অথবা, অপরাধ গবেষণা পদ্ধতি হিসেবে ঐতিহাসিক পদ্ধতির ভালো-মন্দ দিকগুলো উল্লেখ কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : অপরাধ সংক্রান্ত গবেষণা পদ্ধতির ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক পদ্ধতি একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। যদিও বর্তমান অপরাধবিজ্ঞানে এ পদ্ধতির ব্যবহার সীমিত। অপরাধ সংক্রান্ত গবেষণায় ঐতিহাসিক পদ্ধতির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো কী কী? লিখ।
ঐতিহাসিক পদ্ধতি : অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলিকে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় জানার জন্য যে পদ্ধতির আশ্রয় নেয়া হয় তাকে ঐতিহাসিক পদ্ধতি বলে। কার্ল মার্কস এবং ম্যাক্স ওয়েবার এ পদ্ধতি বেশি ব্যবহার করতেন। মূলত অতীতকে জানার মাধ্যমে বর্তমানকে জানার প্রচেষ্টা চলছে ঐতিহাসিক পদ্ধতিতে।
সুবিধা : অপরাধবিজ্ঞানের গবেষণায় প্রচলিত ঐতিহাসিক পদ্ধতির সুবিধাগুলো নিম্নরূপ :
১. পরিবর্তনশীল সমাজের প্রেক্ষাপটে অপরাধ ও অপরাধীর বিশেষণ করতে ঐতিহাসিক পদ্ধতি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
অপরাধী হওয়ার পিছনে কি কারণ, কেন হয় এসব জানার জন্য অপরাধবিজ্ঞানীরা Historical method এর উপর নির্ভর করেন।
৩. নারী নির্যাতনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া জানতে Historical method ব্যবহার করা হয়।
- এ পদ্ধতির সাহায্যে অপরাধমূলক আচরণের নতুন নতুন কৌশল, আপরাধকর্মের শাস্তিবিধানের কৌশল এবং ধ্যানধারণা সম্পর্কে গবেষণা করা সম্ভব।
অসুবিধা : ঐতিহাসিক পদ্ধতির সীমাবদ্ধতাগুলো নিম্নরূপ :
১. অতীতের উপর বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল
কত
২. অতীতের প্রেক্ষাপটের সাথে বর্তমান সাদৃশ্যপূর্ণ নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে এ পদ্ধতি তার গ্রহণযোগ্যতা হারায়।
উপসংহার : বর্তমান অপরাধবিজ্ঞানে এ পদ্ধতির ব্যবহার তেমন একটা হয় না। ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় এর ব্যবহার সীমিত হলেও বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ পদ্ধতিটি খুবই উপযোগী। তবে এ পদ্ধতি প্রয়োগের সময় যদি বর্তমান এবং বাস্তবতা দুটি বিষয়ে সজাগ থাকা যায় তবে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া সম্ভব।