✍️ সাফটা চুক্তি কী ?

[ad_1]

✍️ সাফটা চুক্তি কী ?

উত্তর : সাফটার পূর্ণরূপ হলো- South Asian Free Trade Area সাফটা সার্কভুক্ত ৮ টি দেশের মধ্যে সম্পাদিত এমন একটি চুক্তি , যার মাধ্যমে এ ৮ টি দেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একে অপরের জন্য মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলে পরিণত হবে । অর্থাৎ স্বাক্ষরকারী ৮ টি দেশের একটি দেশের পণ্য কোনরকম শুল্কজনিত বা অন্য কোন বাধা ছাড়াই আরেকটি দেশে প্রবেশ করতে পারবে । অবশ্য পুরোপুরি শুল্ক মুক্ত প্রবেশ নিশ্চিত করতে আরো কিছু সময় লাগবে । কারণ চুক্তি অনুযায়ী প্রকৃত যুক্ত বাজার অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বেশ কয়েকটি পর্যায় অতিক্রম করতে হবে । South Asian Free Trade Area ( SAFTA ) বা সাফটাকে পূর্ববর্তী চুক্তি South Asian Preferential Trading Arrangement বা সাপটা চুক্তির চূড়ান্ত পরিণতি বলা চলে । যদিও সাপটা চুক্তি কখনো তেমন কার্যকর ছিল না , তথাপি সাফটা চুক্তি স্বাক্ষরের পিছনে সাপটার ভূমিকা যে গুরুত্বপূর্ণ তা নিঃসন্দেহে বলা যায় ।

✍️ বাংলাদেশের বর্তমান আমদানিনীতির উদ্দেশ্যসমূহ কী কী ?

উত্তর : বাংলাদেশের বর্তমান আমদানিনীতির গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যসমূহ হলো :

১. ডব্লিউটিও এর আওতায় বিশ্বায়ন ও মুক্ত বাজার অর্থনীতির ক্রমবিকাশের ধারায় যে পরিবর্তন সূচিত হয়েছে তার আলোকে আমদানিনীতিকে আরো সহজ করা ।

২. পণ্যের আমদানির উপর ক্রমান্বয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে শিল্পের উপাদান অধিকতর সহজলভ্য করা এবং প্রতিযোগিতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি ।

৩. আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারকল্পে অবাধ প্রযুক্তি আমদানির সুবিধা প্রদান ।

৪. রপ্তানি সহায়ক শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে সহজভিত্তিক আমদানির সুবিধা প্রদান করে দেশীয় রপ্তানিকে মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড় করানো ।

৫. গুণগত মান ও স্বাস্থ্যসম্মত পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা ।

৬. জনস্বার্থে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে আপদকালীন পণ্য আমদানি সংস্থান । বর্তমানে সমগ্র ট্যারিফ কাঠামো একটি সুসমন্বিত রূপ লাভ করেছে ।

✍️ বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের আমদানি ও রপ্তানিনীতির উদ্দেশ্যসমূহ বর্ণনা কর ।

উত্তর : বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট মোকাবিলায় সরকার ২০০৯-১২ মেয়াদে নতুন রপ্তানি ও আমদানিনীতি প্রণয়ন করে । যার ফলে মন্দার নেতিবাচক প্রভাব সহনীয় পর্যায়ে থাকে এবং মন্দা পরবর্তী বিশ্ব বাণিজ্যর গতি বৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যও উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয় । বর্তমান রপ্তানিনীতির গুরুত্বপূর্ণ ও উদ্দেশ্যসমূহ হলো :

১. বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ও বিশ্বায়নের প্রয়োজনের সাথে সংগতি রেখে রপ্তানি ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী ও উদারীকরণ করা ।

২. শ্রম নির্ভর রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে উৎসাহিতকরণ ।

৩. রপ্তানি পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল সহজলভ্য করা ।

৪. উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও পণ্যের বহুমুখীকরণ ।

৫. রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের জন্য নতুন কৌশল অবলম্বন , কম্পিউটার প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার , ই – কমার্সসহ সকল আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করা ।

৬. পণ্যের মান উন্নয়ন উন্নত লাগসই ও পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহারে উৎসাহিতকরণ উচ্চমূল্যের পণ্য উৎপাদন ও ডিজাইনের উৎকর্ষ সাধন ।

৭. নতুন নতুন রপ্তানিকারক সৃষ্টি ও বর্তমান রপ্তানিকারকদেরকে সর্বতোভাবে সহায়তা প্রদান করা ।

✍️ বাংলাদেশের রপ্তানিনীতি আলোচনা কর ।

উত্তর ৷ বাংলাদেশের রপ্তানিনীতি : মুক্ত বাজার অর্থনীতির ক্রমবিকাশের ফলে একদিকে যেমন আমদানি পরিবর্তক শিল্পগুলো প্রবল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হয়ে পড়ছে । অন্যদিকে , আমাদের রপ্তানি শিল্পগুলোকেও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে স্থান করে নিতে হচ্ছে । এ অবস্থার মোকাবিলায় সরকার নিম্নোক্ত রপ্তানিনীতি গ্রহণ করেছে ।

রপ্তানিনীতি :

১. বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ও বিশ্বায়নের প্রয়োজনের সাথে সঙ্গতি রেখে রপ্তানি ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী ও উদারীকরণ করা ।

২. শ্রম ( বিশেষ করে মহিলা শ্রম ) নির্ভর রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে উৎসাহিতকরণ ।

৩. রপ্তানি পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল সহজলভ্য করা ।

৪. উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও পণ্যের বহুমুখীকরণ ।

৫. নতুন নতুন রপ্তানিকারক সৃষ্টি ও বর্তমান রপ্তানিকারকদের সর্বতোভাবে সহায়তা প্রদান করা ।

৬. রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের জন্য নতুন কৌশল অবলম্বন , কম্পিউটার প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার , ই – কমার্সসহ সকল আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করা ।

রপ্তানি উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ : রপ্তানি উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপসমূহ নিম্নরূপ :

১. বিশ্বব্যাপী চলমান অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রণোদনা প্যাকেজ ১ ও প্রণোদনা প্যাকেজ ২ ঘোষণা করেছে ।

২. রপ্তানিপণ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার পণ্য বহুমুখীকরণের নিমিত্ত ৮ টি পণ্যকে ‘ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাত ‘ এবং ১২ টি পণ্যকে ‘ বিশেষ উন্নয়নখাত ‘ ঘোষণাপূর্বক এসব খাতের উন্নয়নে নানাবিধ সহায়তা দিয়ে আসছে ।

৩. রপ্তানিকারকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নগদ সহায়তার ভিত্তি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ।

৪. রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং রপ্তানি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থা যথা শুল্ক , বন্দর ও পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর আধুনিকায়নসহ তাদের দক্ষতা ও কার্যতৎপরতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে ।

✍️ ট্যারিফ হ্রাসকরণ কী ?

উত্তর : দেশীয় শিল্পের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী আমদানি শুল্ক হ্রাসের প্রক্রিয়ার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের আমদানি শুল্ক হার হ্রাস করার যে প্রক্রিয়া ১৯৯১-৯৩ অর্থবছর শুরু করা হয়েছিল তা ২০১১-১২ সালে অব্যাহত রাখা হয়েছে । আমদানি শুল্কের অপরিবর্তিত গড় ১৯৯১-৯২ অর্থবছরের ৫৭.২২ শতাংশ হতে ২০১১-১২ অর্থবছরে ১৪.৮৫ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে । বর্তমানে ৯৯.৫৩ শতাংশ ট্যারিফ লাইনের উপরে মূল্যভিত্তিক শুল্ক আরোপ করা হয় । ২৪ টি ট্যারিফ লাইনের বিপরীতে কিছুসংখ্যক পণ্য যেমন- চিনি , সিমেন্ট , বিটুমিন , সোনা , স্টিল প্রডাক্ট এবং পুরাতন জাহাজের উপরে বিভিন্ন হারে স্পেসিফিক শুল্ক বলবৎ রয়েছে ।

✍️ সেইফগার্ড শুল্ক বিধিমালা ২০১০ কী ?

উত্তর : বাজার অর্থনীতির ফলে সৃষ্ট প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেশীয় উৎপাদনকারীদের রক্ষা করার জন্য বাণিজ্য প্রতিবিধান আইন ব্যবহার করা হয় । যদি বাংলাদেশে কোন আমদানিকৃত পণ্যের পরিমাণ এত বেশি হয় যে তা কোন দেশীয় শিল্পকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে বা আশঙ্কা সৃষ্টি করে , তবে বাংলাদেশ শুল্ক আইন , ১৯৬৯ এর ধারা ক্ষমতাবলে প্রণীত সেইফগার্ড আইনের আওতায় সরকার উক্ত পণ্যের আমদানি সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে উক্ত দেশীয় শিল্পকে রক্ষা করার ব্যবস্থা করতে পারবে । শুল্ক আইন ১৯৬৯ আওতায় সেইফগার্ড শুল্ক বিধিমালা ২০১০ শিরোনামে একটি বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে । উক্ত বিধিমালার বিধি অনুযায়ী পণ্যের সেইফগার্ড সম্পর্কিত কোন আবেদনের বিষয়ে তদন্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা এবং রিপোর্ট প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানকে বাংলাদেশের সেইফগার্ড কর্তৃক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ।

✍️ এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এপ্রিমেন্ট ( APTA ) কী ?

উত্তর : এসকাজভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক শুল্ক সুবিধা বিনিময়ের মাধ্যমে আন্তঃআঞ্চলিক ব সম্প্রসারণই এ চুক্তির মূল উদ্দেশ্য । এর সদস্য দেশসমূহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পণ্যের উপর শুল্ক সুবিধা বিনিময় করেছে । ২০০৫ সালে নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত আপটার প্রথম মিনিস্টেরিয়্যাল মিটিং এ চুক্তিটি একটি নতুন চুক্তিরূপে স্বাক্ষরিত হয় । ২০০৭ সালে অক্টোবর মাসের ২৬ তারিখে ভারতের গোয়াতে দ্বিতীয় মিনিস্টেরিয়্যাল মিটিং অনুষ্ঠিত হয় । এ সভার সিদ্ধান্ত ক্রমে আপটা সদস্য দেশসমূহের ৪ র্থ দফা নেগোসিয়েশন শুরু করা হয় । এ নেগোসিয়েশন তঙ্ক সুবিধা গভীরতার ও কিছু ততর করার সাথে সাথে অন্যান্য বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং ২০০৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় মিনিস্টেরিয়্যাল কাউন্সিলের সভায় Framework Agreement on Trade Facilitation এবং Framework Agreement on Investment স্বাক্ষরিত হয় এবং ২০১১ সালে শেষ সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

✍️ উন্নয়নশীল আটটি দেশের মধ্যে অগ্রাধিকারভিত্তিক বাণিজ্য চুক্তি ( ডি -৮ ) কী ?

উত্তর : বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে জোট গঠিত ওআইসিভুক্ত আটটি উন্নয়নশীল দেশ এর অগ্রাধিকারভিত্তিক বাণিজ্য চুক্তির আওতায় শুল্ক হ্রাস প্রক্রিয়া নিম্নরূপ :

১. যেসব পণ্যের ট্যারিফ রেট ১০ শতাংশের উর্ধ্বে আছে সে সব পণ্যের ৮ শতাংশ পণ্য শুল্ক হ্রাস প্রক্রিয়ার আওতায় আসবে ।

২. সদস্যদেশসমূহ নিম্নলিখিত প্রক্রিয়ায় শুল্ক কমিয়ে আনা হবে :

ক . যেসব পণ্যের শুল্ক হার ২৫ শতাংশ এর উর্ধ্বে সে সব পণ্যের শুল্ক হার ২৫ শতাংশে ।

খ . যেসব পণ্যের শুল্ক হার ১৫ শতাংশ এর ঊর্ধ্বে থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত সে সব পণ্যের শুল্ক হার ১৫ শতাংশে ।

গ . যে পণ্যের শুল্ক হার ১০ শতাংশ এর ঊর্ধ্বে থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত সে সব পণ্যের শুল্ক হার ১০ শতাংশে ।

৩. স্বল্পোন্নত দেশসমূহ আটটি বার্ষিক কিস্তিতে এবং অস্বল্পোন্নত দেশসমূহ চারটি বার্ষিক কিস্তিতে শুদ্ধ হার কর্মসূচি সম্পন্ন করবে ।

৪. যেসব পণ্য শুদ্ধ হ্রাস কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত সে সবের ক্ষেত্রে সুপারভাইজারি কমিটির অনুমোদন ব্যতীত শুদ্ধ হার বৃদ্ধি করা যাবে না ।

৫. প্যারা – ট্যারিফ ও নন – ট্যারিফ ব্যরিয়ারর্স কমানোর বিধানও এ চুক্তিতে রয়েছে ।

✍️ বিশ্ব বাণিজ্যের উদারীকরণ মোকাবিলায় বাংলাদেশের করণীয় কী কী ?

উত্তরঃ বিশ্ব বাণিজ্যের উদারীকরণ মোকাবিলায় বাংলাদেশের করণীয়গুলো হলো :

১. আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে সর্বোচ্চ জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন ।

২. রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের রপ্তানি আয় ও আমদানি ব্যয়ের মধ্যে ব্যবধান ক্রমান্বয়ে সংকোচন ।

৩. বিদ্যমান বাজার সংরক্ষণ ও বাজার সম্প্রসারণ লক্ষ্যে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য রপ্তানি উৎপাদনের সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ ।

৪. উরুগুয়ে রাউন্ড পরবর্তী উদারীকৃত ( Liberalized ) এবং ভূমণ্ডলীকৃত ( Globalized ) আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগসমূহ গ্রহণের সর্বাধিক প্রচেষ্টা গ্রহণ ।

৫. পণ্য বহুমুখীকরণ ও পণ্যের গুণগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে রপ্তানিকে অধিকতর উপযোগীকরণ ।

৬. অধিকতর দেশীয় উৎপাদন সংযোজনের লক্ষ্যে রপ্তানিমুখী শিল্পের সাথে পশ্চাৎ সংযোগ শিল্প ও সার্ভিসসমূহের সংযোগ স্থাপনে নতুন নতুন পণ্য সংযোজন এবং অধিক মূল্য সংযোজনকারী পণ্য চিহ্নিত করে রপ্তানির পদক্ষেপ গ্রহণ ।

৭. রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজীকরণ , রপ্তানি সুযোগ – সুবিধা বৃদ্ধিকরণ ও সুসংহতকরণ ।

৮. রপ্তানি বাণিজ্যের অবকাঠামো উন্নয়ন ।

৯. রপ্তানি খাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জন সম্পদ সৃষ্টি ।

১০. রপ্তানি পণ্যের মান এবং গ্লেডিং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্তরে উন্নীতকরণ ।

✍️ ওআইসি এর লক্ষ্য ও ভূমিকা কী ?

উত্তর : ১৯৭২ সালে গৃহীত চার্টারে ওআইসি নিম্নলিখিত লক্ষ্যসমূহ গ্রহণ করবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে :

১. সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে ইসলামিক সংহতি সুদৃঢ়করণ ।

২. অর্থনৈতিক , সামাজিক , সাংস্কৃতিক , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত এবং অন্যান্য মৌলিক ক্ষেত্রে সদস্য দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহের সদস্যদের সাথে পরামর্শমূলক সভার আয়োজন ।

৩. বর্ণগত বৈষম্য , বিরোধ দূরীকরণ এবং সব রকমের ঔপনিবেশিতা তথা সাম্রাজ্যবাদের মূল উৎপাটন করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো ।

৪. আন্তর্জাতিক শক্তি ও নিরাপত্তার ভিত্তিতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা ।

৫. মুসলমানদের পবিত্র স্থান এবং নিদর্শনসমূহের প্যালেস্টাইনি জনগণের সংগ্রামে সমর্থন দান ও তাদের আবাসভূমি পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান ।

৬. মুসলিম জনগোষ্ঠীর মর্যাদা , স্বাধীনতা এবং জাতিগত অধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রামে সহযোগিতা প্রদান ।

৭. সমস্ত সদস্য রাষ্ট্র এবং অন্যান্য রাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণের ও উন্নয়নের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা ।

✍️ ও.আই.সিকে আরো কার্যকর করার জন্য কী কী ভূমিকার প্রয়োজন বলে তুমি মনে কর ?

উত্তর : ওআইসিকে আরো কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয়তাসমূহ নিম্নরূপ :

১. জাতিসংঘের বলিষ্ঠ ভূমিকা ।

২. নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যগুলোর মধ্যে ওআইসির সদস্য অন্তর্ভুক্তি ।

৩. একতা বা ঐক্য গঠন করা ।

৪. আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধি করা ।

৫. আরবলীগের সাতে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা ।

৬. বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করে তোলা ।

৭. সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অবাধ তথ্য প্রবাহ সৃষ্টি ।

৮. ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা রক্ষায় বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করা ইত্যাদি।

✍️ উপ – আঞ্চলিক জোট বলতে কী বুঝায় ?

উত্তর : উপ – আঞ্চলিক জোটের আবিধানিক অর্থ হলো কোন অঞ্চলে জোটভুক্ত রাষ্ট্রের অংশবিশেষের সমন্বয়ে একটি ক্ষুদ্র উপজোট গঠন করা । কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ শব্দটির এক সুনির্দিষ্ট অর্থ বা ব্যঞ্জনা রয়েছে । বাংলাদেশ | দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা ( সার্ক ) এর সদস্য । এ সংস্থার সদস্য সংখ্যা ৮ টি যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম । বাকি সাতটি সদস্য রাষ্ট্রের নাম হলো : পাকিস্তান , ভারত , শ্রীলঙ্কা , নেপাল , ভুটান , মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান ।

গত ৬ জানুয়ারি , ১৯৯৭ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়া ঢাকায় শুভেচ্ছা সফরে এলে সার্কভুক্ত চারটি রাষ্ট্র বাংলাদেশ , ভারত , নেপাল ও ভুটানকে নিয়ে একটি উপ – আঞ্চলিক জোট গঠনের বিষয়ে বাংলাদেশ – ভারত মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয় । নেপাল পরবর্তীতে এ প্রস্তাব সমর্থন করে ।

[ad_2]