রাজবন্দীর জবানবন্দী : প্রবন্ধ, কাজী নজরুল ইসলাম

ক-বিভাগ

রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধটি কবে কোথায় প্রকাশ পেয়েছিল?
উত্তর : ১৯২৩, ২৭ জানুয়ারি, ‘ধূমকেতু’ পত্রিকায়।
‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধটিতে নজরুলের হাতে কী ছিল?
উত্তর : ন্যায় দণ্ড।
‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধটি রাজবন্দী কার হাতের বীণা?
উত্তর : ভগবানের হাতের।
‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধটিতে প্রাবন্ধিকের মতে চোখের জলে কী ডুববেই ডুববে?
উত্তর : অহংকার ।
‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধটিতে প্রাবন্ধিকের মতে রাজবন্দীর হাতের বাঁশী কেড়ে নিলে কী হবে?
উত্তর : সে অন্য বাঁশীতে সুর তুলবে।
‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধটিতে প্রাবন্ধিকের মতে প্রকৃত রাজদ্রোহী কে?
উত্তর : বীণা বাদক ভগবান।
‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধটিতে প্রাবন্ধিকের মতে তিনি কার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন?
উত্তর : রাজার বিরুদ্ধে নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধটিতে প্রাবন্ধিকের মতে আদালতে আসামীর কাঠগড়ায় তার পিছনে কে দাঁড়িয়ে আছে?
উত্তর : স্বয়ং সত্য সুন্দর ভগবান।
নজরুল কবি বলে আত্মা কেমন?
উত্তর : সত্যদ্রষ্টা ঋষির মতো।
কবির ভয় এবং দুঃখ নেই কেন?
উত্তর : ভগবান কবির সাথে আছেন এ কারণে।
‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধটিতে প্রাবন্ধিকের মতে তিনি কার পুত্র?
উত্তর : অমৃতস্য পুত্র।
‘রাজদ্বারে’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : রাজার সমীপে; রাজার কাছে।
‘ধূমকেতু’ পত্রিকার সম্পাদক কে?
উত্তর : কাজী নজরুল ইসলাম।
সত্য স্বয়ং প্রকাশ অর্থ কী?
উত্তর : সত্য নিজেই প্রকাশ পায়।
অমৃতস্য পুত্র অর্থ কী?
উত্তর : অমৃতের সন্তান।

খ-বিভাগ

প্রশ্ন॥১॥ প্রাবন্ধিক কাজী নজরুল ইসলামের পরিচয় দাও।
প্রশ্ন॥২॥ ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধের মূল বিষয় লিখ।
প্রশ্ন।৩।“একজন রাজা, হাতে রাজদণ্ড, আরেক জন সত্য, হাতে ন্যায়দণ্ড।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।৪॥ “সে ন্যায়ের নয়, সে আইনের। সে স্বাধীন নয়, সে রাজভৃত্য।” আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥৫॥ “আমার বিচারককে কেহ নিযুক্ত করে নাই। এ মহাবিচারকের দৃষ্টিতে রাজা- প্রজা, ধনী-নির্ধন, সুখী-দুঃখী সকলে সমান।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৬॥ “আমি কবি, অপ্রকাশ সত্যকে প্রকাশ করবার জন্য, অমূর্ত সৃষ্টিকে মূর্তিদানের জন্য ভগবান কর্তৃক প্রেরিত।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৭॥ “আমি রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করি নাই, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছি।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৮॥ “দাসকে দাস বললে, অন্যায়কে অন্যায় বললে এ রাজত্বে তা হবে রাজদ্রোহ।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৯॥“আমি অন্ধ বিশ্বাসে, লাভের লোভে, রাজভয় বা লোকভয়ে মিথ্যাকে স্বীকার করতে পারি না। অত্যাচারকে মেনে নিতে পারি না।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১০॥ “সে সময় এই বিচারক আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যা বলতেন, আমিও তাই এবং তেমনি করেই বলেছি।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১১।“সুর আমার বাঁশির নয়, সুর আমার মনে এবং আমার বাঁশি সৃষ্টির কৌশলে অতএব, দোষ বাঁশিরও নয়, সুরেরও নয়, দোষ আমার, যে বাজায়।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন ১২।“যুগে যুগে তিনি এমনি নীরবে তাঁর রাজবন্দী সত্য সৈনিকের পশ্চাতে এসে দণ্ডায়মান হন।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১৩॥ “সে আইন বিশ্ব মানবের সত্য উপলব্ধি হতে সৃষ্ট, সে আইন সার্বজনীন সত্যের, সে আইন সার্বভৌমিক ভগবানের।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।১৪।“রাজার বাণী বুদ্বুদ, আমার বাণী সীমাহারা সমুদ্র।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।১৫।“নির্বোধ মানুষের অহঙ্কারের অন্ত নাই, সে যাহার সৃষ্টি, তাহাকেই সে বন্দী করতে চায়, শাস্তি দিতে চায়।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।১৬৷ “আমি শুধু রাজার অন্যায়ের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ করি নাই, সমাজের, জাতির, দেশের বিরুদ্ধে আমার সত্য তরবারির তীব্র আক্রমণ সমান বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১৭৷ “আমি মরব, রাজাও মরবে, কেননা আমার মত অনেক রাজবিদ্রোহী মরেছে। আবার এমনি অভিযোগ আনয়নকারী বহু রাজাও মরেছে। কিন্তু কোনকালে কোন কারণেই সত্যের প্রকাশ নিরুদ্ধ হয়নি, তার বাণী মরেনি।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।১৮।“আমার কণ্ঠের ঐ প্রলয় হুঙ্কার একা আমার নয়, সে যে নিখিল আত্মার যন্ত্রণা চিৎকার। আমায় ভয় দেখিয়ে, মেরে এ ক্রন্দন থামানো যাবে না।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।১৯।“তাকে ডাকছে মরণ, আমায় ডাকছে জীবন, তাই আমাদের উভয়ের অস্ত তারা আর উদয় তারার মিলন হবে কি না বলতে পারি না।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।২০।“চিরশিশু প্রাণের উচ্ছল আনন্দের পরশমণি দিয়ে নির্যাতিত লোহাকে।মণিকাঞ্চনে পরিণত করবার শক্তি ভগবান আমাকে না চাইতেই দিয়েছেন।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥২১।“আমার হাতের ‘ধূমকেতু’ এবার ভগবানের হাতের অগ্নিমশাল হয়ে অন্যায় অত্যাচারকে দগ্ধ করবে।”- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।২২।“আমার এই শাসন নিরুদ্ধ বাণী আবার অন্যের কণ্ঠে ফুটে উঠবে। আমার হাতের বাঁশি কেড়ে নিলেই সে বাঁশির সুরের মৃত্যু হবে না।”— ব্যাখ্যা কর।

গ-বিভাগ

প্রশ্না১৷ বিদ্রোহী প্রাবন্ধিক কাজী নজরুল ইসলামের ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ শীর্ষক নিবন্ধের মূলবক্তব্য তোমার নিজের ভাষায় লিখ।
প্রশ্ন॥২॥‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কাজী নজরুল ইসলামের স্বদেশপ্রেমের যে ছবি ফুটে উঠেছে, তা নিজের ভাষায় বর্ণনা কর।
প্রশ্ন।৩।‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধে বিদ্রোহী প্রাবন্ধিক কাজী নজরুল ইসলামের রাজদ্রোহীর যে পরিচয় ফুটে উঠেছে তা নিজের ভাষায় লেখ।
প্রশ্ন।৪।’রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রাবন্ধিক কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী আত্মার মূর্ত প্রতীক’- এ উক্তির আলোকে বিদ্রোহের মাহাত্ম্য বর্ণনা কর।
প্রশ্ন।৫।‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধ অনুসরণে প্রাবন্ধিক কাজী নজরুল ইসলামের কারাবরণের প্রেক্ষাপট বর্ণনা পূর্বক কবি মানসের পরিচয় দাও।
প্রশ্ন॥৬॥ “রাজবন্দীর জবানবন্দী” প্ৰবন্ধ অনুসরণে কাজী নজরুল ইসলামের আত্মচেতনার স্বরূপ বিশ্লেষণ কর।