আনুষ্ঠানিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।

অথবা, আনুষ্ঠানিক শিক্ষার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর।
অথবা, আনুষ্ঠানিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্যগুলো বর্ণনা কর।
অথবা, আনুষ্ঠানিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি লাভ করতে পারে না। একারণে শিক্ষা বিকাশের প্রয়োজন সর্বাধিক । শিক্ষা বিকাশের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতির প্রচলন ঘটানো হয়েছে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি সবচেয়ে কার্যকর এবং অধিক প্রচলিত । মূলত একটি জাতিকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই ।
আনুষ্ঠানিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য : আনুষ্ঠানিক শিক্ষা অন্যান্য সকল শিক্ষা পদ্ধতি থেকে স্বতন্ত্র। এ শিক্ষা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ :
১. আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শ্রেণিভিত্তিক।
আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পূর্ণকালীন।
২.শিক্ষার্থীকে প্রতিটি শ্রেণিতে নির্দিষ্ট সময় মেয়াদে শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়।
৩.এ শিক্ষাব্যবস্থা স্তরভিত্তিক। যেমন- প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা স্তর।
৪.এ শিক্ষা পদ্ধতি সুনিয়ন্ত্রিত। প্রতিটি শ্রেণি বা স্তরে কি কি শিক্ষা দেওয়া হবে, কি পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়া হবে।
৫.সবই সুনিয়ন্ত্রিতভাবে পরিচালিত হয়।
৬.এ শিক্ষা কাঠামো অনমনীয় প্রকৃতির।
৭.এ শিক্ষা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বিস্তৃত।
৮.এ শিক্ষায় সুনির্দিষ্ট শিক্ষাক্রম থাকে।
এ শিক্ষায় নির্দিষ্ট শ্রেণি বা স্তরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
৯.এ শিক্ষা পদ্ধতি কতকগুলো সুনির্দিষ্ট আইন, রীতিনীতি দ্বারা পরিচালিত হয়।
১০.এ শিক্ষার জন্য আবশ্যিকভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হয়।
১১. এ শিক্ষা শিক্ষককেন্দ্রিক। শ্রেণিকক্ষে বা শ্রেণিকক্ষের বাইরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সর্বত্র শিক্ষকদের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকে।
১২. এ শিক্ষা কর্মসূচি কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।
১৩. এ শিক্ষা সাধারণ ও সর্বজনীন।
১৪. এ শিক্ষা পেশা গ্রহণের জন্য মূল্যায়ন করা হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ব্রিটিশদের আগমনের মধ্যদিয়ে এদেশে আধুনিক শিক্ষার প্রচলন ঘটে। মূলত একটি দেশকে উন্নত হতে হলে অবশ্যই সে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী হতে হবে। এদিক থেকে বলা যায় আধুনিক ইংরেজি শিক্ষার প্রভাবে বাংলাদেশেও আধুনিক শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে।