[ad_1]
✍️ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ( WTO ) বাণিজ্য ব্যবস্থায় প্রাপ্ত ১০ টি সুবিধা কী কী ?
উত্তর : বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বাণিজ্য ব্যবস্থায় প্রাপ্ত ১০ টি সুবিধাসমূহ হলো :
১. বাণিজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা ।
২. কার্যকরভাবে সমস্যার সমাধান ।
৩. নীতিমালা সবার জীবনকে সহজতর করে তুলেছে ।
৪. উন্মুক্ত বাণিজ্য জীবনধারণের ব্যয় হ্রাস করেছে ।
৫. এ বাণিজ্য ব্যবস্থা পণ্য ও পণ্যের গুণাবলি সম্পর্কে অধিকতর বেশি পছন্দের সুবিধা ও সুযোগ প্রদান করেছে ।
৬. বাণিজ্যের আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
৭. এ বাণিজ্য ব্যবস্থা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করছে ।
৮. মৌলিক নীতিমালা জীবনের দক্ষতা বৃদ্ধি করেছে ।
৯. রাষ্ট্রপ্রধানরা অন্য রাষ্ট্রের তোষামদি থেকে নিজেদের আত্মরক্ষা করতে পারছে ও
১০. এ বাণিজ্য ব্যবস্থা একটি উত্তম রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা তৈরিতে উৎসাহ প্রদান করছে ।
✍️ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ( WTO ) চুক্তির মূল বিষয়সমূহ কী কী ?
উত্তর : বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার চুক্তির মূল বিষয়সমূহ নিম্নরূপ :
১. WTO হিসাবে চুক্তির রূপান্তর ।
৩. কৃষির উন্নয়ন ।
২. ১৯৪৭ – ৯৪ পর্যন্ত GATT হিসেবে পরিচিতি ।
৪. স্যানেটারি সুবিধা ।
৫. বস্ত্র ও পোষাক ।
৭. বাণিজ্য সংক্রান্ত পুঁজি বিনিয়োগ ।
৯. শুল্ক মূল্যায়ন ।
৬. বাণিজ্য কৌশলগত বাধা দূরীকরণ ।
৮. এন্টিডাম্পিং ( Antidumping ) ।
১০. প্রাক জাহাজীকরণ পরীক্ষা ।
১২. সাবসিডি ও তৎসংক্রান্ত বিষয়াদি ।
১৪. পরিসেবা ।
১১. আমদানি লাইসেন্স প্রক্রিয়া ।
১৩. নিরাপত্তা ।
১৫. বাণিজ্য সম্পর্কিত মেধা স্বত্ত্ব ।
১৬. বিতর্ক অবসান ।
১৮. বেসামরিক বিমান ব্যবসা ।
১৭. বাণিজ্য নীতি পর্যালোচনা ।
১৯. সরকারি ব্যবস্থাদি ।
✍️ ও.আই.সিতে বাংলাদেশের ভূমিকা সম্পর্কে লিখ ।
উত্তর ৷ ও . আই . সিতে বাংলাদেশ নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে :
১. মুসলিম বিশ্বের সংহতি রক্ষা করা ।
২. মুসলিম বিশ্বের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যবোধ সমুন্নত রাখা ।
৩. অভিন্ন সংস্কৃত চর্চায় সহযোগিতা করা ।
৪. পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করা ।
৫. অমুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক বৃদ্ধি করা ।
৬. পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থার সাথে মুসলিম বিশ্বের তাল মিলিতে চলা ।
৭. ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের মুসলিমদের স্বাধিকার আদায়ে উদ্বুদ্ধ করা ।
৮. মুসলিম দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা ।
৯. আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকা । পরিশেষে বলা যায় যে , ও.আই.সিতে বাংলাদেশও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ।
✍️ সাপটা ও সাফটার মধ্যে পার্থক্য কী ?
উত্তর- ভুমিকা : সাপটা ( SAPTA ) ও সাফটা ( SAFTA ) একই রকম মনে হলেও এদের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান । সাপটা ও সাফটার মধ্যে পার্থক্য : নিম্নে পার্থক্যগুলো দেয়া হলো :
১. সাপটা ( SAPTA ) এর ইংরেজি কথার পূর্ণরূপ হলো ” South Asian Preferential Trading Arrangement . ” অপরদিকে , সাফটা ( SAFTA ) এর ইংরেজি কথার পূর্ণরূপ হলো , ” South Asian Free Trade Area . “
২. সাপটা ( SAPTA ) এর বাংলা অর্থ হলো , ” দক্ষিণ এশীয় অধিকতর বাছাই করা বাণিজ্য বোঝাপড়া । পক্ষান্তরে , সাফটা ( SAFTA ) এর বাংলা অর্থ হলো ” দক্ষিণ এশীয় অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল ।
৩. সাপটার ( SAPTA ) সাফল্য ” সাফটা ( SAFTA ) সম্পর্কে বাস্তবায়িত করবে ।
৪. সাপটায় ( SAPTA ) আংশিকভাবে বাণিজ্য শুল্ককে রেহাই দেবার কথা বলা হয়েছে । পক্ষান্তরে , সাফটা ( SAFTA ) তে বাণিজ্য পণ্য পুরোপুরিভাবে শুল্ক ছাড়ের আওতায় আনা হয়েছে ।
৫. সাপটাতে বর্তমানে ২২৪ টি পণ্যদ্রব্যের ক্ষেত্রেই সুবিধাজনক শর্তের ভিত্তিতে ১০ % শুল্ক ছাড়ের কথা বলা হয়েছে । অপরদিকে , সাফটাতে সামগ্রিক শুল্কের ছাড় সমস্ত বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে । উপসংহার : সবশেষে বলা যায় যে , সাপটা চুক্তির প্রসার ঘটলে সাফটার উন্নয়ন ঘটবে । সাপটার উন্নয়নের উপর নির্ভর করে সাফটার উন্নয়ন । যেমন- সার্কের ৮ টি দেশের মধ্যে অভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠবে । এ ব্যবস্থা কার্যকর হলে ৮ দেশেই আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান হবে । এতে সাপটা ও সাফটার উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে । প্রশা ২৫৭ মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ সংরক্ষণে ও.আই.সি কী কী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করে ? উত্তর : মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ও.আই.সি. গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে ।
মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ সংরক্ষণে ও.আই.সি পদক্ষেপ : মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ সংরক্ষণে ও.আই.সি এর পদক্ষেপ নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১. জাতিসংঘে ভূমিকা : জাতিসংঘে ও.আই.সিকে একত্রে জোড়ালোভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে । প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্র যেন একই দৃষ্টিভঙ্গিতে তাদের দায়িত্ব পালন করে ।
২. নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ : ও . আই . সিকে চেষ্টা করতে হবে এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্য থেকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদ লাভ করার ।
৩. একতাবদ্ধ : মুসলিম দেশসমূহে যে কোন বহিঃশত্রুর আক্রমণের বিরুদ্ধে একযোগে সোচ্চার হয়ে ও.আই.সি সদস্যভুক্ত দেশসমূহকে কাজ করতে হবে ।
৪. আজ্ঞবাণিজ্য ব্যবস্থা : ইসলামিক অর্থনৈতিক বাজার ব্যবস্থা ও.আই.সিভুক্ত সদস্যসমূহের মাঝে চালু করতে হবে । এতে একপ্রকার আন্তঃবাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে উঠবে ।
৫. আরবলীগের সাথে সম্পর্ক : মুসলিম বিশ্বের অপর একটি শক্তিশালী সংগঠন আরবলীগের সাথে ও আই.সি একত্রে কাজ করে যেতে হবে । কারণ মৌলিক উদ্দেশ্য উভয়েরই এক ।
৬. অবাধ তথ্য প্রবাহ : মুসলিম বিশ্বের উন্নয়নের ও সমৃদ্ধির জন্য আগামী শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য ও.আই.সিভুক্ত দেশগুলোর আর্থসামাজিক , রাজনৈতিক ও সামাজিক তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে অভিন্ন নীতি , কর্মসূচি ও অবস্থান গ্রহণ করতে হবে ।
৭. নিরাপত্তা জোট গঠন : মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য নিরাপত্তা জোট গঠন করা একান্ত প্রয়োজন ।
৮. অমুসলিম দেশের সাথে সম্পর্ক : অমুসলিম দেশসমূহের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা দরকার ।
১0. শিক্ষা ও প্রযুক্তি : ও . আই . সি এর উন্নয়নের জন্য শিক্ষা ও প্রযুক্তির প্রসার ঘটানো প্রয়োজন ।
উপসংহার : সুতরাং মুসলিম বিশ্বের স্বার্থে সংরক্ষণে OIC -র ভূমিকা অনস্বীকার্য ।
[ad_2]