যা অনেক সময় সঠিক হয় না। ফলে গবেষণার গুণগতমান বজায় থাকে না।
৫. এ্যাথনোগ্রাফিক পদ্ধতিতে তথ্যসংগ্রহকারীকে অধিক ও দক্ষতাসম্পন্ন হতে হয় ।
৬. এ পদ্ধতিতে মূল অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তথ্যসংগ্রহ করতে হয়। ফলে যাদের সম্পর্কে তথ্যসংগ্রহ করা হয় তাদের সাথে সুসম্পর্ক তথ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে হয়। তা না হলে ঐ জাতি বা উপজাতি আর সঠিক তথ্য প্রদান করবে না।
৭. এ সামাজিক গবেষণায় খুব সীমিত আকারে অনুসন্ধান চালানো হয়। যার কারণে অনেক সময় সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তা সমগ্র জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে না।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপট থেকে বলা যায়, এ্যাথনোগ্রাফিক পদ্ধতি সামাজিক গবেষণায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলেও এ পদ্ধতি পক্ষপাত দুষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে অনেক সময় প্রাপ্ত তথ্য সঠিক নাও হতে পারে।