অপরাধ বিজ্ঞানের গবেষণা পদ্ধতিসমূহে অপরাধ ও বিচ্যুতিকে কিভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

অথবা, অপরাধ বিজ্ঞানে অপরাধ ও বিচ্যুতি কিভাবে বিশ্লেষিত হয়েছে? সংক্ষেপে লিখ।
উত্তরা৷ ভূমিকা :
সমাজবদ্ধ জীব হিসেবে একত্রিতভাবে সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের লক্ষ্যে মানুষ সমাজ গঠন করেছিল। আর সুন্দরভাবে সমাজকল্যাণের লক্ষ্যে চালু করেছিল নির্দিষ্ট আচার প্রথা বা নিয়মনীতির। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে প্রথাবিরোধী আচার আচরণ সৃষ্টি করে বিচ্যুতি এবং অপরাধের মত চিহ্নিত কিছু বিষয়ের।
অপরাধবিজ্ঞান গবেষণা পদ্ধতি : কোন কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে গৃহীত পন্থাই হলো পদ্ধতি। পদ্ধতির উদ্দেশ্য হলো সমস্যাকে সহজবোধ্য করে তোলা। তাই বলা যায়, “A method is a way of approbation the problem and it is a systematic and scientific way of doing something.” বস্তুত অপরাধবিদ্যা বিজ্ঞান না হলেও তার গবেষণার পদ্ধতি ক্রমশ বিজ্ঞানভিত্তিক হচ্ছে এবং এতে করে এর বৈজ্ঞানিক মর্যাদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরাধ আইন, অপরাধের কারণ ও শাস্তি সম্পর্কে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার যেসব পদ্ধতি ব্যবহার হয়ে থাকে সেগুলোকে বলা হয় অপরাধবিজ্ঞানের গবেষণা পদ্ধতি।
অপরাধবিজ্ঞানের গবেষণা পদ্ধতির প্রকারভেদ : বিচ্যুতি ও অপরাধমূলক সমাজবিজ্ঞানের গবেষণায় যেসব পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় অপরাধবিজ্ঞানী সাদারল্যান্ড সেসব পদ্ধতিসমূহকে দুটি প্রধান প্রকরণে বিভক্ত করেছেন। যথা :
১. প্রথমটি সাধারণ চেতনা পদ্ধতি, যা কোন সম্প্রদায় থেকে অর্জন করা যায়। এ ধরনের পদ্ধতিগুলো সাধারণত ঐতিহাসিক এবং অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করে থাকেন।
২. দ্বিতীয় সাধারণ পদ্ধতিটি হচ্ছে ব্যক্তির পদ্ধতিগত অধ্যয়ন যে অপরাধের সাথে সে জড়িত।
উপসংহার : সামগ্রিকভাবে অপরাধবিদ্যার সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান আছে যা পদ্ধতিগত ক্ষেত্রেও সাধারণ। সাধারণ পদ্ধতি এবং বিচ্যুতি ও অপরাধমূলক যেসব পদ্ধতি সচরাচর সমাজবিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয় তা বিভিন্ন পদ্ধতির আলোকে অপরাধবিজ্ঞান গবেষণার মাধ্যমে তুলে ধরে।