General Knowledge

দারিদ্র্য বিমোচনে খাদ্য সাহায্য কর্মসূচির আওতায় চলমান বিভিন্ন কর্মসূচির অগ্রগতির বর্ণনা দাও।

অথবা, খাদ্য সাহায্য কর্মসূচির আওতায় চলমান বিভিন্ন কর্মসূচির অগ্রগতি আলোচনা কর।
অথবা, দারিদ্র্য বিমোচনে চলমান খাদ্যকর্মসূচির বর্ণনা দাও।
অথবা, দারিদ্র্য বিমোচনে চলমান খাদ্য কর্মসূচিগুলো উল্লেখ কর।
উত্তর : ভূমিকা :
বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এ দেশের অর্ধেকেরও বেশি লোক দারিদ্র্য সীমারেখার নিচে বাস করে। দারিদ্রতার কারণে প্রতিদিন পর্যাপ্ত খাবার গ্রহণ থেকে এ দেশের দরিদ্র জনগণ বঞ্চিত হয়।
দারিদ্র্য বিমোচনে খাদ্য কর্মসূচি : বাংলাদেশের জনসংখ্যা অত্যধিক। এ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি দরিদ্র। তাদের দারিদ্র্য বিমোচনে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির অগ্রগতি নিম্নে উল্লেখ করা হলো :
ক. কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি : গ্রামীণ অবকাঠামোতে কাজের বিনিময়ে ২০১০-১১ অর্থবছরে প্রায় ৯৮০.৭৯ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৩.৫৪ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য বরাদ্দ করা হয়েছে এবং ফেব্রুয়ারি ২০১১ পর্যন্ত ৭৫ মেট্রিক টন গম ও ৬৪টি জেলায় ২৭৪.৫৬ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
খ. ভিজিডি : মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন এ কর্মসূচির আওতায় ২০১০-১১ অর্থবছরে মোট ৭.৪ লক্ষ

তদরিদ্র মহিলাদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা ও প্যাকেজ ট্রেনিং প্রদান করা হচ্ছে। ৬৪টি জেলায় উপকারভোগীদের মাঝে মাসিক ৩০ কেজি চাল বা গম প্রদান করা হয় চলতি বছর মোট ২.৬৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ হয়েছে।
গ. ভিজিএফ : খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়াধীন এ কর্মসূচির আওতায় ২০১০-১১ অর্থবছরে প্রায় ৫.৫০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে এবং জানুয়ারি ২০১১ পর্যন্ত ৪৮.৫০ লক্ষ উপকারভোগীর মাঝে ১.০৫ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়েছে।
ঘ. গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ : খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়াধীন এ কর্মসূচির আওতায় ২০১০-১১ অর্থবছরে প্রায় ৯৫৩.৮৮ লক্ষ টাকার ৪.১০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
উসপংহার : দারিদ্র্য হ্রাসে এ খাদ্যকর্মসূচি যথেষ্ট গুরুত্বের দাবিদার। যথাযথ ও সমভাবে এ সাহায্য দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর মধ্যে বণ্টন ও বিতরণ করলে বহুলাংশে দারিদ্র্যের মাত্রা হ্রাস পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!