অথবা, অপরাধ শনাক্তকরণ পদ্ধতি হিসেবে প্রাপ্ত তথ্যের বিশ্লেষণ পদ্ধতির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধর।
উত্তর৷ ভূমিকা : অপরাধবিজ্ঞানে বিভিন্ন পদ্ধতির আলোকে অপরাধ শনাক্তকরণ হয়ে থাকে। তার মধ্যে প্রাপ্ত তথ্যের বিশেষণ পদ্ধতি একটি উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি। এ পদ্ধতির ব্যাখ্যামূলক আলোচনাপূর্বক এর সুবিধা ও অসুবিধা তুলে ধরার প্রয়াস পাব।
প্রাপ্ত তথ্যের বিশেষণ পদ্ধতি : অপরাধবিজ্ঞানে পদ্ধতিটি খুবই সাধারণ পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। এ পদ্ধতির ক্ষেত্রে পত্রপত্রিকার ভূমিকা লক্ষণীয়। পত্রপত্রিকা বা বিভিন্ন Journalএ প্রকাশিত তথ্যকে সংগ্রহ করে বা অপরাধ সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ পদ্ধতি প্রয়োগক্ষম।
সুবিধা : এ পদ্ধতির সুবিধাসমূহ নিম্নরূপ :
১.এ পদ্ধতির মাধ্যমে একটি সাধারণ সূত্র বা সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় সহজেই।
২. এটি সাধারণ পদ্ধতি বলে সচেতন যে কোন ব্যক্তিই ইচ্ছা করলে প্রয়োগ করতে পারেন।
অসুবিধা : এ পদ্ধতির অসুবিধাসমূহ নিম্নরূপ :
১.এ পদ্ধতির অন্যতম ত্রুটি হচ্ছে অচিহ্নিত বা অপ্রকাশিত তথ্যের সমাবেশ।
২.প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রণীত প্রকল্প বা তথ্যের Generalization পূর্ণাঙ্গ নাও হতে পারে।
৩.অপরাধের যে কারণটিকে এ পদ্ধতিতে প্রাধান্য দেয়া হয় তার বদলে অন্য কোন কারণ ও প্রধান হতে পারে।
৪. প্রাধান্য দেয়া কারণটি মৌলিক কারণ নাও হতে পারে, যেটি প্রাপ্ত তথ্যের বিশেষণ পদ্ধতির অন্যতম ত্রুটি।
মতামত : প্রাপ্ত তথ্যের বিশেষণ পদ্ধতিটি যেহেতু অনেকটাই পত্রপত্রিকা নির্ভর সেহেতু এক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি এবং সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য যেন হলুদ সাংবাদিকতার খবরকেন্দ্রিক না হয় সেদিকে কে বিশেষ নজর দিতে হবে। একাধিক পত্রিকা দেখে এ সংক্রান্ত গ্রহণযোগ্য তথ্যটিকে গ্রহণ করতে হবে।
উপসংহার : প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ নিয়ে বিশেষত এর উৎস, বিস্তার প্রভৃতি বিষয় কোন নিরিখে গৃহীত সে সম্পর্কে জেনে এ পদ্ধতি গ্রহণ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব।