অথবা, উচ্চশিক্ষা কী?
অথবা, উচ্চশিক্ষা কাকে বলে?
উত্তর৷ ভূমিকা : শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। তাছাড়া একটি দেশের জন্য শিক্ষা হলো জাতীয় উন্নতি ও অগ্রগতির মানদণ্ড। শিক্ষার মাধ্যমে একটি দেশের আর্থস’/মাজিক উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি তৈরিকরণ, মানবসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এমনকি বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হতে পারে। এছাড়া দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নয়নে একজন শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। শিক্ষার্থী শুধুমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমেই প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করতে পারে না। উচ্চশিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে সে নিজেকে সকলের ঊর্ধ্বে অবস্থান করাতে সক্ষম হয়। তাই বলা যায় একটি শিক্ষিত জাতি পারে মার্জিত কার্যবোধ ও সময়োপযোগী ব্যক্তিত্ব কাঠামো গঠন করতে। আর এর জন্য উচ্চশিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
উচ্চশিক্ষা (Higher education) : উচ্চশিক্ষা হলো বাংলাদেশে বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থার সর্বোচ্চ ধাপ বা স্তর। সাধারণত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরবর্তী এ স্তর বা ধাপ শুরু হয়। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর দেশের অভ্যন্তরীণ অথবা দেশের বাইরে অবস্থিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসমূহে বিভিন্ন ধরনের উচ্চ ডিগ্রি অর্জনের জন্য প্রবেশ করে। আর এ প্রবেশের পর একজন শিক্ষার্থীর চিন্তাচেতনায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, গবেষণাধর্মী হওয়া এবং বাস্তববাদিতায় সে আরও পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। এমনকি দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রেও তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। সবদিক মিলিয়ে সুস্থ, স্বাভাবিক, সুখী ও আত্মমর্যাদা সম্পন্ন জাতি গঠনে উচ্চশিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, উচ্চশিক্ষা বলতে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের শিক্ষাস্তরকে বুঝানো হয় এবং এ স্তরকে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয় স্তর। এখানে একজন শিক্ষার্থী একটি বিষয়ের উপর বিশেষ শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে।