ক-বিভাগ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১.শামসুর রাহমান কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর :১৯২৯, ২৪ অক্টোবর।
২. শামসুর রাহমান কত সালে মৃত্যু বরণ করেন?
উত্তর :২০০৬, ১৭ আগস্ট।
৩. শামসুর রাহমান কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর :মাহুতটুলী, ঢাকা।
৪. শামসুর রাহমানের পৈতৃক নিবাস কোথায়?
উত্তর :নরসিংদীর পাড়াতলী।
৫. শামসুর রাহমানের ডাক নাম-বাল্য নাম কী ছিল?
উত্তর :বাচ্চু
৬. কর্মজীবনের শুরুতে শামসুর রাহমান কী ছিলেন?
উত্তর : সাংবাদিক।
৭. শামসুর রাহমান কোন কোন পত্রিকায় কাজ করেছেন?
উত্তর : দৈনিক বাংলা এবং মর্নিং নিউজ।
৮. ‘আধুনিক নাগরিক কবি’ বলা হয় কাকে?
উত্তর : শামসুর রাহমানকে।
৯. শামসুর রাহমানের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
উত্তর : ‘প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ (১৯৬০)।
১০. শামসুর রাহমানের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
উত্তর : রৌদ্র করোটিতে, বিধ্বস্ত নীলিমা, নিরালোকে দিব্যরথ, নিজ বাসভূম, বন্দী শিবির থেকে (১৯৭২), দুঃসময়ের মুখোমুখি,
ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা, আদিগন্ত নগ্ন পদধ্বনি, এক ধরনের অহংকার, শূন্যতায় তুমি শোকসভা, প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে,
ইকারুসের আকাশ, উদ্ভট উটের পিঠে চলছে স্বদেশ, মাতাল ঋত্মিক, নায়কের ছায়া, হোমারের স্বপনময় হাত, শিরোনাম
মনে পড়ে না, ধুলায় গড়ার শিরস্ত্রাণ, অবিরল জলভূমি, সে এক পরবাসে, গৃহযুদ্ধের আগে, এক ফোঁটা কেমন অনল, ধ্বংসের
কিনারে বসে (১৯৯২)।
১১. শামসুর রাহমানের উপন্যাসগুলোর নাম লিখ?
উত্তর : অক্টোপাস (১৯৮৩), নিয়ত মন্তাজ, অদ্ভুত আঁধার এক, এলো সে অবেলায়।
১২. শামসুর রাহমানের শিশুতোষ রচনা কোনগুলো?
উত্তর :এলাটিং বেলাটিং, ধান ভানলে কুঁড়ো দেবো, রংধনু সাঁকো, লাল ফুলকির ছড়া।
১৩. শামসুর রাহমানের কতিায় কী ধারণ করে আছে?
উত্তর : আধুনিক নগারিক জীবন, দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধ, সামাজিক সচেতনতা এবং গণআন্দোলন।
১৪.শামসুর রাহমান সাহিত্যকর্মের জন্য কোন কোন পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তর : ‘আদমজী পুরস্কার’ (১৯৬৩), ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’ (১৯৬৯), মিৎসুবিশি পুরস্কার’ (১৯৮২), জীবনানন্দ দাশ পুরস্কার
(১৯৭৩), একুশে পদক (১৯৭৭), নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক এবং স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯১)।
১৫. শামসুর রাহমানের আত্মজীবনীমূলক রচনাগুলো কী কী?
উত্তর : স্মৃতির শহর (১৯৭৯) এবং কালের ধূলোয় লেখা (২০০৪)।
১৬. শামসুর রাহমানের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা কত?
উত্তর : ৬৫।
১৭. শামসুর রাহমানের ‘বারবার ফিরে আসে’ কবিতাটি কোন গ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তর : ‘দুঃসময়ের মুখোমুখি’।
১৮. ‘বার বার ফিরে আসে’ কবিতাটির কোন সময়কে ধারণ করে আছে?
উত্তর : ১৯৫২-১৯৭১।
১৯. ‘বার বার ফিরে আসে’ কবিতাটিকে কবি কোন বিষয়কে উপজীব্য করেছেন?
উত্তর : ঊনসত্তর সালের শহীদ আসাদুজ্জামানের রক্তমাখা শার্টকে।
২০. ‘বার বার ফিরে আসে’ কবিতাটিতে বার বার কী ফিরে আসে?
উত্তর : রক্তমাখা শার্ট।
২১. ‘বার বার ফিরে আসে’ কবিতাটিতে রক্তমাখা শার্ট কোথায় ফিরে ফিরে আসে?
উত্তর : থমথমে শহরের প্রকাণ্ড চোয়ালে ।
২২. ‘বার বার ফিরে আসে’ কবিতাটিতে কে বলেছিলো ‘আবার আসবো ফিরে’?
উত্তর : সজীব কিশোর।
২৩. ‘বার বার ফিরে আসে’ কবিতাটি শার্টের আস্তিন ছিঁড়ে কে পতাকা বানায়?
উত্তর : সজীব কিশোর।
২৪. ‘বার বার ফিরে আসে’ কবিতাটিতে কার চোখে শ্রাবণের আকাশ ভেঙে পড়ে?
উত্তর : সন্তান হারা মায়ের চোখে।
২৫. ‘বার বার ফিরে আসে’ কবিতাটিতে কার বুক খাঁ খাঁ গোরস্তান হয়ে যায়?
উত্তর :নববধূর।
২৬. ‘বার বার ফিরে আসে’ কবিতাটি বুক শূন্য করা গুলিবদ্ধ লাশ কে বহন করে?
উত্তর :এক সন্তান হারা পিতা।
২৭. ‘বার বার ফিরে আসে’ কবিতাটিতে কোন সময়ে তরুণ ছেলেটি রৌদ্রে খেলা করতো?
উত্তর : উনিশ শ’ ঊনসত্তরে।
২৮. ‘বারবার ফিরে আসে’ কবিতাটিতে কে ধুলোর দুর্গ বানায়?
উত্তর : উনিশ শ’ ঊনসত্তরের তরুণ ছেলেটি।
২৯. ‘বার বার ফিরে আসে’ কবিতাটিতে কবির অনুমান অনুসারে বাংলাদেশ কী হয়ে যেতে পারে?
উত্তর : এক সুবিশাল শহীদ মিনার।
৩০. ‘রক্তাপুত’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর রক্তে ভেজা।
৩১. ‘নিসর্গ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : প্রকৃতি।
৩২. ‘করুণ প্লাবন’ কী?
উত্তর : চোখের পানির বন্যা।
৩৩. ‘অসূর্যস্পশ্যা’ কী?
উত্তর : সূর্যের মুখ পর্যন্ত দেখেনি এমন নারী।
খ-বিভাগ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর