ক-বিভাগ
১৯৬৯ গণঅভ্যুত্থান কী?
উত্তর : গণতন্ত্র বাস্তবায়ন ও স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা এবং সকল গণবিরোধী শক্তি ও সামরিক আমলাদের কর্তৃত্ব অবসানের
লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালে পূর্ব বাংলার ছাত্র শ্রমিক কৃষক ছয় দফা ও এগারো দফার ভিত্তিতে স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করে তাই ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান নামে পরিচিত।
৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের ৩টি কারণ হচ্ছে- ১. পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবি উপেক্ষা, পাকিস্তানের উভয় অংশের মধ্যকার অর্থনৈতিক রাজনৈতিক বৈষম্য এবং ৩. সরকারি দমন নীতি ও পুলিশি নির্যাতন।
৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের ৩টি ফলাফল লিখ।
উত্তর : ৩টি ফলাফল হলো : ১. আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অবসান, ২. বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ এবং ৩. স্বাধীনতার ক্ষেত্র প্রস্তুত।
স্তানের শাসনতান্ত্রিক ইতিহাসে ১৯৬৯ সাল কেন বিখ্যাত?
পশ্চিম পাকিস্তানে আইয়ুব বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কখন সংঘটিত হয়?
উত্তর : ১৯৬৮ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে পশ্চিম পাকিস্তানে আইয়ুব বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংঘটিত হয়।
আইয়ুব খানের ক্ষমতা দখলের এক দশক পূর্ণ হয় কখন?
উত্তর : ১৯৬৮ সালের ২৭ অক্টোবর আইয়ুব খানের ক্ষমতা দখলের এক দশক পূর্ণ হয়।
গণঅভ্যুত্থান কত সালে হয়?
উত্তর : ১৯৬৯ সালে।
৬৯ গণঅভ্যুত্থানের তিনটি কারণ লিখ।
‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের স্লোগান কী ছিল?
উত্তর : ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের স্লোগান ছিল জেলের তালা ভাঙব, শেখ মুজিবকে আনব, তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব শেখ মুজিব, তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা।
৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম লক্ষ্য কী ছিল?
উত্তর : ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম লক্ষ্য ছিল আইয়ুব খানের পতন।
কোন জননেতা মজলুম জননেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন?
উত্তর : মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।
সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম কমিটি কখন ১১ দফা দাবি পেশ করে?
উত্তর : ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্ররা ১১ দফা দাবি পেশ করে।
সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক ১১ দফা কত সালে ঘোষণা করা হয়?
উত্তর : ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে।
সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম কমিটি (SAC) গঠিত হয় কখন?
উত্তর : ১৯৬৯ সালে ৫ জানুয়ারি সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম কমিটি (SAC) গঠিত হয়।
পাকিস্তানের শাসনতান্ত্রিক ইতিহাসে ১৯৬৯ সাল গণঅভ্যুত্থানের জন্য বিখ্যাত।
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের মূল কারণ কী ছিল?
উত্তর : আগরতলা মামলা দায়ের, নেতাদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং ছাত্রদের ওপর পুলিশি নির্যাতন।
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম লক্ষ্য কী ছিল?
উত্তর : জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করা।
২০. গণতান্ত্রিক সংগ্রাম কমিটি (DAC) কত দফা দাবি পেশ করে?
উত্তর : DAC ৮ দফা দাবি পেশ করে।
কত তারিখে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম কমিটি (DAC) ‘দাবি দিবস’ পালন করে?
উত্তর : ১৯৬৯ সালের ১৭ জানুয়ারি DAC ‘দাবি দিবস’ পালন করে।
কোন কোন ছাত্র সংগঠন নিয়ে ছাত্র সংগ্রাম কমিটি (SAC) গঠিত হয়?
উত্তর : পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন গ্রুপ), ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া গ্রুপ) এবং জাতীয় ছাত্র ফেডারেশনের এক অংশকে নিয়ে SAC গঠিত হয়।
ছাত্র সংগ্রাম কমিটির সভাপতি কে ছিলেন?
উত্তর : ডাকসুর তৎকালীন সহ-সভাপতি ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমদ।
গণতান্ত্রিক সংগ্রাম কমিটি (DAC) কখন গঠিত হয়?
উত্তর : ১৯৬৯ সালের ৮ জানুয়ারি গণতান্ত্রিক সংগ্রাম কমিটি (DAC) গঠিত হয়।
কয়টি রাজনৈতিক দল নিয়ে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম কমিটি (DAC) গঠিত হয়?
উত্তর : ৮টি রাজনৈতিক দল নিয়ে DAC গঠিত হয়।
DAC ও SAC এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর : DAC এর পূর্ণরূপ Democratic Action Committee এবং SAC এর পূর্ণরূপ Student Action Committee.
ছাত্রদের ১১ দফা কত সালে উত্থাপন করা হয়?
উত্তর : ছাত্রদের ঐতিহাসিক ১১ দফা ১৯৬৯ সালে উত্থাপন করা হয়।
ঐতিহাসিক ১১ দফার প্রথম দফাটি কী ছিল?
উত্তর : ছাত্রদের ঐত
িহাসিক ১১ দফার প্রথম দফাটি ছিল সচ্ছল কলেজসমূহকে প্রাদেশিকীকরণের নীতি পরিত্যাগ করা এবং জগন্নাথ কলেজসহ প্রাদেশিকীকরণকৃত কলেজসমূহকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া।
ছাত্রদের ঐতিহাসিক ১১ দফার তিনটি দফা উল্লেখ কর।
উত্তর : (১) সরকারি কলেজগুলোতে নৈশ বিভাগ প্রবর্তন করা; (২) ছাত্র বেতন শতকরা ৫০ ভাগ হ্রাস করা এবং (৩) হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করা।
শহিদ আসাদ কে ছিলেন?
উত্তর : একজন মার্কসবাদী ছাত্রনেতা ছিলেন। তিনি ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি পুলিশের গুলিতে শহিদ হন।
ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান কত তারিখে শহিদ হন?
উত্তর : ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান শহিদ হন।
DAC বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : DAC : Democratic Action Committee.
গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ছাত্ররা কত দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে?
উত্তর : ১১ দফা।
১৯৬৯ সালের কোন দিনটিকে ছাত্ররা মহা গণঅভ্যুত্থান দিবস ঘোষণা করে?
উত্তর : ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারিকে ছাত্ররা মহা গণঅভ্যুত্থান দিবস ঘোষণা করে।
উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে কারা নিহত হন?
উত্তর : উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে শহিদ শামসুজ্জোহা, শহিদ আসাদ নিহত হন।
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের দুজন শহিদের নাম লিখ।
উত্তর : ড. শহিদ আসাদ ও ড. শহিদ শামসুজ্জোহা।
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের একজনের নাম লিখ।
উত্তর : শহিদ আসাদ।
‘শহিদ আসাদ দিবস’ কবে পালিত হয়?
উত্তর : ‘শহিদ আসাদ দিবস’ ২০ জানুয়ারি পালিত হয়।
ছাত্রনেতা আসাদ কোন আন্দোলনে শহিদ হন?
উত্তর : ছাত্রনেতা আসাদ ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে শহিদ হন।
বর্তমান আসাদ গেইটের পূর্ব নাম কী ছিল?
উত্তর : আইয়ুব গেইট।
সার্জেন্ট জহুরুল হক কে ছিলেন?
উত্তর : সার্জেন্ট জহুরুল হক ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার ১৭নং সদস্য ছিলেন। যিনি ১৯৬৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি
সামরিক কারাগারে আটকাধীন অবস্থায় গুলিবদ্ধ হন।
ড. শামসুজ্জোহা শহিদ হন কবে?
উত্তর : ড. শামসুজ্জোহা ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শহিদ হন।
ড. শামসুজ্জোহা কে ছিলেন?
উত্তর : ড. শামসুজ্জোহা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জনপ্রিয় অধ্যাপক এবং প্রক্টর ছিলেন। যাকে পাকিস্তানি
সেনাবাহিনী ১৯৬৯ সালে হত্যা করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও প্রক্টর ডক্টর শামসুজ্জাহাকে কত তারিখে বর্বরোচিতভাবে হত্যা করা হয়?
উত্তর : ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে অধ্যাপক ও প্রক্টর ডক্টর শামসুজ্জোহাকে বর্বরোচিতভাবে হত্যা করা হয়।
আইয়ুব খান সরকার কখন ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করে নেন?
উত্তর : আইয়ুব খান সরকার ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করে নেন।
বঙ্গবন্ধুসহ সকল আসামিকে কখন গণসম্বর্ধনা দেওয়া হয়?
উত্তর : ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার আসামি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য আসামিদের ১৯৬৯ সালের ২৩
ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক গণসম্বর্ধনা দেওয়া হয়।
‘শেখ মুজিবুর রহমান’ কে কখন ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেওয়া হয়?
উত্তর : শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারিতে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি প্রদান করা হয়।
কত তারিখে আইয়ুব খান নির্বাচনে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন?
উত্তর : ১৯৬৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি।
কত তারিখে ছাত্র সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে শেখ মুজিবুর রহমানকে গণসংবর্ধনা প্রদান করা হয়?
উত্তর : ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।
কে শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেন?
উত্তর : তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ঢাকসু) এর সহ সভাপতি তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবকে
বঙ্গবন্ধু উপাধি দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আইয়ুব খানের মধ্যে গোলটেবিল বৈঠক কখন শুরু হয়?
উত্তর : ১৯৬৯ সালে ২৬ ফেব্রুয়ারি গোলটেবিল বৈঠক শুরু হয়।
পাকিস্তানের এক ইউনিট প্রথা বাতিল করেছিলেন কে?
উত্তর : ইয়াহি
য়া খান।
১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন কে?
উত্তর : আইয়ুব খান।
কবে ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান পদত্যাগ করেন?
উত্তর : ১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান পদত্যাগ করেন।
কোন গণঅভ্যুত্থানের কারণে আইয়ুব খানের পতন ঘটে?
উত্তর : উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ।
এদেশের মানুষ চাই না, মাটি চাই- এটি কার উক্তি?
উত্তর : উক্তিটি ইয়াহিয়া খানের।
ইয়াহিয়া খান কবে পাকিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণ করেন?
উত্তর : ইয়াহিয়া খান ২৫ মার্চ, ১৯৬৯ সালে পাকিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যক্ষ ফলাফল কী ছিল?
উত্তর : ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যক্ষ ফলাফল ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি ও আইয়ুব খানের পতন ।
খ-বিভাগ
প্রশ্ন॥১॥১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রক্ষাপট আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥২॥১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের কারণ আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥৩॥১১ দফা দাবিগুলো কী কী?
প্রশ্ন॥৪॥১১ দফা আন্দোলনের পটভূমি সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
প্রশ্ন॥৫॥১১ দফা দাবির গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর ।
প্ৰশ্ন॥৬॥৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী ছিল?
প্ৰশ্ন॥৭॥১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন পর্যায় আলোচনা কর।
প্ৰশ্ন৷॥৮॥১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের ফলাফল আলোচনা কর।
গ-বিভাগ
প্রশ্ন॥১॥১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট আলোচনা কর ।
প্রশ্ন॥২॥১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন পর্যায় তুলে ধর।
প্রশ্ন॥৩॥ছাত্রসমাজের ১১ দফা কর্মসূচির দফাগুলো আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥৪॥ছাত্রদের ১১ দফা আন্দোলন ও এর তাৎপর্য আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥৫॥১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের কারণ আলোচনা কর।
প্ৰশ্ন।৬।১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি ও ফলাফল আলোচনা কর।
প্রশ্ন।৭৷১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের কারণ ও তাৎপর্য পর্যালোচনা কর ।
প্রশ্ন॥৮॥ ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের ফলাফল আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥৯॥ উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ‘ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ এর গঠন ও কর্মসূচি আলোচনা কর।