অথবা, সমবায় খামার ও যৌথ খামার কাকে বলে?
অথবা, সমবায় খামার ও যৌথ খামার ব্যবস্থা কী?
অথবা, সমবায় খামার ও যৌথ খামারের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর৷ ভূমিকা : খাদ্যশস্য, সবজি, ফল, তৈলবীজ, গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি ও মৎস্য খামার এসবই হচ্ছে কৃষি খামার। কৃষি খামারের কার্যক্রম বহুলাংশে বাস্তবভিত্তিক ও অর্থনৈতিক। জমিসহ উৎপাদনের অন্যান্য উৎপাদনের মালিকানা ও উৎপাদন পরিচালনার ভিত্তিতে কৃষি খামারকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা : ক. সমবায় খামার ও খ. যৌথ খামার।
ক. সমবায় খামার : যখন কোন এলাকার জমির মালিকরা স্বেচ্ছায় সমবায় সমিতি গঠন করে এবং তার মাধ্যমে পরস্পরের জমিগুলো একত্রিত করে কৃষি জোত সৃষ্টি করে চাষাচাদ করে তাকে সমবায় খামার বলা হয়। এ খামারে জমিসহ অন্যান্য উপাদানের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ সমিতির উপর ন্যস্ত করা হয়। কিংবা সদস্যদের জমির মালিকানা বজায় রেখে
উৎপাদনের অন্যান্য উপাদানের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ সমিতির উপর ছেড়ে দেয়া হয়। এখানে উৎপাদিত পণ্য সদস্যদের মধ্যে তাদের জমির পরিমাণ, গুণাগুণ ও প্রদত্ত শ্রম অনুপাতে ভাগ করা হয়।
খ. যৌথ খামার : যে খামার ব্যবস্থায় জমিসহ অন্যান্য উপাদানের মালিক সরকার এবং যেখানে সদস্য কৃষকরা প্রদত্ত শ্রম-দিন অনুসারে পারিশ্রমিক পায় তাকে যৌথ খামার বলা হয়। এখানে সরকারই শস্যোৎপাদনের উপকরণসমূহ সরবরাহ করে এবং উৎপাদিত পণ্যের একটি বিরাট অংশ বিশেষভাবে চুক্তিবদ্ধ হারে ক্রয় করে। এ ধরনের খামার আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের বর্তমান আর্থসামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে এখানে যৌথ খামার প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সুতরাং কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে এদেশে সমবায় খামার স্থাপনের উপরই অধিক গুরুত্বারোপ করা উচিত।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সমবায় খামারে জমিসহ অন্যান্য উপাদানের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ সমিতির উপর ন্যস্ত । আর যৌথ খামার ব্যবস্থায় জমিসহ অন্যান্য উপাদানের মালিক সরকার।