অথবা, অপরাধী সম্পর্কে সংখ্যাতাত্ত্বিক জরিপ পদ্ধতির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলি সংক্ষেপে লিখ।
উত্তর৷ ভূমিকা : অপরাধবিজ্ঞানে যেসব পদ্ধতির ভিত্তিতে অপরাধ শনাক্তকরণ হয়ে থাকে তার মধ্যে সংখ্যাতাত্ত্বিক জরিপ পদ্ধতি একটি। এ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনাপূর্বক এর সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ তুলে ধরা হলো :
অপরাধী সম্পর্কে সংখ্যাতাত্ত্বিক জরিপ পদ্ধতি : এপদ্ধতি অপরাধীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সমাজ ও তার দর্শন, সংস্কৃতি ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে এ পদ্ধতি চালানো হয়। এ পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে অপরাধবিজ্ঞানীরা দু’ধরনের করেন। যথা: অপরাধী ও নিরপরাধী।
সুবিধা : অপরাধী সম্পর্কে সংখ্যাতাত্ত্বিক জরিপ পদ্ধতির সুবিধাগুলো নিম্নরূপ :
- অপরাধের পিছনে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক কারণগুলো এ পদ্ধতির সাহায্যে জানা যায়।।
অপরাধী ও নিরপরাধী উভয় ব্যক্তির মানসিক আবেগপ্রবণতা সম্পর্কে এ পদ্ধতির মাধ্যমে জানা যায়। আর এ মানসিক আবেগপ্রবণতাই অপরাধের পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচিত।
অপরাধীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, পারিপার্শ্বিক অবস্থান কোন মানসিক অবস্থায় মানুষ অপরাধে লিপ্ত হয় তা এ পদ্ধতির প্রয়োগে জানা সম্ভব।
অসুবিধা : অপরাধী সম্পর্কে সংখ্যাতাত্ত্বিক জরিপ পদ্ধতির অসুবিধা নিম্নরূপ :
এ পদ্ধতির বড় সমস্যা হলো অপরাধী অনেক সময় সঠিক তথ্য দিতে চায় না। অপরাধীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে তাদের সংস্পর্শে যেতে হয় যা ঝুঁকিপূর্ণ। তথ্যের ক্ষেত্রে থানার উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার ফলে তা অনেক সময় পক্ষপাতদুষ্ট হয় ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, অপরাধী সম্পর্কে সংখ্যাতাত্ত্বিক জরিপ পদ্ধতিতে অপরাধীদেরকে প্রশ্ন করে data সংগ্রহ করা হয়। এ পদ্ধতিতে অপরাধীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সাথে নিরপরাধ ব্যক্তির তুলনা করে সমীক্ষা চালানো হয়। অমেরিকায় অপরাধবিজ্ঞানের গবেষণায় অপরাধী সম্পর্কে সংখ্যাতাত্ত্বিক জরিপ পদ্ধতি বেশ প্রচলিত ও জনপ্রিয়।