অথবা, মাঠকর্মের নীতিসমূহ আলোচনা কর।
অথবা, মাঠকর্মের কয়েকটি নীতি বিশ্লেষণ কর।
উত্তর।৷ ভূমিকা : মাঠকর্ম অনুশীলনে শিক্ষার্থীকে কতিপয় নীতি অনুসরণ করতে হয়। এসব নীতি অনুসরণের মাধ্যমেই শিক্ষার্থী তার মাঠকর্ম অনুশীলন সম্পাদন করেন।
মাঠকর্মের ৫টি নীতিমালা : নিম্নে মাঠকর্মের ৫টি নীতিমালা আলোচনা করা হলো:
১. সাহায্যার্থীর মূল্য ও মর্যাদা (Recoginition of values and status of the client) : মাঠকর্মে মাঠকর্মী সাহায্যার্থী যেই হোক না কেন তাকে সম্মান ও মর্যাদা দিতে হবে। নতুবা সাহায্যার্থী সমাজকর্মীর নিকট কোন সাহায্য চাইবে না । তাই এক্ষেত্রে সাহায্যার্থীর অবস্থান অনুযায়ী তাকে মর্যাদা প্রদান করতে হবে।
২. যোগাযোগ নীতি (Principles of communication) : এটি মাঠকর্মের একটি অন্যতম নীতি। এ নীতি অনুযায়ী, মাঠকর্মে কাজ করতে যেয়ে সমাজকর্মী ও সাহায্যার্থীর যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। এতে করে উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবে। এর ফলে সমাজকর্মী বা মাঠকর্মী সাহায্যার্থী সম্পর্কে বিস্তারিত জানবে এবং তাকে সাহায্য করবে।
৩. সংস্থার লক্ষ্য মেনে চলা (To execute the aims and objectives of the agency) : সংস্থায় মাঠকর্মের জন্য প্রেরিত শিক্ষার্থীকে অবশ্যই সংস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। শিক্ষার্থীকে সংস্থার লক্ষ্য ও আদর্শ মেনে চলতে হয়।
৪. গোপনীয়তার নীতি (Confidential principles) : গোপনীয়তার নীতি মাঠকর্মের একটি বিশেষ নীতি।শিক্ষার্থী বা মাঠকর্মী সাহায্যার্থীর যাবতীয় তথ্য গোপন রাখবেন এবং সাহায্যার্থীকে এর নিশ্চয়তাও দিবেন। এতে করে সাহায্যার্থী সমাজকর্মীর উপর আস্থা তৈরি হবে। এ নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
৫. আত্মসচেতনতার নীতি (Principles of self-awarness) : আত্মসচেতনতার নীতি অনুযায়ী শিক্ষার্থী সংস্থায় সচেতনতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করবেন। এখানে তাকে হতে হবে পরিবর্তনের প্রতিনিধি বা Change agent এর ব্যতিক্রম হলে মাঠকর্মী লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে যাবে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, মাঠকর্মের নীতিগুলোর গুরুত্ব অত্যধিক। এ নীতিকে সমাজকর্মী অনুসরণ করে থাকে। এ নীতির ফলে সাহায্যার্থীরাই বেশি উপকৃত হয়। তাই মাঠকর্ম নীতির গুরুত্বকে অস্বীকার করা যায় না। মূলত মাঠকর্ম অনুশীলনের নীতি সমাজকর্মীদের জন্য একটি গাইড লাইন।