অথবা, ইতিবাচক ও নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্যগুলো কি কি? অথবা, ইতিবাচক ও নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে বৈসাদৃশ্য তুলে ধর।
ভাল এবং ইতিবাচক এবং নৈতিক বক্তৃতার অর্থনীতির পর্যালোচনা উভয়ের মধ্যে কিছু পার্থক্য প্রকাশ করে। নীচে তাদের মধ্যে সমস্ত পার্থক্য রয়েছে:-
১. সংজ্ঞা: কী করতে হবে, কীভাবে করতে হবে এবং কী কারণে করা উচিত তার একটি বিবৃতি পর্যালোচনাকে ইতিবাচক অর্থনীতি বলা হয়। অন্যদিকে, যে অর্থনীতির ভিত্তিতে নীতি মূল্যায়ন উপস্থাপন করা হয় তাকে নীতি অর্থনীতি বলা হয়।
২. বিষয়: ইতিবাচক অর্থনীতি একটি সামাজিক সত্য বা পণ্য। যেমন: মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্বের হার হত্যা। এবং নৈতিক অর্থনীতি সমাজে কী ঘটতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করে।
৩. মতপার্থক্য: অভিজ্ঞতামূলক জ্ঞানের সাহায্যে ইতিবাচক অর্থনীতি সম্পর্কে যেকোনো মতবিরোধ সমাধান করুন বা বাদ দেওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক অর্থনীতিতে যখন মতবিরোধ দেখা দেয়, তখন সেগুলি বেশিরভাগই অভিজ্ঞতামূলক তথ্য দ্বারা গৃহীত বা প্রত্যাখ্যান করা হয় না।
৪. ভিত্তি: ইতিবাচক অর্থনীতি ডেটা-চালিত; মূল্যবোধের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে, নৈতিক অর্থনীতি বিচার করে কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ। তাই রাজনৈতিক অর্থনীতিতে মূল্যবোধের প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ।
৫. পর্যবেক্ষণ: ইতিবাচক অর্থনীতি ইতিবাচক বা বাস্তবভিত্তিক অভিজ্ঞতামূলক জ্ঞানের পর্যবেক্ষণের উপর নির্ভর করে। অন্যদিকে, নৈতিক বক্তৃতা নীতির উপর ভিত্তি করে যার বিবৃতি মূল্যবোধের মাপকাঠি দ্বারা বিচার করা হয়।
৬. অর্থনীতিতে বিজ্ঞান: ইতিবাচক অর্থনীতি একটি বিশুদ্ধ বিজ্ঞান। অন্যদিকে রাজনৈতিক অর্থনীতি ইতিবাচক অর্থনীতির ফলিত বিজ্ঞান।