অথবা, ঘটনা কাকে বলে?
অথবা, ঘটনার সংজ্ঞা দাও।
অথবা, ঘটনা বলতে কী বুঝ?
অথবা, ঘটনার সংজ্ঞা লিখ।
উত্তর৷ ভূমিকা : বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হলো এমন একটি যুক্তিভিত্তিক ও অনুসন্ধানমূলক প্রক্রিয়া, যা সমস্যা চিহ্নিত করে এবং সমাধানের পদ্ধতি নির্দেশ করে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে সকল বিজ্ঞান গড়ে উঠে । বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি কার্য করার কতগুলো উপাদান রয়েছে । সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঘটনা ।
ঘটনা : সামাজিক গবেষণায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রথম ও প্রধান আলোচ্যবিষয় হলো ‘Fact’ বা ঘটনা। সামাজিক গবেষণায় ‘ঘটনাকে’ সমাজবিজ্ঞানী ডুরখেইম (Durkheim) সর্বপ্রথম আলোচনায় স্থান দেন। ডুরখেইম তাঁর ‘Rules of Sociological Method’ এবং অন্যান্য রচনাতে এ অভিমত জ্ঞাপন করেন যে, সমাজ সংগঠনের চরিত্র নির্ণয়ের জন্যই বিভিন্ন সমাজের বিশেষ ক্ষেত্র সম্পর্কে আলোচনা কেন্দ্রীভূত করা প্রয়োজন । কোনো কোনো ঘটনা সমাজকে সংগঠিত করে রাখছে এবং কোনো কোনো ঘটনা সমাজকে অসংগঠিত করার দিকে নিয়ে চলেছে তা অনুধাবন করাই ছিল তাঁর আজীবন অন্বেষণ ।
পলিন ভি. ইয়ং (Pauline V. Young) ঘটনা সম্পর্কে বলেন, “Facts are defined as what has really happened. But facts are not limited to the tangible. Thoughts and feelings and sentiments are facts in social science. Data are defined as facts, figures, etc. known or are available information.” অর্থাৎ, ঘটনাকে সংজ্ঞায়িত করা যায় বাস্তবে কি ঘটেছে। কিন্তু অধিগম্য দ্বারা সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক বিজ্ঞানে চিন্তা, অনুভূতি এবং ভাবপ্রবণতা ইত্যাদি ঘটনা (fact)। উৎপত্তিকে সংজ্ঞায়িত করা যায় ঘটনা, আকার ইত্যাদি জ্ঞাত বা সচরাচর তথ্য দ্বারা ।
বি. এন. ঘোষ (B. N. Ghosh) এর মতে, “A fact is anything which is there or which can be conceived of. It is a concrete event of experience.” উপর্যুক্ত সংজ্ঞায় বি. এন. ঘোষ ঘটনাকে অভিজ্ঞতার বাস্তবতার ফল হিসেবে উল্লেখ করেছেন ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়, ঘটনা হচ্ছে দুটি প্রত্যয় বা ধারণার মধ্যকার সম্পর্ক সম্বন্ধে একটি বিবৃতি । ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর এর কার্যশক্তি বা অস্তিত্ব মানুষের মনে ধারণকৃত অবস্থায় থাকে, তখন তা তথ্য হিসেবে গণ্য হয়। গবেষক যখন তথ্যকে গবেষণার কাজে উৎস হিসেবে চিহ্নিত বা ব্যবহার করে তখন তা উপাত্ত হিসেবে বিবেচিত