অথবা, গ্রামীণ নেতৃত্ব কী?
‘অথবা, গ্রামীণ নেতৃত্ব ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।
অথবা, গ্রামীণ নেতৃত্ব কাকে বলে?
উত্তর৷ ভূমিকা : গ্রাম তথা যে কোনো এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য সঠিক নেতৃত্বের ভূমিকা অতুলনীয়।পরিবর্তনে সমাজ যেমন পরিবর্তিত হচ্ছে, ঠিক সেভাবে নেতৃত্বের পরিবর্তনও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর এ পরিবর্তনের হাওয়া গ্রামীণ নেতৃত্বকেও ছুঁয়ে যাচ্ছে। যখন বাংলাদেশে প্রাচীন পদ্ধতিতে কৃষিকাজ চলত, তখন নেতৃত্ব ছিল ভিন্ন প্রকৃতির। কৃষিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগার সাথে সাথে গ্রামীণ নেতৃত্বের মধ্যে পরিবর্তনশীলতার ছোঁয়া লক্ষণীয় । গ্রামীণ পরিবর্তনশীলতা আলোচনা করার আগে গ্রামীণ নেতৃত্ব কি সে সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা থাকা আবশ্যক।
গ্রামীণ নেতৃত্ব : গ্রামীণ কর্মকাণ্ডগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গ্রামীণ নেতৃত্ব। সাধারণভাবে সমাজে জনগণের উন্নয়নের জন্য গ্রাম্য নেতা যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, তার এ ভূমিকাকেই গ্রামীণ নেতৃত্ব বা গ্রাম্য নেতৃত্ব বলা হয়। কোনো সমাজই নেতৃত্ব শূন্য হতে পারে না। সব ধরনের সমাজেই নেতৃত্বের প্রভাব লক্ষণীয়। শিল্পে সমৃদ্ধ শহরগুলোতে যেমন নেতৃত্ব দেখা যায়, তেমন বনজঙ্গলের আদিবাসী সমাজেও নেতৃত্বের প্রভাব লক্ষণীয়। তারই ধারাবাহিকতায় গ্রামীণ সমাজের নেতৃত্ব বিশেষভাবে লক্ষণীয়।নেতৃত্বের গ্রামীণ সমাজে বিভিন্ন ধরনের নেতৃত্ব লক্ষণীয় । যেমন- সামাজিক নেতা, অর্থনৈতিক নেতা, ধর্মীয় নেতা, সাংস্কৃতিক নেতা, রাজনৈতিক নেতা থাকে। একজন গ্রামীণ নেতৃত্বদানকারী নেতা কখনো অন্য কোনো গ্রামের অধিবাসী হতে পারে না। গ্রামীণ নেতৃত্বের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে স্থানীয় ব্যক্তিত্ব। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কারণে বিভিন্নভাবে বর্তমান বাংলাদেশি সমাজব্যবস্থায় গ্রামীণ নেতৃত্বের পরিবর্তনশীলতা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। তবে গ্রামীণ নেতৃত্বের পরিবর্তনশীলতা আলোচনা
করতে হলে এর প্রকৃতিও অল্পবিস্তর আলোচনা করা দরকার।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গ্রামীণ নেতৃত্ব হচ্ছে সাধারণতভাবে সমাজের জনগণের উন্নয়নের জন্য গ্রাম্য নেতা যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তার এ ভূমিকাকেই গ্রামীণ নেতৃত্ব বা গ্রাম নেতৃত্ব বলে।