অষ্টম অধ্যায়, মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ

ক-বিভাগ

মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ কী হিসেবে পরিচিত?
উত্তর : মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও দার্শনিক হিসেবে পরিচিত।
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ জন্মগ্রহণ করেন কত সালে?
উত্তর : মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯৮
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ জন্মগ্রহণ করেন কোথায়?
উত্তর : মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ জন্মগ্রহণ করেন পাবনা জেলার শাহজাদপুরের ঘোড়াশাল গ্রামে।
বরকতুল্লাহর পিতার নাম কী?
উত্তর : বরকতুল্লাহর পিতার নাম হাজী আজম আলী।
বরকতুল্লাহ ম্যাট্রিক পাস করেন কত সালে?
উত্তর : বরকতুল্লাহ ম্যাট্রিক পাস করেন ১৯১৪ সালে।
কোথা হতে ম্যাট্রিক পাস করেন?
উত্তর : শাহজাদপুর হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন।
বরকতুল্লাহ আই.এ পাস করেন কত সালে?
উত্তর : বরকতুল্লাহ আই.এ পাস করেন ১৯১৬ সালে।
কোথা হতে আই.এ পাস করেন?
উত্তর : রাজশাহী কলেজ থেকে আই.এ পাস করেন।
কোথা হতে বি.এ পাস করেন?
উত্তর : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.এ পাস করেন।
কোন বিষয়ে তিনি বি.এ অনার্স করেন?
উত্তর : দর্শন বিষয়ে তিনি বি.এ অনার্স করেন।
বরকতুল্লাহ কত সালে বি.এ পাস করেন?
উত্তর : বরকতুল্লাহ ১৯১৮ সালে বি.এ পাস করেন
বরকতুল্লাহ এম.এ পাস করেন কত সালে?
উত্তর : বরকতুল্লাহ এম.এ পাস করেন ১৯২০ সালে ।
বরকতুল্লাহ কোথা হতে এম.এ পাস করেন?
উত্তর : বরকতুল্লাহ প্রেসিডেন্সী কলেজ হতে এম.এ পাস করেন।
বরকতুল্লাহ আইন পরীক্ষায় পাস করেন কত সালে?
উত্তর : বরকতুল্লাহ আইন পরীক্ষায় পাস করেন ১৯২২ সালে।
বরকতুল্লাহ বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাস করেন কত সালে?
উত্তর : বরকতুল্লাহ বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাস করেন ১৯২৩ সালে।
বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে সর্বপ্রথম দার্শনিক ভাবনা সমৃদ্ধ সাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করেন কে?
উত্তর : বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে সর্বপ্রথম দার্শনিক ভাবনা সমৃদ্ধ সাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করেন মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ।
বরকতুল্লাহর মৃত্যু হয় কত সালে?
উত্তর : বরকতুল্লাহর মৃত্যু হয় ১৯৭৪ সালের ২ নভেম্বর।
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ বাংলা একাডেমির পরিচালক ছিলেন কত সালে?
উত্তর : মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ বাংলা একাডেমির পরিচালক ছিলেন ১৯৫৫-৫৭ সালে।
বরকতুল্লাহর তিনটি গ্রন্থের নাম লিখ।
উত্তর : বরকতুল্লাহর তিনটি গ্রন্থের নাম হলো :
(১) পারস্য প্রতিভা, (২) মানুষের ধর্ম ও (৩) বাংলা সাহিত্যে মুসলিম ধারা।
বরকতুল্লাহ বাংলা একাডেমি পুরস্কার কত সালে লাভ করেন?
উত্তর : বরকতুল্লাহ বাংলা একাডেমি পুরস্কার ১৯৬০ সালে লাভ করেন।
বরকতুল্লাহ কোন শাখায় বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তর : বরকতুল্লাহ প্রবন্ধ শাখায় বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
কোন গ্রন্থে বরকতুল্লাহর দার্শনিক চিন্তার প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর : “মানুষের ধর্ম” গ্রন্থে বরকতুল্লাহর দার্শনিক চিন্তার প্রকাশ পেয়েছে।
“মানুষের ধর্ম” গ্রন্থের তিনটি বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তর : “মানুষের ধর্ম” গ্রন্থের তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো : (১) চিন্তার গভীরতা, (২) সুবোধ ভাষা ও (৩) সরল ভঙ্গিমায় জটিল তত্ত্ব প্রকাশ।
“মানুষের ধর্ম” গ্রন্থের ভূমিকা লেখেন কে?
উত্তর : “মানুষের ধর্ম” গ্রন্থের ভূমিকা লেখেন শ্রীহরিদাস ভট্টাচার্য ।
“মানুষের ধর্ম” গ্রন্থের আলোচ্যবিষয় কী?
উত্তর : “মানুষের ধর্ম” গ্রন্থের আলোচ্যবিষয় জগৎ, জীবন, জড়, মনোজগৎ, আত্মা, পরমাত্মা প্রভৃতি ।
দার্শনিক আলোচনায় বরকতুল্লাহ কী স্বীকার করে নিয়েছেন?
উত্তর : দার্শনিক আলোচনায় বরকতুল্লাহ বিশ্বময় চেতনার বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিয়েছেন।
“বস্তু জগতের সাধারণ ধর্ম আত্ম-প্রতিষ্ঠা”-উক্তিটি কার?
উত্তর : “বস্তু জগতের সাধারণ ধর্ম আত্ম-প্রতিষ্ঠা”-উক্তিটি বরকতুল্লাহর।
বস্তু জগতের সাধারণ ধর্ম কী?
উত্তর : বস্তু জগতের সাধারণ ধর্ম আত্মপ্রতিষ্ঠা।
আত্মা কীসের দাবিদার?
উত্তর : আত্মা অমরত্বের দাবিদার।
মানুষের জীবনে কয়টি বস্তুর সংমিশ্রণ দেখা যায়?
উত্তর : মানুষের জীবনে দুটি বস্তুর সংমিশ্রণ দেখা যায়।
কোন দুটি বস্তুর সংমিশ্রণ দেখা যায়?
উত্তর : দুটি বস্তুর সংমিশ্রণ দেখা যায়। যথা : (১) জড় ও (২) চেতনা ।
জড় ও চেতনার আদান-প্রদান চলে কতক্ষণ?
উত্তর : জড় ও চেতনার আদান-প্রদান চলে যতক্ষণ মানুষ জীবিত থাকে।
চেতনার অবসান ঘটলে কী হয়?
উত্তর : চেতনার অবসান ঘটলে জড় দেহ পঞ্চভূতে মিশে যায়।
বরকতুল্লাহ কোন মতবাদ খণ্ডন করেন?
উত্তর : বরকতুল্লাহ জড়বাদ খণ্ডন করেন।
জড়বাদকে অকাট্য মনে হয় কেন?
উত্তর : জড়বাদকে অকাট্য মনে হয় কারণ তা প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেয়।
জড়বাদ কীসের সন্ধান দিতে পারে না?
উত্তর : জড়বাদ অন্তরলোকের সন্ধান দিতে পারে না।
পরমার্থের ক্ষেত্রে সত্য কী?
উত্তর : পরমার্থের ক্ষেত্রে সত্য হলো অন্তর্লোক।
বরকতুল্লাহ কোন মতবাদের সমর্থক?
উত্তর : বরকতুল্লাহ আধ্যাত্মবাদের সমর্থক।
বরকতুল্লাহর মতে জ্ঞান লাভের প্রচলিত মাধ্যম কী?
উত্তর : বরকতুল্লাহর মতে জ্ঞান লাভের প্রচলিত মাধ্যম হলো সহজ ইন্দ্রিয়, সংস্কার, বুদ্ধি প্রভৃতি।
কোন জ্ঞানের সাহায্যে পরমার্থ লাভ করা যায় না?
উত্তর : প্রচলিত সাধারণ জ্ঞানের সাহায্যে পরমার্থ লাভ করা যায় না।
মানব মনের কোন শক্তি দিয়ে পরম সত্তাকে জানা যায়?
উত্তর : মানব মনের ‘সজ্ঞা’ নামক শক্তি দিয়ে পরম সত্তাকে জানা যায়।
সজ্ঞা কী?
উত্তর : সজ্ঞা হলো অতীন্দ্রিয় অনুভব শক্তি ।
সজ্ঞার ইংরেজি কী?
উত্তর : সজ্ঞার ইংরেজি হলো “Intuition”।
কীসের সাহায্যে আমরা নিজ অস্তিত্ব ও চেতনা সম্পর্কে অবহিত হই?
উত্তর : সজ্ঞার সাহায্যে আমরা নিজ অস্তিত্ব ও চেতনা সম্পর্কে অবহিত হই।
কখন মানুষ পরম সত্তাকে দেখতে পায়?
উত্তর : সজ্ঞা পরিণত অবস্থায় উপনীত হলে এর আলোকে মানুষ পরম সত্তাকে দেখতে পায়।
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহর দর্শনের মূল ভিত্তি কী?
উত্তর : মোহাম্মদ বরকতুল্লাহর দর্শনের মূল ভিত্তি হলো অতীন্দিয় অনুভব।

খ-বিভাগ

প্রশ্ন॥১॥মোহাম্মদ বরকতুলাহর পরিচয় দাও।
প্রশ্ন॥২॥মোহাম্মদ বরকতুলাহর জীবনদর্শন সম্পর্কে লেখ ।
প্রশ্ন॥৩॥বরকতুলাহর “বিশ্বময় চেতনা” ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৪॥ মোহাম্মদ বরকতুলাহর অতীন্দ্রিয় অনুভব শক্তি সম্পর্কিত মতবাদটি কী?

গ-বিভাগ

প্রশ্ন॥১॥মোহাম্মদ বরকতুলাহ কে ছিলেন? মোহাম্মদ বরকতুলাহর জীবনদর্শন আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥২॥বাংলাদেশ দর্শনে বরকতুলাহ ও আবুল হাশিমের দার্শনিক মতামত ব্যক্ত কর।
প্রশ্ন॥৩॥বরকতুলাহর বিশ্বময় চেতনা ও অতীন্দ্রিয় অনুভব শক্তি সম্পর্কিত মতবাদ আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥৪॥ বরকতুলাহর স্বজ্ঞাবাদ ব্যাখ্যা কর।