[ad_1]
✍️বাংলাদেশে মৎস্য আইন সংশোধন ও প্রণীত নতুন আইন কী ?
উত্তর : মৎস্য আইন সংশোধন ও নতুন আইন প্রণয়ন : মৎস্য অধিদপ্তর ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতায় মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে পোনা মাছ ও জাটকা রক্ষা কারেন্ট জালের অর্ধেক ব্যবহার রোধ ডিমওয়ালা মাছ ধরা রোধ ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে , মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের জাল যার জাল তার নীতির বাস্তবায়নের নিমিত্তে সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়েছে ।
এছাড়া মৎস্য উপখাতের উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা , পরিবেশ সংরক্ষণ মানসম্মত মৎস্য ও মৎস্যখাদ্য উৎপাদন রপ্তানি বৃদ্ধি ইত্যাদি উদ্যোগ সামনে নিয়ে মৎস্য খাদ্য আইন ২০১০ মৎস্য ও চিংড়ি হ্যাচারি আইন ২০১০ ইতোমধ্যেই প্রণীত হয়েছে । জাটকার আকার পুনঃনির্ধারণ করে মৎস্য সংরক্ষণ আইন সংশোধন এবং মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য বিধিমালা ১৯৯৭ সংশোধন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে । এছাড়া জাতীয় চিংড়ি নীতিমালা প্রণয়নের কাজও চলছে ।
✍️প্রশাচ বাংলাদেশে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের প্রধান প্রধান কলাকৌশলগুলো কী কী ?
উত্তর : উৎপাদনের ক্ষেত্রে বর্তমানের ধারাকে নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়ে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার দার উদ্ঘাটন করতে হবে । চাষাবাদ পদ্ধতিতে জেনেটিক পুনর্বিন্যাসে পূর্বে অপ্রচলিত ও নতুন প্রযুক্তিগত পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে । রোগ এবং ফসলের ক্ষতিকারক পোকা ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ ধ্বংস করা । মৎস্য চাষ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা ।
★ ★★ বৃষ্টি নির্ভর কৃষির ক্ষেত্রে অধিক জমিকে আবাদের উপযোগী করে তোলা । * সেচ ব্যবস্থাধীন ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটে পানি সরবরাহের প্রবৃদ্ধি আনয়ন করতে হবে ।
✍️সরকার কর্তৃক কৃষি খাতে বাজেটের উপর একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও ।
উত্তর : কৃষি খাতে বাজেট : দেশের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি , দারিদ্র্য নিরসন ও জনগণের খাদ্য নিরাপত্তার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ২০১০-১১ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে সংশোধিত বাজেটে মোট ৭৭৪৫.৪৬ কোটি টাকা ( অনুন্নয়ন খাতে ৬৬৯৭.১১ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ১০৪৮ ৩৫ কোটি টাকা ) বরাদ্দ রাখা হয় । দেশজ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কৃষকদের সহায়তা প্রদানের জন্য সার ও অন্যান্য কৃষি কার্যক্রমের ভর্তুকি বাবদ ৫০০০,০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে । ২০১০-১১ ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থ হতে ১৫ মে , ২০১১ পর্যন্ত ৪৮৯৩.৫১ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে । তাছাড়া কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা বাবদ থেকে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫৫.০০ কোটি টাকা । কৃষির উন্নয়নের জন্য সরকার স্বাভাবিক বরাদ্দের অতিরিক্ত হিসাবে কৃষিজাত সামগ্রী রপ্তানির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ নগদ সহায়তা এবং কৃষিতে বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ রিবেট এর সুবিধা রেখেছে , ডাল , তৈলবীজ এবং মসলার উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষি ঋণের সুদের হার ৮ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ২ শতাংশ করা হয়েছে ।
✍️বার্ষিক উন্নয়ন কমসূচি ( ADP ) – এর একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও ।
উত্তর : বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ( এ ডি পি ) : চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন উন্নয়ন কর্মসূচিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ফসল ও সেচ উপখাতে সর্বমোট ৬৪ টি উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত আছে । তন্মধ্যে জেডিসিএফভুক্ত ৮ টি সহ বিনিয়োগ প্রকল্প মোট ৬১ টি এবং কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ৩ টি । উক্ত উন্নয়ন প্রকল্পের অনুকূলে সর্বমোট ১০৪৮.০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে । তন্মধ্যে স্থানীয় সম্পদের পরিমান ৯১৬.০০ কোটি – টাকা ( মোটের ৮৭.৪০ শতাংশ ) এবং প্রকল্প সাহায্য ১৩২.০০ কোটি টাকা ( মোটের ১২.৬০ শতাংশ ) । বর্তমানে অর্থবছরের মার্চ , ২০১১ পর্যন্ত এসব প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে মোট ৫৩৬.২৭ কোটি টাকা , যা মোট বরাদ্দের ৫১ শতাংশ ।
উল্লেখ্য , ২০০৯-১০ অর্থ বছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত মোট ৭৬ টি ( কম্পোনেন্টসহ ) প্রকল্পের অনুকূলে মোট ৯৬৭.৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছিল । রাজস্ব বাজেটের আওতায় উন্নয়ন কর্মসূচি চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য অনুন্নত বাজেটের আওতায় ৯৬ টি কর্মসূচির জন্য মোট ৩০০.৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে । বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে মার্চ , ২০১১ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৮৪.১৯ কোটি টাকা , যা বরাদ্দকৃত অর্থের ৩৯ শতাংশ , উল্লেখ্য , ২০০৯-১০ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটের অর্থায়নে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মোট ৬৬ টি কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয় । উক্ত ৬৬ টি কর্মসূচির জন্য ২০০৯-১০ অর্থবছরে সংশোধিত রাজস্ব ৰাজেটে মোট ৩২৩.২১ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছিল ।
✍️ বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক কৃষি খাতে কৃষি ঋণ ব্যবস্থার উপর একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও ।
উত্তর : বাংলাদেশের কৃষি ভরণপোষণ পর্যায়ে পরিচালিত হচ্ছে বিধায় প্রয়োজনীয় উপকরণ হিসাবে কৃষি ঋণ একটি ভিন্ন মাত্রার গুরুত্ব বহন করে । দেশের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার তথা সার্বিক আর্থ – সামাজিক উন্নয়নে কৃষি পাত এবং পল্লি অঞ্চলের ভূমিকা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে কৃষি ও পল্লি ঋণ – এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ । এ প্রেক্ষিতে ব্যাংক ও অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে । প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষি ঋণ কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে সম্প্রতি বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকসহ বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংককে কৃষি ঋণ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি কৃষি ঋণ বিতরণ সহজতর করে ২০০৯-১০ ও ২০১০-১১ অর্থবছরে বর্ধিত কলেবরে কৃষি / পল্লি ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে । ২০০৯-১০ অর্থ বছরে ১১৫১২.৩০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রায় বিপরীতে ১১১১.৬৮৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছিল ।
২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক , রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক , চারটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক , বিআরডিবি , বাংলাদেশে সমবায় ব্যাংক লিঃ এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের মাধ্যমে মোট ১২৬১৭.৪০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় । যার মধ্যে চলতি অর্থবছরে মার্চ , ২০১১ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৯১৫৪.৭০ কোটি টাকা যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় শতকরা ৭২.৫৬ শতাংশ ।
✍️ কৃষির উপখাতসমূহ কী কী ?
উত্তর : বাংলাদেশে কৃষিখাতের উপখাত চারটি । যথা :
১. শস্য উপখাত ,
২. বনজ সম্পদ খাত ;
৩. পশু সম্পদ উপখাত এবং
৪. মৎস্য সম্পদ উপখাত ।
১. শস্য উপখাত : কৃষিতে বিভিন্ন প্রকার শস্য উৎপাদনের খাতকে কৃষির শস্য উপখাত বলা হয় । এটাই কৃষির বৃহত্তম উপখাত । ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে জি.ডি.পি.তে কৃষিখাতের মোট অবদান ছিল ২০.২৯ % । তন্মধ্যে শস্য উপখাতের অবদান ছিল ১১.৪২ % । অর্থাৎ কৃষিখাতের প্রায় অর্ধেক শস্য উপখাতে উৎপাদিত হয় ।
২. বনজ সম্পদ উপখাত : বাংলাদেশে বনজ সম্পদকে কৃষির একটি উপখাত বিবেচনা করা হয় । ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে জি.ডি.পি.তে বনজ সম্পদ উপখাতের অবদান ছিল ১.৭৩ % । অর্থাৎ কৃষিখাতের মোট উৎপাদনের ৮.৫২ % উৎপাদিত হয় বনজ সম্পদ উপখাতে ।
৩. পশু সম্পদ উপখাত : গবাদি পশু , হাঁস – মুরগি ইত্যাদিকে কৃষির একটি উপখাত বিবেচনা করা হয় । ২০০৯ ২০১০ অর্থবছরে জি.ডি.পি.তে পশু সম্পদ উপখাতের অবদান ছিল ২.৬৫ % । অর্থাৎ কৃষিখাতের মোট উৎপাদনের ১৩.০৬ % উৎপাদিত হয় পশু সম্পদ উপখাতে ।
৪. মৎস্য সম্পদ উপখাত : বাংলাদেশে মৎস্য উৎপাদন খাতকে কৃষিখাতের একটি উপখাত বিবেচনা করা হয় । ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে জি.ডি.পি.তে মৎস্য সম্পদ উপখাতের অবদান ছিল ৪.৪৯ % । অর্থাৎ কৃষিখাতে মোট উৎপাদনের ২২.১২ % উৎপাদিত হয় উপখাতে ( সারণি ) সারণি : খাত ২০০৮-০৯ উৎপাত ২০০৯-১০ ২০০০-০৬ ১. কৃষি ও বনজ ক . শস্য ও শাক সবজি ১২.২৮ ১১.৪৩ ১১.৪২ খ . প্রাণী সম্পদ ২.৯২ 2.73 গ . বনজ সম্পদ ১.৭৯ ১.৭৫ ১.৭৩
[উৎস : অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১১]
✍️ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহের উপর একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লিখ ।
উত্তর : অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ : গত ২০০৯-১০ অর্থবছরে সরকারিভাবে মোট খাদ্যশস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল ১৫.৫০ লক্ষ মেট্রিক টন ( চাল ১৫ লক্ষ মেট্রিক টন এবং গম ০.৫০ লক্ষ মেট্রিক টন । ) লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাল ও গম সংগৃহীত হয়েছিল যথাক্রমে ৭.৫৭ এবং ০.৪৮ লক্ষ মেট্রিক টন । চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরে বাজেটে অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১৬ লক্ষ মেট্রিক টন ( চাল ১৫ লক্ষ ) মেট্রিক টন এবং গম ১ লক্ষ মেট্রিক টন ) । জুলাই ২০১০ থেকে অক্টোবর ২০১০ সাল পর্যন্ত বোরো ফসল থেকে ২.৯৫ লক্ষ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে । খাদ্য পরিকল্পনা ও মনিটরিং কমিটির সভার সিদ্ধান্তানুসারে সরকার আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণভাবে ধান / চাল সংগ্রহ না করার সিদ্ধান্ত নেয় । ফলে , অভ্যন্তরীণভাবে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চলতি অর্থবছরে সংগৃহীত ২.৯৫ লক্ষ মেট্রিক টন ছাড়াও আরো ৬ লক্ষ মেট্রিক টন আসন্ন বরো ফসল থেকে সংগ্রহণ করা হবে এবং লক্ষ্যমাত্রার বাকি ৬.০৫ লক্ষ মেট্রিক টন আমদানির মাধ্যমে পূরণ করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে ।
✍️ সরকারি খাতে কৃষি ক্ষেত্রে খাদ্যশস্য আমদানি এবং বিতরণের উপর একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও ।
উত্তর : সরকারি খাতে খাদ্যশস্য আমদানি ২০১০-১১ অর্থবছরে নিজস্ব সম্পদে ১২.৮৬ লক্ষ মেট্রিক টন চাল ও ৯.১২ লক্ষ মেট্রিক টন গম আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০.৫৫ লক্ষ মেট্রিক টন চাল ৫.৩১ লক্ষ মেট্রিক টন । সরকারি আমদানি ৫.২৮ লক্ষ মেট্রিক টন ও খাদ্য সাহায্য ০.০৩ লক্ষ মেট্রিক টন ) গম ৫.২৪ লক্ষ মেট্রিক টন সরকারি আমদানি ৩.৭৮ লক্ষ মেট্রিক টন ও খাদ্য সাহায্য ১.৪৬ লক্ষ মেট্রিক টন ) ২০০৯-১০ অর্থবছরে সরকারি খাতে আমদানির পরিমাণ ছিল মোট ৫.৫৬ লক্ষ মেট্রিক টন ( চাল ০.৫৫ লক্ষ মেট্রিক টন এবং গম ৫.০১ লক্ষ মেট্রিক টন ) ।
সরকারি খাদ্যশস্য বিতরণ : সরকার পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম ( পিএফডিএস ) বিভিন্ন নির্ধারিত আয়ের সরকারি কর্মচারী ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকে । এর আওতায় আর্থিক খাতে ( ওএমএস , ফেয়ার প্রাইজ কার্ড , ৪ র্থ শ্রেণী কর্মচারী , মুক্তিযোদ্ধা , গার্মেন্টস শ্রমিক ও অন্যান্য ) এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বা অনার্থিক খাতে ( কাজের বিনিময়ে খাদ্য ( কাবিক্ষা ) , টিআর , ভিজিএফ , ভিজিডি , জিআর ও অন্যান্য ) খাদ্যশস্য বিতরণের সংস্থান রাখা হয় । চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরে বাজেটে সরকারিভাবে ২৭.২৯ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিতরণের সংস্থান রাখা হয়েছে । তন্মধ্যে ৫.৫০ লক্ষ মেট্রিক টন ( চাল ৫.০০ লক্ষ মেট্রিক টন এবং গম ০.৫০ লক্ষ মেট্রিক টন ) খাদ্যশস্য ও এমএস / নায্য মূল্য কার্ড / পোশাক শিল্প ইত্যাদি মূল্য নিয়ন্ত্রণমূলক খাতে বিতরণের জন্য নির্ধারিত আছে । চলতি অর্থবছরে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আর্থিক খাতে মোট ৫.৩৭ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়েছে এবং অনার্থিক খাতে ২.৯৬ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়েছে । মোট বিতরণের পরিমাণ ৮.৩৩ লক্ষ মেট্রিক টন ।
✍️খাদ্যশস্য ও অর্থকরী ফসলের মধ্যে পার্থক্য কী ?
উত্তর : খাদ্যশস্য এবং অর্থকরী ফসলের মধ্যে পার্থক্য : বাংলাদেশে উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিজাত শস্যকে প্রধানত দু ভাগে ভাগ করা যায় । যথা : খাদ্য শস্য : কৃষি থেকে উৎপাদিত শস্যের মধ্যে যেসব শস্য মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয় সেসব শস্যকে খাদ্যশস্য বলা হয় । এসব শস্য বাজারে বিক্রি করে এবং এ খাদ্যশস্য সাধারণত অভ্যন্তরীণ ভোগের চাহিদা মিটাতে ব্যবহার করা হয় এবং এগুলো বিদেশে রপ্তানি করা হয় না । অবশ্য রপ্তানি করার উদ্দেশ্য আমাদের দেশে খাদ্য শস্য উৎপাদন করা হয় না । অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পর যদি কিছু উদ্বৃত্ত থাকে তাহলে তা বিদেশে রপ্তানি করা হয় ।
তবে এক্ষেত্রে অর্থের বাসনা বেশি একটা কাজ করে না । বাংলাদেশে উৎপাদিত খাদ্যশস্যেগুলোর মধ্যে চাল , গম , ডাল , ভূট্টা , আলু , তৈলবীজ , ময়দা ও ফলমূল ইত্যাদি প্রধান । অর্থকরী ফসল : যেসব শস্য সাধারণত মুনাফা অর্জনের পক্ষে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন করা হয় সেগুলোকে অর্থকরী ফসল বলা হয় । এসব শস্য বাজারে বিক্রি করে উৎপাদনকারিগণ অর্থ উপার্জন করে । তাছাড়া এসব শস্য বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হয় । এসব শস্যকে বাণিজ্যিক ফসলও বলা হয় । বাংলাদেশে পাট , চা , ইক্ষু , তামাক , রেশম , রবার প্রভৃতি প্রধান অর্থকরী ফসল ।
উল্লেখ্য যে , কোন কোন ফসল ব্যবহারের তারতম্য অনুযায়ী খাদ্যশস্য বা অর্থকরী ফসল হিসেবে গণ্য হতে পারে । যেমন- ইক্ষু , চা ইত্যাদি ।
[ad_2]