অথবা, অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ বলতে কী বুঝ?
অথবা, অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ কাকে বলে?
অথবা, অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ এর পরিচয় দাও।
অথবা, অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ এর ধারণা দাও।
অথবা, অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ সম্পর্কে লিখ।
উত্তর৷ ভূমিকা : সাধারণ অর্থে সমাযোজন বলতে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বা দলের মধ্যে তথ্যের আদান প্রদানকে বুঝায়। সমাযোজনের ছোট তথা সংবেদনশীল সংজ্ঞায় বলা হয়েছে “Communication is a two wa process of exchanging ideas and information between human beings.”
অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ/অনানুষ্ঠানিক সমাযোজন (Informal Communication):
অনানুষ্ঠানিক সমাযোজনের ক্ষেত্রে অনানুষ্ঠানিক মাধ্যম প্রত্যেক পর্যায়ে ব্যক্তি দ্বারা ব্যবহৃত হয়। সাধারণত দেখা যায় যে, কোনো সংগঠনে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও পারস্পরিক সম্পর্ক কার্যকর সমাযোজনের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
থাকে এবং এটা কাজের একটা সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে থাকে। অথবা দেখা যায় যে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তথ্যের জন্য একটি সংস্থার কর্মকর্তা অন্য সংস্থার কর্মকর্তার সাথে সমাযোজন করে এবং সম্পর্ক গড়ে তোলে।
আনুষ্ঠানিক সমাযোজনের ক্ষেত্রে লিখিত প্রক্রিয়ায় অফিস নির্দেশ, চিঠি, রিপোর্ট, তথ্য বুলেটিন ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
অন্যদিকে, অনানুষ্ঠানিক সমাযোজনের ক্ষেত্রে সাধারণত অলিখিত প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন- ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার, অনানুষ্ঠানিক আলোচনা, ব্যক্তিগত পত্র, টেলিফোন সংলাপ ইত্যাদি। এছাড়া সেমিনার, সিম্পোজিয়াম,
আলোচনা, ওয়ার্কসপ ইত্যাদি অনানুষ্ঠানিক সমাযোজন।
ক. মৌখিক সংযোজন : মৌখিক সমাযোজন তাড়াতাড়ি তথ্য পরিবেশন করতে সহায়তা করে থাকে। এটা ভাবের বিনিময়ের ক্ষেত্রে এবং পারস্পরিক সমাযোজতা এবং বিশ্বাস স্থাপনের ক্ষেত্রে সহায়তা করে থাকে।
খ. লিখিত পদ্ধতি : সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানে লিখিত বার্ষিক প্রতিবেদন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে যারা সংগঠনের সাথে যুক্ত তারা অবহিত হতে পারে এবং পরবর্তীতে যারা যুক্ত হবে তারাও সংগঠন
সম্পর্কে জানতে পারবে।
ক. উল্লম্ব সংযোজন : প্রশাসনে অধঃস্তন কর্মচারী হতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট তথ্য পৌছানোর যে পথ তা হলে উলম্ব সংযোজন বা সম্রাযোজন।এক্ষেত্রে অধঃস্তন কর্মচারিদের আশা, আকাঙ্খা, চাহিদা, জিজ্ঞাসা ইত্যাদি মিটিং,কনফারেন্স প্রভৃতির মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট পৌছে দেয়া হয়।
খ. সমান্তরাল সংযোজন : সমমর্যাদা সম্পন্ন দলীয় সদস্যদের মধ্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংযোজন হয় তাকেই সমান্তরাল সংযোজন বলে। অর্থাৎ, যে সমাযোজন একই দলের মধ্যে সমমর্যাদা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে হয়ে থাকে তাকে সমান্তরাল সমাযোজন বলে। যেমন- একই অফিসের সমমর্যাদা সম্পন্ন কর্মচারীদের মধ্যে সমাযোজন।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সমাযোজন। আধুনিক জটিল সংগঠন বা সংস্থায় সমাযোজনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সমাযোজন হলো সংগঠনের জীবনীশক্তি। যে প্রতিষ্ঠানের সমাযোজন ব্যবস্থা যত উন্নত সে প্রতিষ্ঠান তত দ্রুত সম্প্রসারণশীল এবং উন্নত সেবা দিতে সক্ষম।