বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ হচ্ছে এদেশের গ্রাম ও শহরের অসংখ্য প্রবীণদের কল্যাণার্থে প্রচলিত এক সংঘ। যৌবনের শেষে বার্ধ্যকের হাতছানি দেওয়া হবে এটাই স্বাভাবিক। প্রতিটি মানুষই এ সত্যকে স্বীকার করতে বাধ্য। প্রবীণদের দৈহিকসহ নানা সমস্যা থাকে। তার জন্য তারা সুস্থ স্বাভাবিক জীবনধারণে সর্বদা বাধার
সম্মুখীন হয়ে থাকে । তাই তাদের সার্বিক কল্যাণে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ।
→ বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঃ বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ কিছু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নে কিছু উল্লেখ করা হলো ঃ
১. ঔষুধ সরবরাহ জেলা শাখাগুলোতে : অনুমোদিত জেলা শাখাগুলোর মধ্যে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী শাখাকে কেন্দ্র হতে ঔষধ সরবরাহ।
২. দুই শিফটে হাসপাতাল সেবা ঃ প্রবীণদের স্বাস্থ্য সেবায় সংঘে দুই শিফট হাসপাতাল সেবা চালু করা।
৩. তহবিল সংগ্রহ ঃ বিভিন্ন ব্যাংক ও সংস্থা হতে সুষ্ঠুভাবে তহবিল গঠনের মাধ্যমে এই সংঘের কাজকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
৪. নতুন দুটি কার্যক্রম ঃ প্রবীণ সেবা প্রদানে নতুন দুটি কার্যক্রম গৃহীত হতে পারে তা হলো ঃ
(ক) প্রবীণদের জন্য হোম কেয়ার সার্ভিস ও
(খ) স্কুল প্রোগাম ইত্যাদি। ফলে এই সংঘ আরো উন্নত হচ্ছে।
৫. ইন্টারনেটের ব্যবহার নিশ্চিতকরণ : বর্তমান যুগে ইন্টারনেট ছাড়া কোনো অফিস, আদালত, সংঘ ভালোভাবে চলতে পারে না। এ জন্য বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ইন্টারনেটের মাধ্যমে কার্যক্রমকে দেশ-বিদেশে প্রচার ও প্রসার করতে চায়।
৬. আয়বর্ধক প্রকল্প ঃ জেলা শাখার মাধ্যমে আয়বর্ধক প্রকল্পে ইতোমধ্যে বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তাই ভবিষ্যতে এটি আরও সম্প্রসারিত হবে।
৭. ১০ কোটি টাকার প্রকল্প : সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরে ১০ কোটি টাকার ১টি প্রকল্প প্রেরিত হয়েছে যার ৪ কোটি টাকা এই সংঘ বহন করতে ইচ্ছুক।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের পরিকল্পনাগুলো সত্যিই প্রবীণদের কল্যাণকে
আরো বিস্তৃত করতে সক্ষম । তাই ঐগুলো বাস্তবায়নে কার্যকরী ভূমিকা নিশ্চিত করা দরকার সরকারের পক্ষ থেকে।