অথবা, `আদালত ও বিচারব্যবস্থা সংক্ষেপে আলোচনা কর।
অথবা, আদালত ও বিচারব্যবস্থার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বিষয়গুলো উল্লেখ কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : সামাজিক শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য ব্যক্তির উপর সামাজিক নিয়ন্ত্রণ জরুরি। এ সামাজিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সমাজভেদে বিভিন্ন হয়ে থাকে। ব্যক্তি সামাজিকীকরণের মধ্য দিয়ে সামাজিক মূল্যবোধ, আদর্শ, প্রথা, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি বিষয়গুলো অভ্যস্ত হয়ে সামগ্রিক সমাজের আদর্শকে অনুসরণ করবে। কিন্তু যখন ব্যক্তি সামাজিক আদর্শসমূহ ভঙ্গের কারণ হয় তখনই সমাজে সঠিক বিচারব্যবস্থা ও তার প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
আদালত ও বিচারব্যবস্থা : আদালত ও বিচারব্যবস্থার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বিষয়গুলো হচ্ছে :
১. পুলিশ ব্যবস্থা,
২. বিচারব্যবস্থা বা আদালত,
৩. শাস্তি ব্যবস্থা।
এগুলোকে অনেক সময় আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। সমাজে এ ধরনের সংস্থাগুলোর বিভিন্ন দিক থেকে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। Elemer Harbert Johnson তাঁর ‘Crime Correction and Society’ নামক বইতে নিম্নলিখিত দিকগুলো তুলে ধরেছেন । যথা :
১. আইনের দৃষ্টিতে ব্যক্তির কাঙ্ক্ষিত আচরণের বা আদর্শমূলক আচরণের সাথে বাস্তবায়িত আচরণের বৈসাদৃশ্য দেখা দেয় বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর অস্তিত্ব থাকে।
২ . সমাজে বিভিন্ন অপরাধের প্রথম প্রতিক্রিয়া বা মুখোমুখি হয় এসব আইন প্রণয়নকারী সংস্থা।
৩.এসব সংস্থাই মূলত সরকারের প্রতিনিধি হয়ে বিভিন্ন বিচ্যুত আচরণের বাধার সৃষ্টি করে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, একজন অপরাধীকে শাস্তি প্রদানের বৈধ পন্থা হচ্ছে আদালত এবং এর সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া। একটি রাষ্ট্র গঠনে এ দুটি বিষয় অত্যন্ত অপরিহার্য। আমাদের জটিল জীবনের বিভিন্ন ঘটনার সাথে যখন সামঞ্জস্য ঘটাতে ব্যর্থ হই তখন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রয়োজন হয়।